দিনের পর দিন প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ বহিঃবিশ্বে শ্রম বাজার হারাচ্ছে, কমছে জনশক্তি রপ্তানি, আর এতে করে স্বাভাবিক ভাবেই কমছে রেমিটেন্স, বাড়ছে বেকার সমস্যা।
এর জন্য মৌলিক ভাবে যে বিষয়টি দায়ী তা হচ্ছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। প্রতিবেশী অনেক দেশ শুধু মাত্র তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল রাখার কারণে বহিঃ বিশ্বে তাদের জনশক্তি রপ্তানি দিনকে দিন বাড়িয়েই চলছে, পক্ষান্তরে আমাদের দেশ আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক দিনকে দিন খারাপ করেই চলেছি বহিঃ বিশ্বের সাথে।
বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো, রাষ্টদুতেরা আমার মনে হয় শুধু নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যাস্ত। প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট, দেশের স্বার্থ এসব দেখার সময় তাদের নেই।
যে বিষয়টি আজ আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে তা হলঃ
সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ বিগত ৩মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ নিজ দেশে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। এ উপলক্ষে পুরো সৌদি আরবে উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। আগামি শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বড় বড় শহরগুলো সাজান হয়েছে।
আমাদের (বাঙ্গালীদের) এতে কিছু আসে যায় না, কিন্তু তাদের (সৌদিদের) জন্য এটা একটা বিশেষ দিন আর এ জন্যই এই উপলক্ষে আজকের পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূতেরা, বিদেশি বড় প্রতিষ্টান সমূহ বাদশাহ কে উইশ করেছে।
আর এটা ঐসব দেশের সাথে সোউদির সুসম্পর্ক বজায় থাকার জন্য সহায়ক।
কিন্তু বাংলাদেশ, যে দেশের প্রায় ২০ লাখ লোক সৌদিতে থাকে, যে দেশ প্রতিনিয়ত সৌদির শ্রম বাজার হারাচ্ছে সে দেশের রাষ্টদুতের এসব ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা নেই।
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলতে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা পত্র পত্রিকায় দেখা যায়, কিন্তু সৌদির জাতীয় দিবস গুলোতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন শুভেচ্ছা/ উইশ/ বানি কিছুই দিতে দেখা যায় না। আজ ইংরেজি/আরবি প্রত্যেকটা পত্রিকা ভরে ছিল বিভিন্ন দেশের পতাকার ছবি সম্বলিত শুভেচ্ছায়, তন্য তন্য করে খুজছিলাম আমার প্রিয় বাংলাদেশের পতাকা, কিন্তু কোথাও পেলাম না।
আরবরা তোষামোদ প্রিয় একটুখানি প্রশংসা করলে ওরা গলে যায়। মাঝে মধ্যে সামান্য তোষামোদ করলে যদি আমাদের দেশ ও জাতির উপকার হয় তাহলে সেই তোষামোদ করতে আমাদের ক্ষতি কি?
“পেটে খেলে পিঠে সয়” সামান্য তোষামোদ আর ২টাকা মূল্যের ডঃ ডিগ্রি দিয়ে ভারত পুরো সৌদির শ্রমবাজার প্রায় দখল করে ফেলেছে। সেখানে আমাদের দূতাবাস নীরব, দেশে কি ইউনিভার্সিটির আকাল পড়েছে ? ২/৪ টা নামকাওয়াস্তে ডিগ্রি দিয়ে যদি দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্ম সংস্থান হয় তাহলে সেটা দিতে আমাদের কার্পণ্য কেন?
দেশকে ওঁ দেশের মানুষকে ভালবাসে, দেশ ও দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণকামীদের দুতাবাসে বসানো উচিত ।
বিঃ দ্রঃ আবেগবসত লিখেছি, ভুল-ত্রুতি হতেই পারে