নীচের ঘটনাগুলি মিলালে খারাপ কিছু একটার আভাস পাওয়া যায়:
=============================================
১। পশ্চিমবংগ রাজ্য সরকারের অজান্তে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে মমতা ব্যানার্জি। ভারতীয় সেনাবাহিনী বলতেছে তারা জরুরী পরিস্থিতিতে কতগুলি ভারী যানবাহন সংগ্রহ করতে পারবে তার উপর জরিপ চালাচ্ছিল (সাথে আরো কোন জরিপ চালিয়ে থাকতে পারে যা তারা বলবে না)। এই জরিপটা শুধু পশ্চিমবংগে না বরং ভারতের উ্ত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতেও - মানে বাংলাদেশকে ঘিরে চালানো হয়েছে। এর একটা মানে: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন একটা অঘটন ঘটিয়ে (জংগী হামলা/ কোন পলিটিকাল হাই প্রোফাইল হত্যাকান্ড) নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাতে ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের প্রবেশের প্রয়োজন হতে পারে। যা হাসিনা সরকারের চাইতেও আরো বেশি পাপেট টাইপের কোন সরকার অথবা এসকে সিনহার নেতৃত্বে কোন ধরনের একটা হার্ডকোর হিন্দুঘেঁষা সরকারের এসটাবলিশমেন্টের উ্দ্দেশ্যে পরিচালিত হতে পারে।
২(ক)। সম্প্রতি শেখ হাসিনা এবং মমতা ব্যনার্জি দুজনই বিমানের তেল লিক জনিত দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাতে পারতেন, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। (খুব কাকতালিয় তাই না?)
২(খ)। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" একই ধরণের প্লট বারে বারে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। উদাহরণ: "পিলখানা বিদ্রোহ" প্লটের আগের "আনসার বিদ্রোহ" প্লট ষ্টেজ করা হয়েছিল। "পিলখানা বিদ্রোহ" প্লটের একটা অংশ ছিল "বিডিআর-সেনাবাহিনী যুদ্ধ লাগিয়ে সেই সুযোগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বাংলাদেশে অভিযান", যা তখন ভাগ্যক্রমে ব্যর্থ হয়। এবারও সিমিলার প্লট নিয়ে তারা আগাতে পারে।
২(গ)। সামরিক বাহিনীর যে কোন অনুষ্ঠানে হাসিনা সবসময় সেনাবাহিনীকে হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে বলে, আমার প্রশ্ন হল "কেন?"
৩। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে, ভারতের বাংলাদেশ আক্রমন করতে হলে আমেরিকা/জাতিসংঘকে ভয় করতে হবে না।
৪। চীন যাতে ভারতের "বাংলাদেশ-আগ্রাসনে" কার্যকর ভাবে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য "ভারত-আমেরিকা-সামরিক-চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেছে"
৫। হাসিনা সরকার ভারতের বন্ধুপ্রতীম দেশ হওয়া সত্যেও চীনের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করল কেন, বাপেক্সের চেয়ারম্যানকে কিকআউট করে রাশিয়ান তেল কোম্পানিকে দাওয়াত দিয়ে ডেকে আনার উদ্দেশ্য কি? তাহলে কি তারা ভিতরে ভিতরে ভারতের দূরভিসন্ধি উপলদ্ধী করছে?
৬। কিছু উগ্রবাদি হিন্দু ফেসবুক পেজ/আইডির ভাষ্য অনুযায়ী ভারতের উগ্র হিন্দুরা হাসিনা সরকারকে ২০১৭ সালের পরে আর সময় দিতে চায় না, হাসিনা সরকারের উপরে তারা ক্ষিপ্ত।
৭। বাংলাদেশের বেকুব জনগন [গোখামু রা, মানে গরু খাও্য়া মুসলমানরা] আওয়ামিলীগ-বিএনপি/জামাত কোন্দলে ব্যস্ত থাকায় আসল শত্রু ভারতের মুভমেন্ট সবসময় ওভারলুক করে, যা ভারতের জন্য একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট।
উপরের কথাগুলো যোগ করলে আমার মনে হয়, কাছাকাছি সময়ে আমরা ভারতের সরাসরি সামরিক আক্রমনের শিকার হতে পারি। আপনারও যদি তা মনে হয়, তাইলে লেখাটা সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, ঘটনা যাই হোক সচেতনতার কোন বিকল্প নাই।
সামুর এডমিন লেখাটা মুছে দিতে পারে, তাই কপি রেখে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮