১.
চেতনার বারুদ চটচট ফোটে
মগজে শব্দের ঝলসানি
দু'একটা প্রজাপতি পংক্তি
যদি পারি ধরে আনি
সব যায়না ধরা, ফস্কে যায়
আবছা সব ছবি
তবু পদ্য লেখার সময়-মনে হয়
আমিই শ্রেষ্ঠ কবি!
২.
রাতজেগে বিন্যাস সমাবেশ শব্দের
ডুবসাঁতারে শ্বাসরোধ হয়ে আসে
মরটিন নিকোটিন একসাথে জ্বলে
পঞ্চেন্দ্রিয়ের সংবেদনের সাথে
ওপেনটি বায়োস্কোপ খেলা
মুক্তোর মালা-রেণুবালা ছাড়া কারো গলায়
শোভা পায় কি? কিসের যেন ছোটাছুটি
অবিরাম অস্থির দিগ্বিদিক....
কত উদ্দীপনা-অনুরণন-জৈব রসায়ন!
তবু কী তৃপ্তি মেলে?
৩.
আমার ভেতর আদি কবিতার পান্ডুলিপি
আমার ভাগ্যলিপি যেন-
মিহি সূতোয় বাঁধা পেঁচানো সিঁড়ি।
জীবনভর প্রুফরিডিং
সংশোধন ,পরিমার্জন চলে
প্রকৃতি সে এক অতৃপ্ত কবি
হাজার কোটি বছর ধরে লিখে চলে
আমার ভেতর,তোমার ভেতর।
এসো তুমি আমি মিলে
লিখি রাতভর; রাত ভোর হয়ে যাক
প্রকৃতির চেয়ে বড় কবি হয়ে উঠি
যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত হোক
নতুন ছন্দ-উপমা-ব্যঞ্জনার কবিতা।
জগতে সৃষ্ট সবই যৌথ পান্ডুলিপি।
৪.
কালের পলি জমা হতে হতে
নিত্য নতুন শিল্পীর আঙুল পরশে
রোদে-আগুনে-বৃষ্টিতে
স্থিত হতে হতে
অনুরণিত হয় মগজের কোনায় কোনায়।
অবচেতনের নিদ্রিত অনুভূতি
ভূত-ভবিষ্যত ঘুরে বর্তমানে
জীবন্ত হয়ে যায় অক্ষরে-শব্দে।
আমার এ অক্ষর বিবর্তিত হয়ে এসেছে
আমার প্রতিটি শব্দ বিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে
চেতনে-অবচেতনে,ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ও মিথস্ক্রিয়ায়।
বিবর্তিত হওয়া মানেই বেঁচে থাকা,
বিবর্তিত হওয়া মানেই প্রসারণশীল মহাবিশ্বের
শেষ প্রান্ত পর্যন্ত দৌড়ে যাওয়া-অসীমতক।
কবিতা- সেতো বিবর্তনের একটি কালের
মননের স্হিরচিত্র-ভবিষ্যতের ফসিল!