-এই রিতু, রেডি হইছিস তুই ?
- হচ্ছি দোস্ত, হচ্ছি। এতো তাড়াহুড়ো করলে চলবে ! একটু সাজুগুজো করতে হবে না ! কপালে টিপ দিতে হবে, বাসন্তী রঙের শাড়ি পরতে হবে। আরো কত কী... নাকি এমনিতেই চলে আসবো বল !!
- না না... পর পর পর..
চঞ্চল আবার রিতুকে ফোন দেয়। তার আর দেরী সহ্য হচ্ছে না। সে হলুদ পাঞ্জাবীটা পরে বসে আছে।
- কিরে রিতু ! আর কতক্ষণ ?
- এইতো শেষ শেষ শেষ.....
চঞ্চল একটু পর আবারো রিতুকে ফোন দেয়। গম্ভীর স্বরে বলে,
- কী রে... আর কতো ?
- স্যরি দোস্ত । তোর সাথে আজ আর বের হইতে পারছি না।
- কেনো ?!!
- ঐ যে রুহেল ভাই আছে না, আমাদের ডিপার্টমেন্টের রুহেল ভাই, এই মাত্র উনি ফোন দিয়ে বললেন উনার সাথে একটু বের হইতে। কিভাবে না করি বল ! আফটার অল ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই !!
চঞ্চল একটু পর আবারো রিতুকে ফোন দেয়। রিতু'র মিষ্টি কন্ঠের ন্যায় একজন সুকন্ঠি বলে ওঠে- দুঃখিত, এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব নয় !!
ফাগুনের প্রথম দিনে পাঁচ বছর আগের এই মুহূর্তটার কথা মনে পড়লে চঞ্চলের গা জ্বলে। তখন অবশ্য তাদের ভালোবাসাবাসি শুরু হয়নি। শুধু বন্ধুত্বই ছিল। তবে আজও সে রিতুর কাছে জানতে চায়- কেনো এমন করলে সে দিন ? কেনো তুমি আসনি ?
রিতু এটা বলে, সেটা বলে। তবে চঞ্চলের মনঃস্ফূর্ত হয় না। এবার সে চঞ্চলের হাত ধরে বলে- কথা বাড়িও না তো, চলো চলো...সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরতে হবে। বাবুকে নিয়ে পড়ার টেবিলে বসতে হবে না !!
চঞ্চল মাথা নাড়িয়ে বলে- হ্যাঁ..হ্যাঁ. চলো চলো। সূর্য ডুবার আগেই যে বাসায় ফিরতে হবে !!
চঞ্চল রিক্সায় উঠে রিতুর হাত ধরে মিনমিনিয়ে বলে- ও রিতু, বসন্তের ঐ দিনে কেনো তুমি আসনি ?
ছবি : গুগলমামা