পূর্ব এশিয়ার কমিউনিস্টশাসিত দেশ উত্তর কোরিয়া। দেশটির পুরো নাম ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া। ২০০৮ সালের জাতিসঙ্ঘের হিসাব অনুযায়ী দেশটির মোট জনসংখ্যা ২৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন। আয়তন এক লাখ ২২ হাজার ৭৬২ বর্গকিলোমিটার। দেশটির বেশির ভাগ মানুষের ধর্মীয় কোনো বিশ্বাস নেই। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-ইল। সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক অস্ত্র পরীড়্গা নিয়ে দেশটি বেশ আলোচিত। কোনো কোনো ড়্গেত্রে সমালোচিত। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবি্নউ বুশ দেশটিকে শয়তান চক্রের অংশ বলেছিলেন। বর্তমানে উত্তর কোরিয়া উদীয়মান সামরিক শক্তির একটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো বড় সামরিক শক্তির মুখোমুখি এই দেশ। আফগানিস্তôান ও পাকিস্তôানের সামরিক উত্তেজনার চেয়ে উত্তর ও দড়্গিণ কোরিয়ার সামরিক উত্তেজনা অনেক বেশি।
কোরিয়ান পিপলস আর্মি
দ্য কোরিয়ান পিপলস আর্মি (কেপিএ) উত্তর কোরিয়া মিলিটারির অফিসিয়াল নাম। পাঁচটি শাখার সমন্বয়ে গঠিত সংস্থা। নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান ও কেপিএ’র সুপ্রিম কমান্ডার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-ইল। শাখা পাঁচটি হচ্ছে আর্মি গ্রাউন্ড ফোর্স, নেভি, এয়ার ফোর্স, আর্টিলারি গাইডেন্স ব্যুরো ও স্পেশাল অপারেশন ফোর্স। বার্ষিক বাজেট প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির দুই থেকে নয়টি পারমাণবিক বোমার কাঁচামাল আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বে বর্তমান সময়ে উত্তর কোরিয়া বৃহৎ সামরিক শক্তির দেশ। দেশটিতে বর্তমান আর্মির সংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন। এই সংখ্যা বিশ্বে চতুর্থ। যেকোনো সামরিক পদড়্গেপে কোরিয়ান পিপলস আর্মিকে মিলিটারি অব সাউথ কোরিয়া ও ইউনাইটেড স্টেটস ফোর্সেস কোরিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে কোরিয়ান বেসামরিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য অবস্থান করছে। কোরিয়ান ভলান্টিয়ার আর্মি থেকে দ্য কোরিয়ান পিপলস আর্মি প্রতিষ্ঠা করা হয়। গঠন করা হয় ১৯৩৯ সালে।
দেশটির রয়েছে ৮০০ ব্যালাস্টিক মিসাইল
উত্তর কোরিয়ার আট শতাধিক ব্যালাস্টিক মিসাইল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে লং রেঞ্জের যেসব মিসাইল রয়েছে তা একদিন আমেরিকা আক্রমণ করতে পারবে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এই লং রেঞ্জের মিসাইলকে স্কাড মিসাইলে উন্নীত করা হচ্ছে। স্কাড মিসাইল অনায়াসে যেকোনো দিকে ছুটতে পারে। কমিউনিস্টশাসিত উত্তর কোরিয়া ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মিসাইল ড়্গেপণাস্ত্র পেয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৬ সালে দেশটিতে মিসর হয়ে স্কাড মিসাইল আসে বলে অফিসিয়ালি বলা হয়েছে। এর নাম ছিল স্কাড-বি। এই মিসাইলটির ডিজাইন তৈরি করা হয়েছিল ইসরাইলের বিরম্নদ্ধে ইয়ুম কাপুর যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য। ১৯৮৪ সালে উত্তর কোরিয়া তার নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে স্কাড-বি মিসাইলের উন্নয়ন করে। নাম দেয়া হয় স্কাড-সি। এ ছাড়া একই সময়ে তৈরি করা হয় নুডং নামে মধ্যম রেঞ্জের মিসাইল। একই প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে পরে লং রেঞ্জের মিসাইল তৈরি করা হয়। নাম দেয়া হয় দ্য টায়পোডং। এর দু’টি সংস্করণ। টায়পোডং-১ ও টায়পোডং-২। টায়পোডং-১ আঘাত হানতে পারে দুই হাজার ৯০০ কিলোমিটার দূরত্বে। আর টায়পোডং-২ আঘাত হানতে পারে চার হাজার থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে। বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, টায়পোডং-২ সফলভাবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে সড়্গম। এর নতুন মডেল ১৫ হাজার দূরত্বের লড়্গ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে বলে তাদের ধারণা। গত এপ্রিল মাসে এই মিসাইল ড়্গেপণাস্ত্রটি পরীড়্গা করতে গিয়ে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে উত্তর কোরিয়া।
ব্যাপক বাধার মুখে পারমাণবিক বোমার পরীড়্গা চালায় দেশটি
উত্তর কোরিয়া এখন পারমাণবিক শক্তির দেশ। গত ২৫ মে দেশটি পারমাণবিক বোমার পরীড়্গা করে জাপান ও উত্তর-দড়্গিণ কোরিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। জাতিসঙ্ঘ থেকেও পরীড়্গাটি চালাতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এটি পারমাণবিক পরীড়্গা নয় বলে অফিসিয়ালি বলেছে। এটি ছিল লং রেঞ্জের টায়পোডং-২ মিসাইলের পরীড়্গা মাত্র। তবে উত্তর কোরিয়ার এ কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি জাতিসঙ্ঘ। হুমকি দিয়েছে বিভিন্ন অবরোধের। পরে আর কোনো পারমাণবিক পরীড়্গা যেন করা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এই পরীড়্গাটি হচ্ছে দেশটির দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীড়্গা। এর আগে ১৯০৬ সালের অক্টোবরে শর্ট রেঞ্জ মিসাইলের প্রথম পারমাণবিক পরীড়্গা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এটি পরীড়্গা করা হয় মাটির নিচে।
পারমাণবিক অস্ত্রের হাতেখড়ি সোভিয়েত ইউনিয়নে
উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক স্থাপনার হাতেখড়ি নেয় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। প্রশিড়্গণ নেয় দুবনার জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্সে। যেখানে উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রোনিক ফিজিক্স রেডিওকেমেস্ট্রি, হাই-এনার্জি ফিজিক্স বিষয়ে প্রশিড়্গণ নেয়। এ ছাড়া সংশি্নষ্ট আরো কিছু বিষয়ে প্রশিড়্গণ নেয় বিজ্ঞানীরা। প্রশিড়্গণের প্রথম দিকে উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক শক্তিকে শান্তিôপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হবে বলে প্রচার করেছিল। এ লড়্গ্যেই ১৯৫৯ সালে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাড়্গর হয়।
এর পর শুরম্ন হয় যৌথভাবে পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপনের কাজ। পরের বছর দেশটিতে নতুন রিসার্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ২০০৩ সালের ২৪ এপ্রিল উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে আলোচনায় আসে। একই বছর জুলাই মাসে পিয়ংইয়ং ঘোষণা দেয় তাদের হাতে ছয়টি পারমাণবিক অস্ত্রের কাঁচামাল আছে।
পারমাণবিক বোমা নিড়্গেপের ড়্গমতা দেশটির নেই!বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পারমাণবিক বোমা নিড়্গেপের মতো ড়্গমতা দেশটির নেই। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারা বলেছেন, পারমাণবিক বোমা বহন করার মতো যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যালাস্টিক মিসাইল প্রয়োজন তা এখনো দেশটি অর্জন করতে পারেনি। তবে অনেকের মত হচ্ছে, সাম্প্রতিক দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীড়্গার সাথে বিশেষজ্ঞদের এই ধারণার অমিল রয়েছে। দেশটি বর্তমানে পারমাণবিক দিক থেকে বেশ শক্তিশালী।
কোরিয়ান যুদ্ধের পর কোনো শান্তিô চুক্তি হয়নি
দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরম্ন হয়েছিল ১৯৫০ সালে। এই যুদ্ধ কোরিয়ান ওয়ার নামে বেশি পরিচিত। যুদ্ধে ব্যাপক ড়্গয়ড়্গতি হয়েছিল উভয় কোরিয়ার। কোরিয়ান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দড়্গিণ কোরিয়ার পড়্গে আর চীন উত্তর কোরিয়ার পড়্গ নেয়। যুদ্ধ শেষ হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। যেকোনো বড় যুদ্ধের পর প্রতিপড়্গের মধ্যে চুক্তি স্বাড়্গর হয়। কিন্তু এই যুদ্ধ ছিল ব্যতিক্রম। যুদ্ধের পর অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্তô দুই কোরিয়ার মধ্যে কোনো শান্তিô চুক্তি হয়নি। এর ফলে দু্ই দেশের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশ্বের যে কয়টি অঞ্চলে সর্বাধিক সামরিক শক্তি রয়েছে দুই কোরিয়ার সীমান্তô তার মধ্যে একটি। উত্তর কোরিয়ার মিলিটারি বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে খুবই শক্তিশালী।
উত্তর কোরিয়া মিলিটারি হুমকির মধ্যে রয়েছে
দড়্গিণ কোরিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ জাতিসঙ্ঘের সামরিক হুমকির মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। আফগানিস্তôান ও পাকিস্তôানের সামরিক সঙ্ঘাত প্রায়ই আমাদের ভাবিয়ে তোলে। কিন্তু এই দু’টি দেশের চেয়েও বেশি সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করে উত্তর ও দড়্গিণ কোরিয়ায়। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই দেশের সীমান্তেô ভারী অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। মনে হবে কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বে ‘কবরের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বিশ্বকে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে কোনো ছাড় না দেয়ার পড়্গে মত দিয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক হতে পরামর্শ তার। বারাক ওবামা উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মনে করেন। ওবামার এই মন্তôব্যের জবাবে উত্তর কোরিয়া তাকে ‘ভ’ আখ্যায়িত করে বলেছে, ‘পারমাণবিক প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের একক কোনো সম্পত্তি নয়।’
দেশটির ব্যালাস্টিক মিসাইল ক্রেতা কম নয়
উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইলের ক্রেতা বিশ্বের অনেক দেশ। কিউবা দেশটির কাছ থেকে ক্রয় করেছে হোসং-৬ মিসাইল। মিসাইলটির শিপিং করেছে উত্তর কোরিয়া নিজেই। মিসর হোসং-৫ ও হোসং-৬ তৈরিতে কারিগরি সহযোগিতা নেয় দেশটি থেকে। ইথিওপিয়া হোসং-৫ তৈরিতে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে তার কারিগরি তথ্য নিয়েছে। ইরান উত্তর কোরিয়ার মিসাইলের প্রথম ক্রেতা। উত্তর কোরিয়ার মিসাইল ক্রয় করে ইরান হোসং-৫ থেকে স্থানীয়ভাবে শাহাব-৫ ও হোসং-৬ এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে শাহাব-২ এবং রোডং-১ এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে শাহাব-৩ মিসাইল উৎপাদন করে। লিবিয়া মিসাইল তৈরিতে কারিগরি সহায়তা নিয়েছে উত্তর কোরিয়া থেকে। ২০০৪ সালে নাইজেরিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি ক্রয়ে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিল। অবশ্য জাতিসঙ্ঘের চাপে এক মাস পর এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে নাইজেরিয়া। হোসং-৫ মিসাইল তৈরির কিছু প্রযুক্তি কঙ্গো উত্তর কোরিয়া থেকে নিয়েছিল বলে গণমাধ্যমে প্রচার হলেও এটি সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০০৪ সালে সুদানে স্কাড মিসাইলের শিপিং হয়েছিল। সিরিয়া উত্তর কোরিয়ার হোসং-৬ ও রোডং-১ মিসাইল ব্যবহার করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯৮৯ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে হোসং-৫ মিসাইল কিনেছিল। তবে এই মিসাইলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আমিরাত। এটি স্টোরে রেখে দেয়া হয়েছে। ভিয়েতনাম ১৯৯৮ সালে হোসং-৫ ও ৬ প্রযুক্তির মিসাইলের অধিকারী হয়। তবে এটি সরাসরি উত্তর কোরিয়া থেকে নেয়া হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইয়েমেন উত্তর কোরিয়া থেকে ১৫টি ড়্গেপণাস্ত্র ক্রয় করেছে বলে ধারণা করা হয়।
শেষ কথা
গত মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একটি মন্তôব্য। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার কোনো বু নেই। যে বু পারমাণবিক অস্ত্রের ড়্গেত্রে তাকে সহযোগিতা করবে। অপর দিকে উত্তর কোরিয়া জাতিসঙ্ঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কারো হুমকিতেই বিচলিত নয়। সামরিক ড়্গেত্রে দেশটি অত্যন্তô সমৃদ্ধ হচ্ছে। দুই কোরিয়ার একটি বৃহৎ বেসামরিক এলাকা রয়েছে। যেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য। তারা সেই অঞ্চলটি দেখভাল করছে। অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একদম পেটের মধ্যে আঘাত হানা যায় এমন সব অস্ত্র আবিষ্কার করছে উত্তর কোরিয়া। পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের দ্বন্দ্ব এখনো যে শেষ হয়নি তা এই দেশটির দিকে দৃষ্টি দিলে বোঝা যায়। এই দ্বন্দ্ব কত দূর এগিয়ে যাবে তাই এখন দেখার বিষয়।
একনজরে উত্তর কোরিয়ার সমরশক্তি
জনবল (২০০৮ সাল)
মোট জনসংখ্যাঃ ২৩,৪৭৯,০৮৮ জন
মিলিটারি সার্ভিসের উপযুক্তঃ ১০,২৮০,৬৮৭ জন
প্রতি বছর মিলিটারি সার্ভিসের উপযুক্ত হয়ঃ ৩৯২,০১৬ জন
অ্যাকটিভ মিলিটারি পার্সোনেলঃ ১,১৭০,০০০
অ্যাকটিভ মিলিটারি রিজার্ভঃ ৪,৭০০,০০০
অ্যাকটিভ প্যারামিলিটারি ইউনিটসঃ ১৮৯,০০০
সেনাবাহিনী (২০০৬ সাল)ল্যান্ড-বেইজড অস্ত্রঃ ১৬,৪০০
ট্যাঙ্কঃ ৩,৫০০
সাঁজোয়া যানঃ ২,৫০০
সেলফ-প্রোপেলড গানঃ ৪,৪০০
মাল্টিপল রকেট লান্স সিস্টেমঃ ২,৫০০
মর্টার্সঃ ৭,৫০০
এন্টি-এয়ারক্রাফট উইপনঃ ১১,০০০
নৌবাহিনী
নেভি শিপঃ ৭০৮
মার্চেন্ট মেরিন স্ট্রেন্থঃ ১৬৭ (২০০৮ সাল)
প্রধান বন্দরঃ ১২
সাবমেরিনঃ ৯৭ (২০০৮ সাল)
ফ্রিগেটঃ ৩
পেট্রল ও কোস্টাল ক্রাফটঃ ৪৯২ (২০০৬ সাল)
মাইন ওয়ারফেয়ার ক্রাফটঃ ২৩ (২০০৬ সাল)
উভচর ক্রাফটঃ ১৪০ (২০০৬ সাল)
বিমানবাহিনী
মোট এয়ারক্রাফটঃ ১,৭৭৮ (২০০৬ সাল)
হেলিকপ্টারঃ ৬২১ (২০০৬ সাল)
এয়ারপোর্টঃ ৭৭ (২০০৭ সাল)
অন্যান্য
সামরিক বাজেটঃ ৫,৫০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার (২০০৫ সাল)
ক্রয় ক্ষমতাঃ ৪০,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার (২০০৭ সাল)
সড়ক পথঃ ২৫,৫৫৪ কিলোমিটার
রেলপথঃ ৫,২৩৫ কিলোমিটার
নদীপথঃ ২,২৫০ কিলোমিটার
কোস্টলাইনঃ ২,৪৯৫ কিলোমিটার
দেশটির মোট ভূমিঃ ১২০,৫৪০ বর্গকিলোমিটার