ব্লগের ছাগু বিরোধী পাঠারা যে কেমন ভীতু হয় তা আজ হাতে নাতে টের পেলাম। রামপাঠা জা না লা কে তার কথা মতো খুঁজতে গেছিলাম ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে। সাথে ছিল এলাকার ছাত্রদলের ভাইব্রাদার। ভাবছিলাম পাঠাটাকে পাইলে আজ খাশি কইরা দিমু। পুলিশকেও বলা ছিল এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী জানালা ওরফে জানালারে আমরা ধরতে যাচ্ছি। আফসোস এন্ড আফসোস। পাঠা সম্প্রদায়ের কাউকে সেখানে খুঁজে পাওয়া গেল না। রুবেল, রুবেল বলে খোঁজুখুঁজি করতে ফুটপাতের এক চায়ের দোকানদার তার ছোকড়াটাকে দেখিয়ে দিল।
ভোদাই না হয়ে পারা যায়? ১০-১২ বছর বয়সী কেমনে পাঠা রুবেল হইবো! তারে চড়-থাপ্পড় দেয়াতো সম্ভব না।
পুলিশকে বলছিলাম, এলাকার স্থানীয় এক ইয়াবা ব্যবসায়ী রুবেল আমার দেশ সম্পাদকরে নাকি কি করবে। তার চৌদ্দগুষ্ঠির দৌড় নিয়া রিপোর্ট করার জন্য আমরা আসতেছি। পুলিশ বলছিল আপনারা ধরতে পারলে দিয়ে যাইয়েন।
সে নিজেরে বিরাটা সন্ত্রাসী পরিচয় দেয়ায় আমরাও ভাইব্রাদার নিয়ে গেলাম। কিন্তু তারে পাইলাম না। পোলাপানরে স্টার কাবাবে খাওয়াইতে গিয়া মাঝখানে পনেরশ' টাকা চলে গেল।
ব্লগের সবাইকে বলে রাখি যারা ব্লগে কাউকে যদি সন্ত্রাসী হুমকি দেয়, বিশেষ করে তারা যদি জাতীয়তাবাদী, ইসলামপন্থী ও সাধারণ ব্লগার হয় তাদের শুধু ব্লগেই গদাম দেয়া হবে না। বাস্তব জীবনেও তাদের সন্ত্রাসী হুমকির জন্য মূল্য দিতে হবে। তাদের নাম পরচিয় পাওয়া গেলে হুমকি দেয়ার কারণে জিডি ও মামলা দায়ের করা হবে। সুযোগমত তাদের হাতের কাছে পাইলে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
আমরা নিশ্চিত হয়েছি পাঠা ব্লগারদের সন্ত্রাসের কোন দায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বা সরকার নেবে না। তাদের দাগি অপরাধী হিসেবেই ট্রিট করা হবে।
সুতরাং জাতীয়তাবাদী, ইসলামপন্থী ও সাধারণ ব্লগাররা এদের নিয়ে মোটেই টেনশন করবেন না।