একটি ছাত্র সংগঠন হিসাবে জাতীয় রাজনিতির বিভিন্ন ইসু ও ক্রান্তিলগ্নে আমাদের প্রিয় ছাত্র সংগঠন সবসময় ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছে
১. ১৯৮১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতাসীন বিচারপতি আবদুস সাততারকে ১৯৮২ সালে বনদুকের মুখে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় স্বৈরশাসক হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে অগ্রণী ও বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেছে ইসলামী ছাত্র শিবির। আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, শাহবাগ ও দোয়েল চততর কেন্দ্রিক যে বিশাল ছাত্রজমায়েত ও আন্দোলন গড়ে ওঠে তার অন্যতম সঙগঠক ইসলামী ছাত্র শিবির।
শিবিরের বহু নেতাকর্মী স্বৈরশাসকের হাতে নিহত ও বন্দী হলেও শিবির মুহুর্তের জন্য ঘাবরে যায়নি। শিবিরের বিশাল সমাবেশ ও মিছিল ছাত্র জনতার প্রানে নতুন আশা ও প্রেরনার সৃষ্টি করেছে। স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের প্রধান নিয়ামক শক্তি ছিল ছাত্রদের গড়ে তোলা আন্দোলন আর সে আন্দোলনের অন্যতম শরিক ছিল ইসলামী ছাত্র শিবির।
২. ১৯৯৯ সালে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ধর্মদ্রোহিতার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে শিবির তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রমকে তথাকথিত শান্তিচুক্তির নামে মুলভুমি থেকে বিচ্ছিন্ন করার অবমিষ্যকারিতর বিরুদ্ধে গনসচেতনার সৃস্টি, আত্্মঘাতি ট্রানজিট ইসুতে প্রতিবাদি ভুমিকা পালন, বিতকির্ত কুদরই খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের নামে ধর্মহীন ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সরকারী উদোগের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ প্রতিটি জাতীয় ইসু্তে শিবিরের ভুমিকা ছিল ফটিকস্বচ্ছ
৩. ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বাঙলাদেশের জাতীয় রাজনীতির জন্য এক মহাক্রান্তিকাল। ১৯৯৬ সালের নির্বচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা আওয়ামিলিগ পর্যায়ক্রমে একদলীয় স্বৈরাচারের রুপ নিলে দেশের সব ছাত্রসঙগঠন শিবিরের সাথে মিলে গড়ে তুলে সর্বদলীয় ছাত্র এক্য যার নিরলস প্রয়াসে দেশে আবার গনতন্ত্র ফিরে আসে। ২০০১ সালের নির্বাচনে শিবিরের ভুমিকা ছিল প্রচন্ড প্রত্যয়দিপ্ত, পরিশ্রমি ও আত্মত্যগী। বিষয়টি সর্বজনবিদিত ও প্রশংসিত (চলবে)
১. ২৬ শে জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:১২ ০