আরে ভাই একটু সরে দাড়ান, রাস্তার মাঝখান দিয়ে কউ এভাবে হাঁটে?!!
আপু .হর্ণ বজালাম তাও সরেন না কেন?
ওই রিক্সা সাইড দেন, সিগনাল না দিয়েই ডানে বামে কাটেন ক্যান?
এইগুলো আমার নিত্যদিনের বাক্য হয়ে দাড়িয়েছে। কোন এক্সিডেন্ট হলে মানুষ শুধু যানবাহন চালকদেরই চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে। একটা এক্সিডেন্টে যেমন চালকের দোষ থাকে তেমনি ভিক্টিম এর ও দোষ থাকে। আমরা জ্যাম এ ঘন্টা খানেক দাড়িয়ে থাকতে পারি অবলিলায়, কিন্তু রাস্তা পারাপারের সময় কারও এক সেকেন্ডের ধৈর্য্য থাকে না। ওভর ব্রিজ ব্যবহার তো করতেই চাই না আমরা। ওভার ব্রিজে হকাররা তাদের ব্যবসা করে! সিগনাল ছাড়ার পর মানুষের হেটে রাস্তা পার হওয়ার উত্তেজনা বেড়ে যায়। মনে হয় গাড়ির সাথে সাথে মানুষগুলো সব একসাথে পার না হতে পারলে বোধহয় তাদের কোটি কোটি টাকার লোকসান হয়ে যাচ্ছে। তাই জীবনের ঝুকি নিয়েই রাস্তা পার হতে থাকে। রিক্সার কথা না ই বললাম.. আমরা যখন রিক্সার যাত্রী থাকি তখন মনে হয় শালার গাড়িগুলো খুব বেশি হয়ে গেছে, গাড়িঘোড়া যদি একটু কম থাকতো। আর যখন গাড়ি বা বাসের যাত্রী হই তখন মনে হয় রিক্সাওয়ালারা যত্র তত্র রিক্সা ঢোকায় দেয়। এদের কান্ড জ্ঞাণ নেই, কোত্থেকে যে আসে এইগুলা। সারা রাস্তা জ্যাম করে রাখে।
রাস্তায় কিছু আন্টি , আঙ্কেল এর দেখা পাওয়া যায় যারা রাস্তাকে তাদের বাসার সামনের লন মনে করে চলাফেরা করে থাকেন।রাস্তার এক পাশ হোক আর মাঝখান হোক, তারা সামনে পেছনে না তাকিয়েই চলতে থাকেন। আবার কোন যানবাহনের ধাক্কা খেলে ঐ চালকের তো খবর করে ছাড়েন। কোন গাড়ি বা বাইক আসতেছে দেখেও হাত তুলে সিগনাল দিয়ে রাস্তা পার হতে থাকে। দেখেও না যে ঐ গাড়ী থামলো কি না।সব গাড়ীর ই ব্রেক ভালো নাও থাকতে পারে এটা ভাবে না। আর এভাবেই এক্সিডেন্ট করে।
গাড়ীর তো চার চাকা..যেকোন সময়েই ব্রেক করা যায়, কিন্তু বাইকের বেলায় কিন্তু এইটা এতো সহজ না। প্রথমতো বাইক সম্পূর্ণ চালকের উপর নির্ভরশীল। বাইক একা একিই দাড়িয়ে থাকতে পারেনা, ব্যালান্সের একটা ব্যপার আছে এতে। এটা নিয়ন্ত্রন করা গাড়ীর মতো সহজ নয়।
হাত ওঠালাম আর বাইক ধাম করে থেমে যাবে এমনটা সবসময় হয়ে ওঠেনা। একটু সচেতন থাকতে হবেযখন রাস্তা পারাপারের সময় বাইক দেখবেন।কয়েক সেকেন্ডের ভবযাপার একটু অপেক্ষা করলে নিশ্চই খুব ক্ষতি হয়ে যাবে না!!
ধৈর্য্য ধরুন, সুস্থ থাকেন। জীবন একটাই, একবার গেলে আর ফেরত পাবেন না।