১ম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব :
৫) রাত আনুমানিক ২টা । ধান ক্ষেতের আইল ধরে হাটছেন মন্টু কাকা। রাতে অন্যের জমিতে পানি সেচ দেন ওনি। দিনে বেলা গ্রামে বিদ্যুৎ থাকেনা বিধায় রাতেই দিতে হয়। পানির ড্রেন ইদুরে গর্ত করে অনাকাংক্ষীত জমিতে পানি বের করে দেয় তাই রাতে চেক করতে হয়। আজ সাথে তার সহকারী সোলাইমান ভাই নেই। তেমন বাতাস ছিলনা সেদিন, গরম পরেছিল। একা একা ড্রেন চেক করতে করতে জঙ্গলমতো একটা জায়গা পার হচ্ছিলেন ওনি। জঙ্গলে বাশঁঝাড় ছিল অনেক। হঠাৎ একটা বাঁশ কড় কড় কড় শব্দে তার থেকে ৩/৪ হাত সামনে নেমে আসে। এমনিতে সে সাহসী মানুষ রাত বিরাতে কাজ করেন, তবুও বুকটা হঠাৎ কেপে ওঠে। এতোগুলো বাশেঁর মধে হঠাৎ একটা বাস যদি নেমে আসে রাস্তায় মাথা নুয়ে থাকে তো যে কারও বুক কেপে উঠতেই পারে ! মন্টু কাকা তার হতে থাকা কোদাল দিয়ে বাসে অনেক জোড়ে একটা বাড়ি মেরে বলে তুই আমাকে ভয় দেখাস কেন? বাস টা তখন সড় সড় করে উপরে উঠে যায়। এর পর আরও গিয়েছে ঐ জায়গা দিয়ে অনেক রাতে কিন্তু আর কোনো সমস্যা হয়নি।
৬) দক্ষিনচরা (গ্রামের দক্ষিন দিকের আবাদি জমিগুলো) তে অনেক রাতে নাকি একটা কিছু দেখা যায় যার শরীর আছে কিন্তু মাথা নেই। ঐ টার একটাই চোখ তাও আবার বুকে। অনেক হাটুরে নাকি দেখেছে ঐটাকে। দক্ষিনচরার শেষে মাথা দিয়ে গেছে বড় সড়ক। আগে অনেক সুনসান ছিল রাস্তাটা কোন বাড়িঘর ছিলনা। ঐ রাস্তায় অনেক ডাকাতি হতো নির্জন থাকার কারণে। এখনো তেমন বাড়িঘর নেই চারপাশে শুধু জমি। ডাকাতরা অনেক মানুষ মেরে ফেলে রাখতো বড় সড়কের কালভার্ট এর নিচে। তাদের একজনের নাকি মাথা কেটে ফেলেছিল, তার পর থেকেই ঐটা দেখা যায়। পাশেই আবার বিল আছে, একজনকে নাকি বিলে ওল্টো করে গেথে রেখেছিল।
চলবে.................এখন আর লিখতে ইচ্ছে করছে না