আবহমান
**************
বিমূর্ত এক ছবির গল্প গভীর কোন সংলাপে
বলতে গেলে কথার কথা মনে হয় বিলকুল
দিনের পর দিন এইতো চলে, চলতে দিতে হয়
চোখের সওয়া হয়ে যায় একদিন আঁধারের কারসাজি
যাপিত জীবন হয়ে ওঠে আরেকটি সাদাকালো স্থিরচিত্র
বদলায় না কিছুই, বিমূর্ত তো আটপৌরের বসনে লুকায়
অ্যাবস্ট্রাক্ট কোন ভাস্কর্যের গুণগান গাইতে গাইতে
আমাদের নাগরিকদের যে সময় কাটে
মৈথুনে তারচেয়ে যদি সময় আরও বেশি দিতো তাঁরা
হতো একেকটি এঞ্জেলো, কিম্বা পাবলো নিদেন পক্ষে
অনর্থক চোখ আর হাতের উপর চাপ কমতো বেশ
উচ্চাঙ্গের অঙ্গ বিন্যাসে নিবিড় যে বোধের লুকোচুরি
খেলা করে, বোঝা না-বোঝার পাশাখেলায় তার নাম
আর যাই হোক, ‘উপলব্ধি’ নয় এটা বলা যায় হলফ করে
আজ অব্দি সে প্রাকৃতজন দেখা যায় নি একটিও
তবে কি সকল গুহার মুখ সিল গালা করে দেওয়া হয়েছে
জল-বৃষ্টি-নদী-সাগর কিম্বা আকাশ, অতি ব্যবহারে মলিন
শব্দগুলো বারবনিতার মতো পথের ধুলায় মাখামাখি হতে হতে
আজকাল ফুটপাতে বসে ঝিমায়, পথচারীর নিক্ষিপ্ত পয়সায়
যদিও বা ভরে পেট, চমকিত সন্ধ্যার জন্য তবু মন কাঁদে
একেকটি কবিতার গায়ে সেপ্টে গেছে এঁদের শরীরের ঘ্রাণ
এঁদের জীবন বদলায় না, লেখা হয়না আরেকটি অনন্য কবিতা
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৯