গতকাল এক উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে ঘটে গেল বেশ কয়েকটি ঘটনা, যার রেশ ধরে পত্রিকায় বেশ কয়েকটা মজার শিরোনাম দেখতে পেলাম আজ-----
বিচারপতিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : বিচারকাজে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখুনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন : প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর বাহাস
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই জড়ালেন তুমুল বিতর্কে
বাংলাদেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থা কেমন তা মোটামুটি সবাই জানে। উচ্চআদালতে বিচারক নিয়োগ পচ্ছেন ৩য় বিভাগপ্রাপ্ত গ্রাজুয়েটরা। অন্ততপক্ষে সাম্প্রতিক কয়েকদফায় নিয়োগ প্রাপ্তরা এই তালিকার অগ্রভাগে। এসব বিচারপতিরা বিসিএস (সহকারী জজের জন্য) পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ারও যোগ্য নন । কারন গ্রাজুয়েশনে ৩য় বিভাগ প্রাপ্তরা বিসিএস এ অংশগ্রহন করতে পারে না। এ সব বিচারপতিরা বিচারের রায় দেন উনাদের দলের নেতাদের চাহিদা অনুযায়ী। খায়রুল হকও তাই করেছেন একজন আওয়ামী কর্মী হিসাবে অর্থাৎ আমাদের প্রধান বিচারপতিও একজন দলীয় কর্মীর মত আচরন করেছেন প্রধান বিচারকের আসনে বসে, যা কোন আওয়ামীলীগের লোক অস্বীকার করতে পারবে না!
প্রধানমন্ত্রী তার কর্মী প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে নছিহত করলেন, সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে, উনি বাংলার জনগনের সাথে ভাল একটা রসিকতা করলেন মনে হচ্ছে! বিচার হবে নিরপেক্ষ ভাবে, এখানে সর্বোচ্চ কথা কেন আসবে? কিছু খাদ থাকলেই তো সর্বোচ্চ নামক বিশেষণ যোগ হয়!
সর্বোচ্চ কথাটা দ্বারা হাসিনা কি বুঝাতে চাইলেন? কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ না হলেও চলবে তাই তো?
খায়রুল-শফিকের বহাস থেকে বেশ কয়েকটা সত্য জিনিস বের হয়ে এসেছে। প্রধান বিচারপতি বললেন "বিচারকদের হাত-পা বেঁধে বলা হয় সাঁতার কাটার জন্য"। তার মনে উনি স্বাধীন না, সুপ্রীম কোর্ট তো স্বাধীন সাংবিধানিক ভাবেই, তাহলে উনারা স্বাধীন না কেন? তার জবাব একটাই উনার প্রধান বিচারপতি হয়েছেন গোপন চুক্তি করে, তাই উনার মত প্রধান বিচারপতিরা স্বাধীন নন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২১