১ম পর্বের লিংক।
২য় পর্ব এর লিংক।
৩য় পর্বঃ
দুপুরে খেয়ে পাশের দোকান থেকে একটা “থামস আপ” কিনুন। কোক, পেপসি তো অনেক খেয়েছেন। এবার নতুন কিছু হোক।
রুমে গিয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে ম্যাপ ও স্মার্ট ফোন সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের সামনে এসে রাস্তা পার হোন, সিগন্যালের থেকে বাসে উঠুন। আগে জেনে নিন হাওড়া যাবে কিনা। এই বাস হাওড়া ব্রীজের উপর দিয়ে গিয়ে স্টেশনের সামনে নামাবে। টিকেটের মুল্য ৮ রুপী। বাস থেকে নেমে ব্রীজের দিকে না গিয়ে নদীর পাশ ধরে, হাওড়া স্টেশনকে ডানে রেখে রাস্তা ধরে হুগলী ব্রীজের দিকে হাঁটুন।
১০ মিনিটের মধ্যে ডান পাশে “ইন্ডিয়ান রেল মিউজিয়াম” পাবেন। ১০ রুপী করে টিকেট কেটে চাইলে ঘুরে দেখুন।
এবার হাওড়া স্টেশন এসে ভিতরে গিয়ে চার্ট দেখে, অথবা কারও থেকে জেনে আসুন দীঘার ট্রেন সকাল কয়টায় ছারে।
ট্রেনের নাম্বার যতটুকু মনে আছে আমার, ১৮০০১, চার্টে খুজলেই আশা করি পাবেন। এটা হাওড়া থেকে সম্ভবত সকাল ৬ টায় ছারে। নিশ্চিত নই কারন আমি গিয়েছিলাম বাসে, তাতে খরচ বেশি সময় ও বেশি লাগে।
জানা হলে হাওড়া ব্রীজ দর্শন করুন। কারও কাছে জিজ্ঞেস করে কালি ঘাট মন্দির দেখে আসতে পারেন।
দেখা হলে এবার ফিরতি বাস ধরুন। পার্ক স্ট্রীট এর টিকেট নিন। টিকেটের দাম ৮ রুপী জন প্রতি।
নিউ মার্কেটের এখানে ঘুরতে পারেন। কিছু কেনাকাটা করতে পারেন। ৯টার শো সিনেমা দেখতে পারেন। সিনেমা দেখলে হোটেলে জানিয়ে যাবেন আসতে ১২ টার বেশি বাজবে। আর সিনেমা দেখলে আগে রাতের খাবার খেয়ে নিবেন।
রাতে হোটেলে ফিরে বিস্রাম নিন। চার্জে দিন মোবাইল ও ক্যামেরা।
আমরা দীঘা গিয়েছিলাম বাসে, ফিরেছিলাম ট্রেনে। কারন আমি নেটে ঘেটে দিঘার কোন পোস্ট ব্লগে পাইনি।
ঠিক জানতাম না কিভাবে যাব। হোটেল ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তিনি জানান ধর্মতলা থেকে বাস যায়। তাই বাসে গিয়েছিলাম। দিঘা তে আমরা থাকিনি। আপনি চাইলে থাকতে পারেন, তবে আমার মতে না থাকাই ভাল।
সাথে ব্যাগ নিবেন, পাসপোর্টের ও ভিসার ফটোকপি রাখবেন। ভেজানোর জন্য কাপর ও বদলানোর জন্য লুঙ্গি এবং গামছা রাতেই গুছিয়ে রাখুন। দিঘা যেতে আসতে ২ জনের দুপুরে খাওয়াসহ ১০০০ রুপির মধ্যে হয়ে যাবে। বাড়তি ১০০০ রুপী সাথে রাখুন। এটা নিরাপত্তার জন্য রাখা। ২ জনে ভাগ করে রুপী রাখবেন। ফোন সাথে রাখবেন।
একটা ব্যাগ নিলেই হবে। খাওয়ার পানি নিয়ে নিন এক বোতল।
বাকি টাকা ও জিনিস হোটেলে রেখে, ম্যানেজারকে সকালে জানিয়ে যাবেন যে আপনাদের আসতে রাত হবে। ১২ টা ও বেজে যেতে পারে।
তাদের একটা কার্ড মোবাইল নাম্বারসহ সাথে রাখুন। আগেরটা থাকলে আর নিতে হবে না। ফ্রেশ ঘুম দিন। সকালে উঠতে হবে। ট্রেন ছারার দের ঘন্টা আগে উঠতে হবে। ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার মত সময় যেন হাতে থাকে। সেভাবে এলারম দিয়ে রাখুন।
(চলবে)
চতুর্থ পর্বের লিংক।
৫ম ও শেষ পর্বের লিংক।