ভারত-পাকিস্তান খেলার সময় সব থেকে মানুষিক যন্ত্রনায় থাকে ঘাপটি মেরে থাকা নাপাকি প্রেমে মত্ত ঘৃণ্য প্রজাতিটি।
খেলার দুই তিন দিন আগ থেকেই এদের ল্যাঞ্জাটা উল্টাপথে গলায় এসে আটকে থাকে। এরা না পারে ল্যাঞ্জা টা কেটে ফেলতে না পারে বের করতে।
সামাজিকভাবে অবাঞ্চিত হবার ভয়ে এই ইতরগুলা অধিকাংশ সময়ই স্পষ্ট করে মুখে প্রকাশ করতে না পারলেও মনের মধ্যে নাপাকিপ্রেম জমে ডাষ্টবিন হয়ে যায়।। আর ওই নোংরা ডাস্টবিন থেকে পচা দূর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে ভারত বনাম মারখোর ছাগলদের খেলার সময়।
ছোট বেলায় না বুঝে হয়তো অনেকেই সাপোর্ট করছে কিন্তু সব কিছু বোঝার পরও যারা ফাকিস্তানের সাপোর্ট করে কিংবা ধর্মের দোহাই বা ভারত বিদ্বেষীতার মন্ত্র দিয়ে পাকিস্তান সাপোর্ট কে হালাল করতে চায় তাদের কে স্রেফ নরকের দূর্গন্ধযুক্ত কীট মনে হয়।
পাকিপ্রেমীদের একটা বহুল ব্যবহৃত লাইন হলো..
"বৃটিশরা আমাদের দাদার শত্রু.. ফাকিস্তানী জাউরাগুলায় আমাদের বাবার শত্রু.. আর ভারত আমাদের শত্রু.."
কিছু সাধারণ মানুষও এই ভুল থিউরিটা বিশ্বাস করে ফাদে পা দেয়। অথচ অনেকে জানেই না বাশেরকেল্লার লাইকার ও ছাগু সমাজ এই থিউরিটা তৈরিই করেছে মূলত তাদের মনের গহীনে লালন করা নাপাকি প্রেম হালাল করার জন্য।
অধিকাংশ পাকী সাপোর্টাররা তাদের পাকিপ্রীতি হালাল করতে বলে থাকে খেলার সাথে রাজনীতি মিশাই না।
আবার যদি প্রশ্ন করেন ইন্ডিয়া বিরোধী ক্যানো, ইন্ডিয়াকে সাম্প্রদায়িক গালী দেয় ক্যানো কিংবা রেন্ডিয়া বলে ক্যানো, তখন কিন্তু ক্রিকেটীয় কারনের সাথে রাজনৈতিক কারন মিশাইয়া একাকার করে ফেলবে। অথচ মারখোর ছাগলদের সাপোর্টের সময় এরা রাজনীতির র ও বুঝতে চাইবে না। কারন তাইলেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর ঘটনাগুলো সামনে আসবে আর পাকিপ্রেমীদের লুঙ্গি প্যান্ট খুলে যাবার উপক্রম হবে।
ভারত বিরোধিতা আর পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন দেয়া কখনোই এক নয়।
মাক্সিমাম পাকিপ্রেমীই ধর্মের দোহাই দিয়া জঙ্গিরাষ্ট্র পাকিদের সাপোর্ট দিলেও; ফুটবল খেলায় ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর বাদ দিয়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানী, ইতালির সাপোর্ট করে।
ব্যাপারটা মূলত এইরকম ফাকিস্তান হইলে ধর্মের ভাই আর অন্যদেশ হইলে খবর নাই।।
পাকিপ্রেম হালাল করার জন্য ছাগু প্রজাতির উল্টাপাল্টা যুক্তির অভাব হয়না.. তাই কোনটা দেশপ্রেম এর জায়গা থেকে ভারতের অন্যায় আচরনের বিরোধিতা আর কোনটা ভারত বিদ্বেষীতার সুরের আড়ালে লুকায়িত পাকিপ্রেম হালাল করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা সেটা আমদের বুঝতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে পাকিস্তান নামক অভিশপ্ত রাষ্ট্রটি কখনোই চায়নি বাংলাদেশ নামক কোনো রাষ্ট্র কোনোদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলুক। ৭১ এর আগে অনেক খেলোয়াড়য়ই বাঙালী হবার কারনে পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলতে পারেনি।
এ কারনেই প্রথমত আমি বাংলাদেশের সাপোর্টার। দ্বিতীয়ত ফাকিস্তান যে দলের বিপক্ষে খেলে সেই দলের সাপোর্টার..
ধর্মের ভিত্তিতে আমাদের জাতীয়তাবোধ তৈরি হয়নি। আমাদের জাতীয়তাবোধ তৈরি হয়েছে আবহমানকাল থেকে বাংলার বুকে প্রচলিত ভাষা ও সংস্কৃতি কে কেন্দ্র করে। ধর্মের ভিত্তিতেই যদি জাতীয়তাবোধ নির্ধারিত হতো তাহলে আমরা মুসলমান হবার পরেও পাকিস্তান আমাদের এত্তো অত্যাচার করতো না, আর তাদের কাছ থেকে আমাদের আলাদাও হতে হতো না। দুই পাকিস্তানের অধিকাংশ লোকই মুসলমান হবার পরও পাকিস্তানীরা আমাদের সহ্য করতে পারতো না, কারন আমরা ছিলাম বাঙালী আর তারা পাকিস্তানী। মক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের হাতে শহীদ হওয়া মানুষদের অন্তত ২৫ লক্ষই তো ছিল মুসলমান। মুসলমান ভাই বলে পাকিস্তানিরা কি বাংলাদেশের পক্ষের মানুষদের মাফ করে দিয়েছিল?
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ নামটা, খেলোয়াড়েরা যে জাতীয় পতাকা বহন করে ওই লাল সবুজ পতাকাটা, খেলার আগে যে আমার সোনার বাংলা জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় সেই জাতীয় সংগীত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমেই এসেছে। আশাকরি আপনারাই বুঝে নেবেন খেলার সাথে রাজনীতির কি সম্পর্ক।।
ভারত আমাদের স্বার্থ বিরোধী কিছু করলে সেটার প্রতিবাদ করার অধিকার বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের আছে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু ভারতের বিরোধিতার দোহাই দিয়ে কখনোই পাকিস্তান সাপোর্ট কে বৈধ করা সম্ভব না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিকভাবেই ভারত আর পাকিস্তান কখনোই এক পাল্লায় মাপার মতো না আর পাকিস্তান কখনোই ভারতের বিকল্প হতে পারে না।
পাকিস্তান বাদে অন্য কোনো দলের সাথে যখন খেলা হয় তখন ভারতের পক্ষে কট্টর অবস্থান নেয়াটা মোটেই স্বাভাবিক মনে করিনা। এদের মধ্যেও দেশপ্রেম নিয়ে ভুল ধারনা ও সাম্প্রদায়িকতা বিদ্যমান বলে মনে করি।
কিন্তু যে দেশের সাথেই খেলা হউক না ক্যানো ফাকিস্তানীদের সাপোর্ট করাটা মোটেই সমর্থন যোগ্য নয়। কথা ক্লিয়ারকাট বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের পক্ষে মন থেকে কখনোই মারখোর ছাগলদের পক্ষ নেয়া সম্ভব না।।
১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমাদের যে জিনিসগুলো প্রথমমেই ধ্বংস করতে চেয়েছিলো তা হলো আমাদের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি। আর খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আরেকটা বিষয় হলো বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিপ্রেমীদেরকে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়ার সুযোগ করে দেয় খেলায় ফাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন। পাকিস্তানীদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত লাখো শহীদের রক্তভেজা এই বাংলায় পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানটা আপনার ক্যামন লাগে?
এতকিছু বলার পরেও নাপাকি প্রেমে মত্ত কতিপয় কুলাঙ্গার মুখে কিচ্ছু প্রকাশ করতে না পারলেও মন প্রাণ উজার কইরা ঠিকই পাকিদের সাপোর্ট করবে!! তাদের উদ্দেশ্যেই হয়তো আমির হাসান নামে এক ভাই বলেছিলেন "১৭টা শুকর , ১৩টা হায়েনা আর ১টা পুরাতন লুঙ্গিতে পরিত্যক্ত বীর্য মিলে একজন পাকিস্তানী সাপোর্টার তৈরি হয়। পাকিপ্রেম ত্যাগ করা এত্তো সোজা না"। তার সাথে একমত হয়ে বলতে চাই বাংলাদেশের আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা একেকটা পাকি সাপোর্টার হইলো নরকের দূর্গন্ধযুক্ত কীট।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৫৯