এক সময় ৮ থেকে ১৫ পছরের মধ্যেই মেয়ে শিশুদের বিয়ে হয়ে যেত তার থেকে সামান্য বড় ছেলেদের সাথে। অবশ্য বড় পুরুষরাও শিশু কন্যাদের ৩ বা ৪ নম্বর স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করতো। এখন সময় বদলে গেছে। ১৮ বছরের নিচে কম শিশু কন্যাদেরই বিয়ে হয়। আবার যে মেয়েরা পড়াশুনা করে তাদের বিয়ের বয়সটা ২৫+ এ গিয়ে ঠেকে। ছেলেদের ক্ষেত্রেও বিয়ের বয়সটা আরো বেড়েছে। অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে ৩৫+ এ বিয়ে করছেন। এ বয়স পর্যন্ত অধিকাংশ ছেলে মেয়েরাই যৌন অভিজ্ঞতা অর্জন করে না। অথচ সকলেরই স্বাভাবিক যৌন তাড়না থাকে। যৌন চাহিদা কেউই মেটাতে পারছে না বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার কারণে। আইনের শৃঙ্খলে যৌন তাড়না আটকে রেখে কিশোর-কিশোরীদের; তরুণ-তরুণীদের সমস্যার দিকেই ফেলে দেয়া হচ্ছে। আজ যাদের বখাটে হিসাবে চিহ্নিত করে, পত্রিকায় কান ধরে উঠবস করানো ছবি ছাপা হচ্ছে তারা সকলেই কি নষ্ট হয়ে গেছে?
বখাটেপনার সমস্যাটা প্রকট হয়েছে। আমিও বিভিন্ন সময় বখাটেদের পাল্লায় পড়েছি; বকা দিয়েছি; চড় দিয়েছি। আজ চিন্তা করছি কেন ছেলেরা বখাটে হচ্ছে? অনেক ভাল পরিবারের ছেলেরাও বখাটে বলে চিহ্নিত হ্েচছ। আমেরিকায় নাকী কিশোরীদের জন্মনিরোধক টেবলেট মায়েরা খাইয়ে দেয় যাতে তারা গর্ভবতী হয়ে না পড়ে। অর্থাৎ কিশোরীরা যৌন অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তাতে মায়েদেরও সম্মতি থাকে। কোথাও পড়েছি, মাধ্যমিক পর্যায়ের কিশোর-কিশোরীদের রাস্তাঘাটেও ভালবাসতে দেখা যায়। আড়ালে আবডালে তারা যৌনতায় লিপ্ত হয়। আমাদের কিশোর-কিশোরীরা ভূগছে যৌন দুর্ভিক্ষে। আমাদের যৌনতাড়িত কিশোর-যুবকরাই বখাটে নামে পরিচিত হচ্ছে। এই কিশোর-যুবকরা যদি ভালবাসার কাউকে পেত তাহলে বখাটে হতো না। আমরা এমন একটি সমাজ গড়েছি, যেখানে চরিত্রবান বলতে বুঝায়, যৌন আবেগ চরমভাবে স্তিমিত রাখাকে। চুরি-দুর্নিতি, ঘুষ-সন্ত্রাসকে চরিত্রহীনের পর্যায়ে রাখে না। মা-বাবারা এমনই মেয়েকেই চায়, যারা যৌনআকাক্সক্ষাকে চরমভাবে অবদমিত রাখবে এবং নিজেদের পছন্দ মতো বিয়ে দিবে। কোন মেয়ের যৌন বিষয়ে কোন ঘটনা বা প্রেম সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটলেই মেয়েটির জীবন কালো আঁধারে ঢেকে দেয়া হয়। যেন মেয়েটির সর্বনাশ হয়ে গেছে। সবাই গেল গেল রব তোলে। এর পিছনে ধর্মীয় বিধিনিষেধই প্রধান ভূমিকা পালন করে। এদেশে সমাজ চলে ধর্মীয় বিধিনিষেধকে আমলে নিয়ে। সময়ে ভালবাসার সুযোগ না পেলে তরুণরা যদি বখাটে হয়ে যায় তার দায় তরুনের নয়; সমাজের সরকারের।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:২৯