যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল ভাবে এবং দুনিয়াব্যাপি এর ফেরি করে বেরায়, সেই পশ্চিমা বিশ্বেই উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ দাস। খোদ ব্রিটেনে দাস ব্যবসার সন্ধান মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে নানা মহলে। ব্রিটিশ পুলিশ উত্তর লন্ডনের পর্যটন স্থল ‘গ্রিন একর ট্রাভেলার স সাইট’ থেকে এদেরকে উদ্ধার করে। লন্ডনের ‘দি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
সূত্র: Click This Link
একই ভাবে তৃতীয় বিশ্ব থেকে শ্রমিক নেয়ার নাম করে উন্নত বিশ্ব কিছু দাস সংগ্রহ করে যাদেরকে দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে নামমাত্র বিনিময় দেয়া হয় শুধুমাত্র জীবনটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। উদাহরন স্বরূপ ধরা যাক উন্নত বিশ্ব সিঙ্গাপূরকে। এরা বাংলাদেশ তথা আশেপাশের দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক সংগ্রহ করে। প্রত্যেক শ্রমিকের সংগে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুক্তি থাকে। কর্মক্ষেত্রে আসার পর দেখে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করানো হচ্ছে না , এমনকি চুক্তি অনুযায়ী বেতনও দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের লেভির (levy) নাম করে অর্থ আদায় করা হয় শ্রমিকদের কাছ থেকে। চুক্তিতে হয়ত প্রতিদিন ৪০ ডলার করে দেয়া হবে, প্রকৃত অর্থে দেয় ১৫ ডলার। আবার এখান থেকে প্রতিবছর পাশ নবায়নের কথা বলে কাটা হয় কিছু অর্থ। অনেক কর্মক্ষেত্রে অমানুষিক পরিশ্রম করানো হয় এদেরকে দিয়ে। এদের রাতে থাকার ব্যবাস্থা যদি কেউ দেখেন, তাহলে বলবেন এখানে মানুষ না কোন ইঁদুর বিড়াল থাকে! ১৫ স্কায়ার ফুটের এক কামড়ায় থাকে ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক। নাই কোন গোসলের ব্যবস্থা। একটা টয়লেট থাকে নামকায়াস্তে। হয়ত বেসিনের উপর দাড়িয়ে কোন মতে কাকছিটা করে গোসল সারতে হয় এই ১৫-২০ জন মানুষকে।
এদেরকে জোড় করেই রাখা হয় নির্দিষ্ট কোম্পানিতে। কেউ চাইলেও চুক্তির আগে কোথাও যেতে পারবে না। অন্ধকারের যুগেও যেমন দাসরা মালিককে ছেড়ে যেতে পাড়ত না, তেমনি এসব আধুনিক শ্রমিক নামক দাসরাও অন্য কোথাও যেতে পারে না।
এখন বলুন এটা কি দাস প্রথার নতুন সংস্করন না অন্য কিছু?
অথচ, আল্লাহর রাসুল দাসদের আজাদ করার কথা বার বার বলেছে এবং নিজেও সব দাসদেরকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে দেখা গেল ইসলামের সেই সুমহান যুগে কারও বাড়িতে দাস নামক কেউ ছিল না। আর কেউ থাকলেও হয়ত পরিবারের একজন সদস্যের মত হয়েই থাকত।
বি:দ্র: সিঙ্গাপূরের সবটাই আমার নিজের চোখে দেখা।