আগের পর্ব
এক নম্বর কথা হইতেছে যে ছবি তুলনের কোন নিদৃষ্ট নিয়ম নাই। তবে, মনি ঋষিগন নির্দেশনামূলক কিছু জিনিস বইল্যা গেছে। মানলে মানতে পারো না মানলে নাই। ছবি তুলা বন্ধ কইরো না।
সর্বজন গ্রহনযোগ্য অনেক নির্দেশনা আছে কিভাবে একটি ভাল ছবি তুলা যাইতে পারে।
কিছু কিছু জিনিষের সমন্বয় ঘটাইতে পারলে আসলেই ছবি ভাল হয়।
ক্যামেরায় ক্লিক করলে ছবি উঠবো। ক্যামেরার সামনে যা আছে সেটাই তারে কি ভাল ফটো বলা যাইবো? শিল্পী অনেক ভেবেচিন্তে ছবির মধ্যে যা বক্তব্য সেটা ফুটিয়ে তোলে। ফটোগ্রাফার হিসেবে বৎস সেটাই তোমার দায়িত্ব।
কাজেই ছবি উঠানোর আগে একবার নিজেকে প্রশ্ন কর, হে মহান ফটোগ্রফার আপনি কিসের ছবি উঠাইতে যাইতেছেন ? এর বক্তব্য কি ? ব্যক্তির ছবি উঠালে তার পোষাক, পরিবেশ, আলো এগুলা মানানসই আছে কি ? অন্য কোন পরিবর্তন কি আনয়ন যোগ্য? এর পর ক্লিক মারেন।
কি শিখলাম ? - ছবিরও বক্তব্য আছে এবং সেটা তোমার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ।
আসো আরও কিছু জিনিসের প্রতি নজর দেই।
যে ছবিটা তুলতে যাইতেছো সেটার মূল বিষয়/সাবজেক্ট রুল অব থার্ড অনুযায়ী বসাও যদি দেখ যে বিস্তর খালি জায়গা, তাতে মূল সাবজেক্ট থেক কম গুরুত্বের কোন বিষয় তুলে ধরা যাইতে পারে যাতে একটা সমতার ভাব আসে। নীচের ছবিটা দেখঃ
সবাই যে জায়গা থেকে সাবজেক্টরে দেখে সেইভাবে না দেখে ভিন্ন একটা জায়গা খুজে বের করো যেখান থেকে দেখলে সাবজেক্ট/ বিষয়টাকে চেনা যায় কিন্তু নতুন মনে হয়।
আসো নিচে একখান তাজমহলের ছবি দেখি
ধরো, একটি সুন্দর ফুলের ছবি উঠাইতে চাও। অনেকগুলার মধ্যে একটি ফুল গুরুত্বপুর্ন। ছবি সবাইরে দেখানোর পর লক্ষ্য করলা তারা সেই বিশেষ ফুলটি কেউ লক্ষ্য করছে না। কারন, ছবি উঠানো হয় নাই সেইভাবে। ছবি কাছে থেকে ছবি উঠান দরকার ছিল এমনভাবে যেখানে সেই ফুলটিই ছবির অধিকাংশ যায়গা জুড়ে থাকে। অন্য ফুলগুলির কাজ হইলো এই বিশেষ ফুলের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা। আবার যদি বিশেষ কোন বস্তু হয় তাহলেও একই নিয়মে ছবি উঠাও। ছবি উঠানোর জন্য যতটা সম্ভব কাছে যাও। কাছ থাইক্যা দেখার মজাই আলাদা।
মোদ্দা কথা হইতেছে তোমার কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ তা যেন তোমার পুরা ছবির অধিকাংশ জায়গা দখল করে । জুম কইরাও কাছে যাওয়া যায়।
কালকে বাকী কমুনে
পরের পর্ব