কলমবিক্রেতা নাসেরা বেগমের জন্য টাকা তোলা হয়েছিল এপ্রিল ও মে মাসে। জুন ও জুলাই পার হয়ে গিয়েছিল। আগস্টে কনফার্ম করা হয়েছে তিনি আর টাকা পাবেন না।
এরপর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর গেল। আমার দেশ ২৫ অক্টোবর রিপোর্ট করল। প্রতিবারই যখন টাকার প্রসঙ্গে কথা উঠেছে দেখা গেছে দুয়েকদিন কথা হয়। তারপর সব ধামাচাপা পড়ে।
নাসেরা বেগমের এ ঘটনার সাথে জড়িত আস্তিক ও নাস্তিক দু’পক্ষের ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা।
দুঃখের ব্যাপার হলো সবশেষ আমার দেশ-এ প্রতিবেদন ছাপানোর ব্যাপারে আশা করা হয়েছিল টাকা আত্মসাতের একটা সুরাহা হবে।
দুঃখের ব্যাপার হলো কিছুই হয়নি। ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টর এবার টাকা মেরে দেয়ার বিষয়টাকে শুধু উড়িয়েই দেয়নি। কেন রিপোর্ট করা হয়েছে এ নিয়ে বেশ চিৎকারও করা হয়েছে। চুরি তো চুরি তার উপর সিনাজুরি। এর ফলে যা হলো, মাঝখান থেকে নাসেরা বেগমের টাকা আত্মসাতের বিষয়টা ধামাচাপা দেয়া হলো।
এর সাথে কে না জাড়িত! বাকী বিল্লাহ, পারভেজ আলম, আসীফ মহিউদ্দিন, সবাক, জা না লা, মাহবুব রশিদ প্রমুখ। আরেক পাশের জনদের নাম নাই বা বলি। তারা সারা জীবন নাস্তিক নাস্তিক দোহাই দিয়ে পার পেয়ে গেলেন। পাবলিকের পকেটের টাকা নিয়ে সেটা তসরুফ করাটা যে ক্রাইম, যারা করে তারা যে ক্রিমিনাল এটা তারা সবাই আড়াল করতে চাইল।
এরপর দেখা গেল ব্লগটির মালিকানার সাথে জড়িতরাও বলল না যে তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এত্তবড় অপকর্ম করায় তাদের কি ব্যাখ্যা।
একটি সংবাদপত্র তার দায়িত্ব পালন করেছে। যারা চোর, তারা সিনাজুরি করেছে।
এসব বিষয়াশয় মিলিয়ে সামু ব্লগে আমার দেশ পাঠকমেলা নিকটি গত আড়াই বছর ধরে সক্রিয় ছিল। যথা সম্ভব তার সব চিহ্ন মুছে ফেলে এ ব্লগকে বিদায় জানানো হলো।
চোরেরা ভালো থাকুন। পারলে চুরির অভ্যাসটা ছাড়ুন। কাজ করেও পেট চালানো যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৪