একটি সমাবেশ বিনা বাধায় সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলেই কি ভারত নির্ভর আওয়ামী সরকারের পতন হয়ে যেতো? কিংবা যে সকল যুদ্ধাপরাধিদের ভয়ে তাদের নাওয়া-খাওয়া নেই, সে সকল অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যেতো? কোনটাই হতো না। হয়ও নি। আজ ১২ মার্চ লাখো জনতার সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো অথচ এর কোনটাই হয় নি। তাহলে তারা এতো ভয় পেলো কেন? ভীত সন্ত্রস্ত শিয়ালের মতো যত্র-তত্র একে-ওকে কামড়ে দিলো কেন? তারা এমন কি করেছে যে, জনগণের সমাবেশ দেখলেই ভয়ে ওদের খিঁচুনি উঠে!
বিডিআর হত্যাকাণ্ড, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যাকান্ড, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারী, বিদ্যুত কেলেংকারী, প্রতিবেশী দেশের সাথে গোপন চুক্তি, দেশের স্বার্থকে বাদ দিয়ে প্রতিবেশী দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখা, দলীয় সন্ত্রাসীদের সীমাহীন সন্ত্রাস আর দূর্নীতি কি তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে? নাকি দশ টাকা সের চাউল, বিনা পয়সার সার আর ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি তাদেরকে তাড়া করে ফিরছে? এমন কি জঘন্য কু-কাম তারা করেছে যে, জনগণের সমাবেশ দেখলেই মৃগী রোগীর মতো বেহুঁস হয়ে পড়ে?
স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রিয় রাজধানী ঢাকায় আপন অধিকার আদায়ের জন্য একটি সমাবেশ করতেই পারে। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। সরকারের উচিত সহযোগিতা করা। তা না করে সরকার উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো। তাও ভয়ংকর যুদ্ধের আমেজে! সরকারের আইন-সৃঙ্খলা বাহিনীর সাজ সাজ ভাব দেখে মনে হয়েছে এই বুঝি আরেকটি একাত্তর শুরু হয়ে গেল! অস্ত্রের মহড়া তো আছেই উপরন্ত শত্রু পক্ষ যাতে প্রিয় রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তারা!
শধু তাই নয়, রাজধানীর পতন ঠেকাতে সৈন্য-সামন্তের পাশাপাশি তারা নিজেরাও ঢাল-তলোয়ার নিয়ে কাছা মেরে রাস্তায় নেমে পড়ে! শত্রু দেখা মাত্রই তারা হামলে পড়েছে! দেশ ও জাতির শত্রুর সাথে লড়তে লড়তে সোনার ছেলেরা যাতে দূর্বল না হয়ে পড়ে সে জন্য সদাসয় সরকার এদের জন্য শাহী খানা-দানার ব্যবস্থাও করেছে অপর দিকে শত্রু পক্ষ যাতে ভাতে-পানিতে মরে সে জন্য তারা রাজধানীর সকল হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে! মাথা ভর্তি যুদ্ধের কৌশল!
কিন্তু জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি আদর্শে দীক্ষিত প্রকৃত দেশ প্রেমিক শান্তি প্রিয় জনগণ তাদের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে বলতে গেলে উপড়ে ফেলে বীর বেশে রাজধানীতে প্রবেশ করে এবং উতসবের আমেজে মহা সমাবেশ সফল করে দেশ রক্ষার দীপ্ত শপথ নিয়েছে। ভারতীয় দালালদের কোনো কৌশলই দেশ প্রেমিক জনতাকে রূখতে পারে নি। জাগ্রত জনতার গণজাগরণ দেখে তাদের বুক কেঁপে উঠে। ভারতের স্বার্থ রক্ষাকারী দলটির জন্য সামনে আরো ভয়ানক দিন অপেক্ষা করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:২০