বিন্দুর ভেতর ঘুরপাক একটি সরলরেখার সাথে জ্যামিতিক সঙ্গমে সমস্ত মায়াভ্রান্তির সৃষ্টি হলে আমরা ফিরে যাই চিলেকোঠায়। সেখানে সজনে গাছের কোটর কেটে আনা খোপে অলস রোদ পোহায় মাদকপাতা।
আমাদের এইসব উন্নাসিকতা ও উৎসবের নাম রোদংগুলি। ছোটবেলার ডাং আজ প্রখর রোদ হয়ে আমাদের করোটির গ্রীবার কাছাকাছি যখন তখন পসরা সাজায় বলে আমরা নাম রেখেছি রোদংগুলি। রোদংগুলি খেলার নিয়ম হলো, বাঁশিঅলার সুর ফেঁড়ে একটা একতারা আনতে হবে। একতারার গায়ে আগুন ধরিয়ে আমরা ঘোষণা করি সকল সৌন্দর্যের শুভসমাপ্তি।
যে কল্কেতে আমাদের মাদকপাতা ঠাসা হয়ে যায় তার নাম 'রমণী'। কুষ্টিয়ার নামহীন বাউলের সাধনযন্ত্র। নৃত্যরতা বিবসনা নারীমূর্তি। উত্তোলিত ও নৃত্যমুদ্রাময় হাতের খোপে পাতারা সব মৃত ও মৃতপ্রায় জমাট বেঁধে গেলে দাহোৎসবে আমরা সড়সড় টানি স্বর্গীয় ধোঁয়া। 'রমনী'র শারীরিক গলি উপগলি পেরিয়ে গলগল বেরিয়ে আসে বায়বীয় ধূসর অন্ধকার। যৌনপথে।
দেখতে দেখতে আমাদের চোখের সামনে সে প্রাণলাভ করে আর আদিমসুরে নাচে। আমরা অপার হয়ে দেখি। ভালোবাসি। আর আমাদের ভালোবাসাগুলো মৃত হয়ে যায়।
অতঃপর বুকের পরে পড়ে থাকে আদিগন্ত চৌরাস্তা...