আন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুস্থ্যভাবে দেশ চালাতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে, কথাটি আগেই বলেছিলাম । তার কিছুটা নমুনা শুরু হয়ে গেছে। এখন কিছু লোকের মাঝে শুরু হয়েছে “আগেই তো ভালো ছিলাম”।
এতোদিন যারা স্বৈরাচারী রাজত্ব করে এসেছে তাদের আয় ইনকামের কোন হিসাব ছিল না। কিন্তু বর্তমানে তারা কোনঠাসা হওয়ায় অনেকের অবৈধ ইনকাম বন্ধ। এই কোনঠাসা হওয়াটা কোনভাবেই তারা মেনে নিতে পারছে না। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে আর্থ আত্মসাত করা লোকজনের ঘি ভাতে ছাই পড়েছে। এমন অবস্থায় এই সরকাররের কোন ভালো কাজকেই তারা ভালোভাবে করতে দিবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করাসহ চুরি ডাকাতি ছিনতাই করে দেশকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে এবং শুরু করেছে।
বর্তমানে যে অবস্থা শুরু হয়েছে ফখরুদ্দিন সরকারে সময়ও একই অবস্থা হয়েছিল। বাজার সিন্ডিকেটের সাথে কুলোতে না পেরে ফখরুদ্দিন সরকারের সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ বলতে বাধ্য হয়েছিলেন ”ভাতের বদলে আলু খান”। এবারো সেই অবস্থাই দেখতে পাচ্ছি। একটি কথা আছে “সুবক্তা সুশাসক নাও হতে পারে”। তেমনি অতি ভদ্রলোকের পক্ষেও কথাটি অনেকটা প্রযোজ্য। যারা সিন্ডিকেট করে দুর্নীতিবাজী করে এতদিন টাকা পয়সা কামিয়ে আসছে তাদের ঢিলেঢালা শাসন ব্যবস্থা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। সাধারণ জনগণ অবৈধ ইনকাম নয় বৈধ ইনকামের মাধ্যমে সৃশৃঙ্খলভাবে শান্তিতে থাকতে চায়। তাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়া মানেই বুঝতে হবে সরকারের শাসন ব্যবস্থায় কোন দুর্বলতা দেখা দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭