দাহকাল শেষ হবার কালে যখন
বৃষ্টি নামল মুষলধারে--পৃথিবী তখনো অনাবৃত
মহাকাশ থেকে বিচিত্র অগ্নি-আলোক-তেজ
এলো বীর্যবিক্রমে, আর বীজময় জলের গর্ভে
জন্মাল সসীমের অসীম ছোঁবার সাধ--
আত্মসৃষ্টিজাদু জানল সবুজ। ধরাকে ঢেকে দিল মায়ের আঁচলে
বায়ুর চাদর মিহি--কোমল কোলে রক্ষা পেল শিশুপ্রাণ
বায়ুর ঘ্রাণে, বায়ুর দানে বাঁচতে শিখলো জীবনসুন্দর!
অতঃপর সাঁতার ছেড়ে মাটিতে এসে হাঁটতে শেখা
সসীমের অসীম দেখবার মহৎ সাধ--
ক্ষুধা ও কামে প্রেষণা্য় উজ্জীবিত-শক্তিসঞ্চারী
অগ্নি হলো বশ--মাটি হল কোদালের পদানত..
সাথে সাথে যেন ফুটতে থাকলো চোখ।
শ্রমে প্রস্ফুটিত চোখ সীমাহীন বিস্ময় নিয়ে
নিজেকে দেখতে চায়--ভীষণ তেষ্টায়
ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিক--উৎসুক সাধ
দৃষ্টিসীমা বাড়াতে চায়। কখনো পর্বতারোহী
দেখে আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ সমতল, কখনো
পাখির ডানায় চেপে বিস্তৃত জলরাশি
নানান রকম সত্যে হয়ে ওঠে সুন্দর।
কখনো যদি মিটে যায় ক্ষুধা ও কামের প্রয়োজন
দেখবার-খুঁজবার সৃষ্টিশীল তৃষ্ণায়
সসীমের অসীম ছোঁবার স্পর্ধা টিকে থাকে
সংগ্রামে সাধ চলে আসে সাধ্যের আরো কাছে
আর অসীমের দিকে দৃষ্টি তার পড়ে থাকে।