ভারত-পাকিস্তানের সামরিক নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বিষয়ে লেখাটির দ্বিতীয় পর্ব আজ প্রকাশ করা হলো। দেরি হওয়ায় আগেই দুঃখ প্রকাশ করছি। তৃতীয় পর্ব প্রকাশ হবে শিগগিরই। প্রথম পর্ব পড়ার জন্য লিংকিটিতে একটু ঘুরে আসুন।
ভারত এনটিপিতে স্বাক্ষর না করলেও যুত্ত্নরাষ্ট্র তার সাথে চুক্তি করেছে
ভারত এখন পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটিতে স্বাক্ষর করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও মার্কন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সাথে দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যের সর্ববৃহৎ পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মজার ব্যাপার হলো, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাসহ (আইএইএ) আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানই এই চুক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়নি। ভারত ও ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর নীতি ও আচরণের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তা হলো পরমাণু প্রযুক্তি এখন পাশ্চাত্যের আর্থাৎ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখেই বিভিন্ন দেশ এখন পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
এক শ’ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত উচ্চ অর্র্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ ভারতেও বিদ্যুৎ চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত সরকার ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ হাজার মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিদেশী সহযোগিতা ছাড়া এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ভারতের সাথে আর্থাৎ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বড় লক্ষ্য হলো, ভারতকে নিজের সম্প্রসারণকামী নীতির বাস্তবায়নকারীতে পরিণত করা। ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে এ পর্যন্ত মার্কিন নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে অথবা এ ধরনের নীতির বিরোধিতা করা থেকে বিরত থেকেছে। আন্তজêাতিক আণবিক শত্ত্নি সংস্থা বা আইএইএ’র নিবêাহী পরিষদে ইরানের পরমাণু ইসুøতে ভারত, মাকিêন নীতিকেই সমথêন করেছে।
আন্তজêাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষিণ এশিয়ার আথê-রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের আধিপত্যকামী নীতির বাস্তবায়ন আরো সুনিশ্চিত করতে হোয়াইট হাউজ পরমাণু চুত্ত্নিতে স্বাক্ষর ও অত্যাধুনিক প্রযুত্ত্নি সরবরাহের মাধ্যমে ভারতের সাথে কৌশলগত সম্পকê প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে একতরফা হামলার ক্ষেত্রে আন্তজêাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদশêনের মতো এনপিটি লঙ্ঘনকারী দেশ ভারতের সাথে পরমাণু চুত্ত্নি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও মাকিêন যুত্ত্নরাষ্ট্র কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করেনি। পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুত্ত্নি বা এনপিটি’র একটি ধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এনপিটিতে স্বাক্ষর করেনি এমন কোনো দেশকে এই চুত্ত্নিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো পরমাণু ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে পারবে না।
আন্তজêাতিক অঙ্গনে ভারত-মাকিêন চুত্ত্নির জোড়ালো বিরোধিতা ছিল না
ভারত ও মাকিêন যুত্ত্নরাষ্ট্রের সরকারকে পরমাণু চুত্ত্নির পক্ষে নিজ নিজ দেশে জনমত তৈরি করতে তিন বছর ব্যয় করতে হয়েছে। আন্তজêাতিক অঙ্গনেও এই চুত্ত্নির কিছুটা বিরোধিতা হয়েছে। কিন্তু বিরোধিতার মাত্রা এমন পযêায়ে ছিল না যে, তা ভারত-মাকিêন পরমাণু চুত্ত্নিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করতে পারে। কিন্তু খোদ ভারত ও মাকিêন যুত্ত্নরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই চুত্ত্নির বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। এই ইসুøতে ভারতের সংসদে আস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে হয়েছে সরকারকে। ভারতের বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, পরমাণু চুত্ত্নির কারণে ভারতের ওপর মাকিêন আধিপত্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং ভারত তার রাজনৈতিক স্বাধীনতা হারাবে। মাকিêন কংগ্রেসে এই চুত্ত্নির বিরোধিতা হয়েছে এ কারণে যে, ভারত এনপিটিতে স্বাক্ষর করেনি এবং এ কারণে পরমাণু ক্ষেত্রে মাকিêন সহযোগিতা ভারত সামরিক খাতে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু অবশেষে উভয় দেশের সংসদই পরমাণু চুত্ত্নি অনুমোদন করেছে এবং দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাতে স্বাক্ষর করে চুত্ত্নিটিকে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন। দুই কোটি ৭০ লাখ ডলারের এই চুত্ত্নি অনুযায়ী মাকিêন যুত্ত্নরাষ্ট্র আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে ১৮ থেকে ২০টি পরমাণু বিদুøৎ কেন্দ্র নিমêাণ করবে। কিন্তু এই চুত্ত্নির পরও আইএইএ’র পরিদশêকরা ভারতের সামরিক পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।
ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের কাছে বেশি পরমাণু অস্ত্রের মজুদ রয়েছে!
দুই মাকিêন পরমাণু বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি বলেছেন, ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের কাছে বেশি পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে। চীনসহ এই দু’টি প্রতিবেশী দেশ নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ এবং নতুন নতুন জায়গায় অস্ত্র মোতায়েন করে চলেছে। রবাটê এস নরিস ও হান্স এম ত্র্নিস্টেনসেন ‘নিউক্লিয়ার নোটবুকঃ ওয়াল্ডêওয়াইড ডেপ্লয়মেন্ট অব নিউক্লিয়ার উইপনস-২০০৯’ শীষêক এক নিব েবলেন, পাকিস্তানের কাছে আনুমানিক ৭০ থেকে ৯০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অন্য দিকে ভারতের কাছে রয়েছে ৬০ থেকে ৮০টি। বুলেটিন অব দি অ্যাটমিক সায়েন্স-এর একটি সংখ্যায় নিবটি প্রকাশিত হয়েছে। নিব েদাবি করা হয়েছে, বেইজিং, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি সংখ্যাগত ও গুণগতভাবে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে চলেছে এবং আরো নতুন নতুন জায়গায় এসব অস্ত্র মোতায়েন করছে।
পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার এখন ঝুঁকিপূণê অবস্থায় রয়েছে। এক দিকে দেশে চলছে তালেবান জঙ্গিদের তৎপরতা এবং অন্য দিকে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে চলছে যুদ্ধ এ দু’য়ে মিলে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। মাকিêন প্রেসিডেন্ট জজê বুশের শাসনামলের এক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ স্টিফেন হ্যাডলি সম্প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। হ্যাডলি এখন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিসের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। কানাডার হ্যালিফেক্সে আন্তজêাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া বত্ত্নৃতায় হ্যাডলি আরো বলেন, বিভিন্ন সমস্যা পাকিস্তানের পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। বুশ শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুত্ত্নরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরবতêী পরিস্থিতি নিয়ে বুশ প্রশাসনের সবাই তখন উদ্বিগ্ন ছিল। বিশেষ করে, মাকিêন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তানে হামলা চালানোর কারণে পাকিস্তানও যে অস্থির হয়ে উঠবে এটা বুশ প্রশাসন অনুমান করতে পেরেছিল। তারা এ কারণে উদ্বিগ্নও ছিল। এমনকি ওই পরিস্থিতি দেশটিকে তালেবান শাসনের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলেও মাকিêন প্রশাসন আশঙ্কা করেছিল। হ্যাডলি স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এখনো পাকিস্তানে সেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। পরমাণু অস্ত্রও বেসামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সেই শঙ্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন দ্রুত পরিবতিêত হচ্ছে।
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র রক্ষায় মাকিêন প্রস্তুতি
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র যাতে জঙ্গিদের হাতে না যায়, সে জন্য যুত্ত্নরাষ্ট্র তাদের সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এলিট এ বাহিনী পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র পাহারা দেবে, একই সাথে পরমাণু অস্ত্র বা উপাদান কোনোভাবে জঙ্গিদের হাতে গেলে তা পুনরুদ্ধার করবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মাকিêনবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি এবং গত দুই বছরে স্পশêকাতর কিছু স্থাপনায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর যুত্ত্নরাষ্ট্র এ উদ্যোগ নেয়। এক মাস ধরে মাকিêন কমêকতêারা এ বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে তাদের উদ্বেগের কথাও জানায়। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম টাইমস অনলাইন গত মসের প্রথম দিকে এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। মাকিêন অ্যানাজিê ডিপাটêমেন্টের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান ও সাবেক সিআইএ কমêকতêা রলফ মোয়াট-লারসেন বলেন, ‘পাকিস্তান হলো এমন একটি দেশ যার পরমাণু অস্ত্রও রয়েছে, একই সাথে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জঙ্গিও আছে। এ কারণে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার অধিকার রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানে এমন কিছু সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পরমাণু অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনাও দেখা গেছে। ব্রাডফোডê বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষক দলের পরিচালক অধ্যাপক শন গ্রেগরি ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানে হওয়া সব হামলা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি সতকê করে বলেন, জঙ্গিরা এখন দরজায় কড়া নাড়ছে।
যুত্ত্নরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমি থেকে প্রকাশিত একটি সাময়িকীতে গ্রেগরি পাকিস্তানের তিনটি হামলার তথ্য প্রকাশ করেছেন। প্রথমটি ২০০৭ সালের নভেম্বরে পাঞ্জাবের সারগোধায়, পরের মাসে আত্তক জেলার কারমায় এবং ২০০৮ সালের আগস্টে পাঞ্জাবের ওয়াহ সেনানিবাসে। এ তিনটি জায়গায়ই পরমাণু অস্ত্র মজুদ ছিল। এরপর গত অক্টোবরে কারমায় আরেক দফা হামলা হয়। এ ছাড়া গত আগস্টে সারগোধা থেকে ছয়জন আত্মঘাতী হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এসব জায়গায় পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্বের কথা পাকিস্তান অস্বীকার করেছে। গ্রেগরি বলেন, আট থেকে ১২ হাজার মানুষ পাকিস্তানি পরমাণু প্রকল্পের সাথে নানাভাবে জড়িত। তাদের অনেকেরই জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওসামা বিন লাদেনের সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর পাকিস্তানের প্লুটোনিয়াম চুল্লির সাবেক প্রধান বশির মাহমুদকে সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। টাইমস অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে হামলার পর ভয় আরো বেড়ে গেছে। গত মাসে ইসলামাবাদের নৌবাহিনীর কমান্ড সেন্টারেও হামলা হয়েছে। এ ছাড়া গত মাসে পাঁচ মাকিêন নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাঞ্জাবের পরমাণু স্থাপনা চশমা ব্যারেজের নকশা পাওয়া গেছে। মোয়াট লারসেন বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, জঙ্গিরা পরমাণু অস্ত্র হাতে পাওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। তারা পেশাদারির সাথে এগোচ্ছে।
ইরানের পরমাণু প্রযুত্ত্নি অজêনে সহায়তা করেছে পাকিস্তান
ইরানের পরমাণু প্রযুত্ত্নি অজêনে পাকিস্তান সাহায্য করেছে। আন্তজêাতিক চাপ মোকাবেলা করা এবং ইসরাইলের ক্ষমতা খবê করে এ অঞ্চলে একটি ‘শত্ত্নিশালী জোট’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে তেহরানকে সহায়তা করেছে। পাকিস্তানের একটি উদêু টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটির একটি ইংরেজি ভাষ্য সংগ্রহ করেছে ‘সিত্র্নেসি নিউজ অব দ্য ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট’। কাদির খান বলেছেন, ‘পরমাণু প্রযুত্ত্নির ব্যাপারে ইরানের কমêকতêারা দুবাইয়ে পাকিস্তানের কমêকতêাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। আমরা ইরানের কমêকতêাদের বলেছিলাম, পাকিস্তানের পরমাণু প্রযুত্ত্নি সরবরাহকারীরা খুবই বিশ্বস্ত।’ পরমাণু প্রযুত্ত্নির ব্যাপারে তেহরানের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে কাদির খান বলেন, ‘ইরান যেহেতু একটি মুসলিম দেশ, তাই আমরা চেয়েছি তারা পরমাণু প্রযুত্ত্নির মালিক হোক। পশ্চিমা বিশ্ব এ ব্যাপারে অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ইরান যদি পরমাণু প্রযুত্ত্নি অজêন করতে পারে, তবে আমরা এ অঞ্চলে আন্তজêাতিক চাপের বিরুদ্ধে একটি শত্ত্নিশালী জোটে পরিণত হতে পারব।’ কাদির খান আরো বলেন, ‘ইরানের পরমাণু শত্ত্নি ইসরাইলের শত্ত্নিকে নিষ্ত্র্নিয় করতে সাহায্য করবে। আমরা ইরানকে পাকিস্তানের কমêকতêাদের সাথে যোগাযোগ করে পরমাণু প্রযুত্ত্নি কেনার ব্যাপারে পরামশê দিয়েছিলাম।’ পাকিস্তানের এই পরমাণু বিজ্ঞানী আরো বলেন, ‘দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কান মুসলমানরাই পাকিস্তান, ইরান ও লিবিয়ায় পরমাণু প্রযুত্ত্নি ও এর সরঞ্জাম সরবরাহ করে।’
ভারতের পারমাণবিক ডুবোজাহাজকে হুমকি মনে করে পাকিস্তান
ভারতের নৌবাহিনীতে দেশে তৈরি পরমাণু শত্ত্নিসম্পন্ন ডুবোজাহাজের অন্তভêুত্ত্নিকে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে বণêনা করেছে পাকিস্তান। ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য ‘যথাযথ পদক্ষেপ’ নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। গত বছর ডুবোজাহাজটি উদ্বোধন করা হয়। ডুবোজাহাটির উদ্বোধনকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারত যেভাবে নতুন প্রাণঘাতী অস্ত্রের অভিষেক অব্যাহত রেখেছে, সেটা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান। তবে তারা অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামবে না। পাকিস্তান বিশ্বাস করে, এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। পারমাণবিক ডুবোজাহাজের উদ্বোধনকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী একটি পদক্ষেপ হিসেবে বণêনা করেছেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন আবিদ মাজেদ বাট। ডন নিউজ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, এটা গোটা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিপদগ্রস্ত করে তুলবে।
দেশে তৈরি এই পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ‘আইএনএস অরিহন্ত’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এই ডুবোজাহাজ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব। এর উদ্বোধন করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য কারো প্রতি তাদের কোনো ধরনের আগ্রাসী অভিপ্রায় নেই। ভারতসহ মাত্র ছয়টি দেশের কাছে দেশে তৈরি পরমাণু শত্ত্নিচালিত ডুবোজাহাজ রয়েছে। অন্য দেশগুলো হলো যুত্ত্নরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও চীন।
অনেক ফন্ট ভেঙে গেছে। পড়তে অসুবিধা হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খ চেয়ে নিচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩২