আসো ফটোগ্রাফি যখন শিখতাছি তাইলে শিখতেই থাকি..... শিক্ষার শেষ নাই ..
গোল্ডেন রেশিওর নাম সবাই কিছু না কিছু শুইন্যা থাকবা। যারা অংক ভালো না বাসো তাদের বলি হতাশ হইবা না - এইটা তেমন কিছু না। এইটা হইলো একটা অনুপাত। বড় সাথে ছোটর বা ছোটর সাথে বড় এর । গোল্ডেন রেশিও আমরা তখনই বলবো যখন দুইট বস্তু যদি একত্রে এমন ভাবে রাখা হয় যাতে ছোট এবং বড় বস্তুটার অনুপাত ১:১.৬১৮। নীচের দুইটা ছবিতে দুইটা বস্তু দেখানো হইছে যাদের অনুপাত ১:১.৬১৮ ।
মজার কথা হইলো এই গোল্ডেন রেশিও ব্যবহার কইরা ছবিকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলা যায়। অনেক ভাবে গোল্ডেন রেশিও এর ব্যবহার হয় আসো নীচে কয়েকটা প্রয়োগ দেখি -
গোল্ডেন সেকশানঃ-
আগে কইছিলাম রুল অব থার্ডের কথা, যেখানে একটা ফ্রেম রে উপরে নীচে সমান তিনভাগে ভাগ কইরা গুরুত্ব পূর্ণ সাবজেক্টরে দুইভাগ দেওয়া হইতো বা সাবজেক্টরে চারটি ছেদ বিন্দুর কাছাকাছি বসানো হইতো। রুল অব থার্ডের একটা ছবি দেখিঃ
গোল্ডেন সেকশান এর ক্ষেত্রে ডান দিক থেকে ১:১.৬১৮ অনুপাতে একটা ফ্রেমকে দুইভাগে, বাম থেকে ডান দিকে ১:১.৬১৮ অনুপাতে একই ফ্রেমকে দুইভাগে, উপর থেকে নীচে ১:১.৬১৮ অনুপাতে একই ফ্রেমকে দুইভাগে এবং নীচ থেকে উপরে ১:১.৬১৮ অনুপাতে একটা ফ্রেমকে দুইভাগে করা হয়। যতে নীচের চিত্রের মতো দেখা যায় -
এটা অনেকটা রুল অব থার্ডের বন্টনের মতো কিন্তু অনুতপাত ভিন্ন। চারটি ছেদ বিন্দুকে বলা হয় পাওয়ার পয়েন্ট নীচে কয়টা ছবি উদাহরণ দেখিঃ
গোল্ডেন ট্রায়াংগলঃ
ফটোগ্রাফিতে এর ব্যবহার ফটোর গুরুত্ব বা নান্দনিকতা রাড়িয়ে দেয় বহুগুন। এখানে একটি ফ্রেমে দুইটি কর্ণ আঁকা হয়। এবং কর্ণের বিপরীত কৌনিক বিন্দুকে নিয়ে সমকোনী ত্রিভুজ আকা হয় নীচের ছবিতে দেখানো হলো -
এর প্রয়োগ দেখতে আসো কয়টা ছবি দেখিঃ
গোল্ডেন স্পাইরালঃ/গোল্ডেন স্পাইরাল সেকশান
নীচের ছবির মতো যদি একটা ফ্রেমকে ক্রমাগত ভাগ করে যেতে থাকি তাহলে অসীম পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব যা তোমার ফোকাস পয়েন্টকে নির্দেশ করে । যা গোল্ডেন স্পাইরাল সেকশান নামে পরিচিত।
এবং এই গোল্ডেন স্পাইরাল সেকশান এর বাহু স্পর্শ করে যদি নীচের চিত্রের মতো স্পাইরা অংকন করা হয় যা গোল্ডেন স্পাইরাল নামে পরিচিত। যার অন্তীম বিন্দু তোমার ফোকাস পয়েন্টকে নির্দেশ করবে।
ফটোগ্রাফিতে এই গোল্ডেন স্পাইরাল কিন্তু একটা শক্তিশালী অস্ত্র। আসো নীচের কয়টা ছবি দেখি যাতে গোল্ডেন স্পাইরাল ব্যবহার করা হয়েছেঃ