একজন স্মার্ট ছেলে দেখলে আমি আড় চোখে তাকাই। অনেক সময় ভাল লাগে। কখনোই কামনা বোধ করিনি তাও নয়। আমার এক বান্ধবী পছন্দ করতো একটু বেশি বয়ষ্ক ছেলে। ওর কাছে তাদের দায়িত্ববান বলে মনে হতো। জিন্স টিসার্ট পরা ছেলেকে আমার ভাল লাগে; অনেক সময় কোর্টটাই পড়া ছেলেকেও ভাললাগে, আকর্ষণ বোধ করি। তবে মেনমেন টাইপের ছেলেকে একেবারেই পছন্দ করি না। একটি ভাল কণ্ঠ শুনেও অনেক সময় বুকে বেজে উঠে। মোবাইলে কথা বলে হয়তো একারণেই বিভ্রান্ত হয়েছিলাম একবার। পুরুষকে দেখলে অন্যবান্ধবীদেরও কামনা জাগে। কাউকে কাউকে কল্পনা করে রাতে দুস্বপ্নও দেখি। বিছানায় শুয়ে অনেককে কামনা করে বালিশ জড়িয়ে ধরি। চিত্র জগতের সালমান খানকে আরাদ্ধ মনে হতো। আবার অভিষেককে একেবারেই ভাললাগে না। আমি বিএনপি না করলেও তারেক জিয়াকে ম্যানলি মনে হতো। জয়ও আকর্ষণীয়। এ হিসাবে রাহুল গান্ধীকে আকর্ষণীয় মনে হয় না। আমার মনে হয়, যেসব পুরুষকে দেখলে যৌন আবেগ সুপ্ত হলেও জেগে উঠতে চায় তাদেরই ভাল লাগে। বাংলাদেশের অধিকাংশ পুরুষ রাজনীতিবিদদের দেখলে বমি আসতে চায়। ওদের সাথে সম্পর্কের কথা ভাবতেই পারি না। ওরা একেবারেই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। কেউই হয়তো জিমে যায় না। খেয়ে খেয়ে মোটকু হচ্চে। কাউকে কাউকে বুদ্ধিজীবীদের মতো দেখা যায়।
পৃথিবীতে পশুপাখির মধ্যে সম্ভবত নারীর চেয়ে পুরুষ সুন্দর। আমিও মনে করি মানুষের ক্ষেত্রেও এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা নয়। পুরুষ পশুপাখি যৌনতাড়তায় নারীদের আকৃষ্ট করতে অনেক চেষ্টা করে। পুরুষরাও নারীকে আকৃষ্ট করতে অনেক কিছুই করে যৌন তাড়নায়। পশুসুলভ মিলটি রয়ে গেছে বিবর্তনে অনেক পরিবর্তন হলেও। তবে মানুষ হিসাবে নারীরাও পাল্টা তাড়না বোধ করে, কাউকে কাছে পেতে তাদের মন কেমন কেমন করে। এখানেই মনে হয়, ঈশ্বর যদি নারী হতো তাহলে নিশ্চয়ই পুরুষকে বোরকা পড়ার নির্দেশ দিতো। তখন পুরুষরা বোরাকা পড়তো যাতে নারীরা কামার্ত হতে না পারে। কি মজাই না হতো!!! তবে এটাও চাই না। মানুষ সাভাবিক থাকুক, নারী পুরুষ মিলেমিশে থাকুক।