১.
সব পাখি ঘরে ফেরে
যে পাখির ঘর নেই তারও আছে ফিরবার তাড়া
খড়কুটো-বিচালি ছড়িয়ে রাখা উষ্ণতার ওমে
ঝড় এলে তারও বুক কাঁপে
কামার্ত ডানায় সেও ঠোঁট রাখে অন্য পাখির পালকে
আমাদের পাখিগ্রহে
যে পাখি জানে না গান-তারও প্রাণে
বেজে ওঠা বিস্ফারিত বেদনার ধ্বনি
আমরা শুনি না,
অথচ যে গৃহত্যাগী পাখি
গৃহ নির্মাণের কলাকৌশল সমূহ প্রনালীসহ
আমাকে শিখিয়ে আকস্মাৎ
ডানা মেলে জুড়ে দিল বাউলা উড়াল,
তাকে কি করে ফেরানো যাবে-
আকাশ সীমান্ত ভেঙে তার গান
ভিনদেশী পাখিদের কানে পৌছোবে
আর কি সর্বনেশে
কাণ্ডটাই না ঘটবে যখন
পাখির বাসার জানালা দিয়ে
তাকিয়ে এসব দেখব আমি !
২.
ঘুমোলে পর সেই পাখিটি এসে
আমার বুকের লোম ঠুকরে তোলে
(ওর শয্যা বানাতে নাকি এসবই চাই)
আমার যখন জেগে উঠবার সময়
পাখিটা তখন ঘুমোবার আয়োজন করে
(ওর শয্যাসামগ্রী বলতে গতরাতে আমার
বুক থেকে তুলে নেয়া লোমের স্তূপ)
জেগে দেখি আমার বুক থেকে রক্ত
ঝরে ভিজে গেছে স্লিপিং গাউন
( ওর তীক্ষ্ণ ঠোঁটের ধারে আমার
বুকে তৈরী হয়েছে ক্ষত )
এরপর আমি আমার বুক কাউকে দেখাইনি আর
(পোশাকের আবডালে সেই ক্ষত লুকিয়ে রেখেছি)
পাখিটি ঘুমোলে আমি ওর ডানাদুটো
খুলে নিয়ে দেখব ওড়া যায় কিনা
(চেষ্টা করে দেখা যাক, যদিও পাখির চেয়ে
মানুষের ওজন বহুগুণ)