শেষ বিকেলের রোদ সহমরনে
আল নোমান শামীম
বাসরীয় সন্ধা,
তারও একটু পর,
হিমেল হাওয়াদের উড়াউড়ি, অকারন লাজে কিশোরীর মতো,
ঘাসের বনে নিশ্চিত আশঙ্কা এক্ষুনি টুপকরে ঝরে পড়বে শীতের ওমেরা,
যেখানে অভিমানি আকাশ মুখ লুকিয়েছে মেঘেদের কোলে, সেখানে
মন্থনে উঠে আসে কালো ঘুঙুর সন্ধার সেতারে ভেসে তিলোক কুমুদে,
আমি বলে দিতে পারি,
বিপ্র হবে সাধনা পুজারীর,
তোমার পিঠের নরম জমিনে, আজ সুরেরা করবে বাসনা রাইকিশোরীর,
সেখানে ঘাসের ছোঁয়ায় ঘাস ফরিঙেরা করবে বাসর সজ্জা,
নিক্কনে বলে দিতে পারি, তোমার শিহরিত পল্লবের রোমধনু
দ্রৌপদীর আঁচলে বসাবে পুরুষের সাতকাহন,
তারওপর,
কোনো এক সান্দ্র পুবালি বা’য়ে
তোমার কোমড়ে উঠে আসা ধনুকের টানটান উচ্ছাস,
কোনো পারিজাত নিটোল পুকুরের ছায়ায় আমার নিশ্বাসে
স্বপ্নের পরিপাটি বুঁননে আঁকবে প্রেমের কুটীরখানি, পিছলে
পড়া শরতের জোৎস্নার আলো,
আমি আসমুদ্র তৃ-ায়
সাধকের ধ্যানে কাটাই লক্ষ আলোকমৃত্যু, তোমার নাভীমুলে, কাব্যের
ঝংকারে কি তীব্র খুঁজে বেঁড়াই উপমার নিকোনো উঠান, অমর্ত্য
জলের ছবিতে বিদগ্ধ হয় অস্রু, আমি ক্রমশই টের পাই-
একই রুদ্রাক্ষে বেঁধে রাখা যাবে না অভিমানি মেঘেদের নুপুরের নিক্কন,
দ্রৌপদীর আঁচল, শরতের প্রশান্ত প্রহরের স্থির প্রতিচ্ছবি।
অতঃপর -
প্রমোদ বিলাসে তোমার ওষ্ঠে কেঁপে ওঠে টলটলে দীঘি,
প্রণয়ের ঝড় শেষে, সিঁথিতে নাচে শেষ বিকেলের রোদ সহমরনে,
ধবলকান্তি কাশফুলে কেবলই একতারার বিনম্র একাগ্রতা এখন-
এই বাসরীয় সন্ধায়।
২৯-০৫-২০০৮
[email protected]