দায়বদ্ধতা থেকে পোষ্ট টি দিলাম।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের নামে ছড়িয়ে পড়া অনেকগুলো ভুয়া ছবির সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করে একটি পোষ্ট দেয়ার পর অনেকেই বলেছিলো আমি যেনো প্রকৃত ছবিগুলো নিয়েও একটি পোষ্ট দেই।
তাই অনেক সময় নিয়ে লেখাটি লিখেছি। আশা করি কেউ ঠিকমতো না পড়ে কমেন্ট করবেন না। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এর থেকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। এই পোষ্ট ঠিকমত পড়লে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আপনাদের সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর হবার কথা।
প্রথমেই সবার জেনে রাখা দরকার....
রোহিঙ্গাদের উপর হামলা চালাচ্ছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী আর ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীরা। সাধারণ বৌদ্ধরা হত্যাকাণ্ড কিংবা হামলার সাথে জড়িত না।
যুগ যুগ ধরে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন হচ্ছে তা মোটেই ধর্মীয় কারনে নয়। মায়ানমারে যেটা ঘটছে সেটা দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার সরকারের সাথে চলা রোহিঙ্গাদের জাতিগত সমস্যা। রোহিঙ্গাদের মায়ানমার সরকার সে দেশের নাগরিক মনে করেনা। তাই মায়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মায়ানমারে রোহিঙ্গা ছাড়া আরো অনেক মুসলিম আছে। তারা বেশ ভালোভাবেই আছে এবং তাদের উপর কোনো নির্যাতনও হয়না। সমস্যা শুধু রোহিংগা জনগোষ্ঠী কে নিয়ে।
তাই রোহিঙ্গা ইস্যুকে ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। তাহলে রোহিঙ্গাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হবে। এই ইস্যুতে ধর্ম টানলে রোহিঙ্গাদের মুক্তি কখনোই আসবে না। কারন রোহিঙ্গাদের এখন দরকার সারা বিশ্বের সমর্থন। তাই ধর্ম দিয়ে বিভাজন না টেনে আসুন আমরা সকল নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়াই।
ভালো খারাপ সব খানেই থাকে। বাংলাদেশে যেমন মুসলিম নামধারী কিছু্ কট্টরপন্থী সাম্প্রদায়িক হারামি আছে যারা হিন্দু কিংবা অন্যধর্মের মানুষ দেখতে পারে না ; তেমনি ভারতেও হিন্দু নামধারী কিছু কট্টরপন্থী সাম্প্রদায়িক হারামী আছে যারা মুসলিম তথা অন্য ধর্মের মানুষ দেখতে পারে না।
ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের সাথে সাধারন ধর্মাবলম্বিদের মেলানোটা মারাত্নক বোকামি। ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী সব ধর্মের লেবাসেই আছে। বৌদ্ধ ধর্মের লেবাসে থাকা ঊগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের অপরাধের দায় যদি সাধারণ বৌদ্ধদের কে দিতে চান তাহলে আই এস, বোকো হারাম, আল কায়েদা এর অপরাধের দায় সাধারণ মুসলিমদের উপর পড়ে। তারাও তো নিজেদের মুসলিম দাবী করে। এখন বলেন ঊগ্রপন্থী সন্ত্রাসী আই এস কিংবা বোকো হারামের কু কর্মের দায় কি সাধারণ মুসলিমদের উপর পড়বে? আমাদের বোঝা উচিত ধর্মের লেবাসে থাকা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী আর ধার্মিক ব্যক্তি এক নয়। উগ্রপন্থিরা কখনই ধার্মিক নয়। তাই ঊগ্রপন্থী সন্ত্রাসী আইএস এর অপরাধের দায় যেমন কোনোভাবেই সাধারণ মুসলিমদের উপর পড়ে না তেমনি মায়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মের লেবাসে থাকা ধর্মান্ধ উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের কু কর্মের দায়ও সাধারণ বৌদ্ধদের নয়। যারা ধর্ম মানে তারা কখনোই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে পারে না।
একাত্তরে পাকিস্তানীরা যেমন কোনো ধর্ম দেখে মানুষ মারেনি বাঙ্গালী পেলেই মেরেছে। তেমনি মায়ানমার সরকারও কোনো ধর্ম দেখে নির্যাতন করছে না, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কাউকে পেলেই নির্যাতন চালাচ্ছে। কাকতালীয় ভাবে রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই মুসলমান। আর মুসলমান নাম শুনলেই মুসলমানদের মানবতা কেঁদে ওঠে এটাই স্বাভাবিক। তাই অনেকেই রোহিঙ্গা নির্যাতন এর সাথে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলেছে। মায়ানমারের বাকি মুসলিমরা যে শান্তিতে আছে এটা দেখেই বোঝা উচিত রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় কারনে মারা হচ্ছেনা। যদি ধর্মীয় কারনে নির্যাতন করা হত তাহলে মায়ানমারের বাকি মুসলমানেরা শান্তিতে থাকতে পারতো না। এটা মায়ানমার সরকারের সাথে রোহিঙ্গাদের বহু পুরানো জাতিগত দ্বন্দ্ব।
মৌলবাদীরা অলরেডি তাদের পেজগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গণহত্যা, দূর্ঘটনা ও নির্যাতনের যতো ছবি আছে সেগুলোকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের ছবি বলে অপপ্রচার করছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র। এইসব মৌলবাদী হারামীদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সরলমনা মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে তাদের ধর্মীয় আবেগ কে মায়ানমারের ঘটনার জন্য বৌদ্ধদের বিপক্ষে পরিচালিত করা। যাতে করে মৌলবাদীরা বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপর হামলা করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। বিভিন্ন মৌলবাদী পেজের ভুয়া ছবিগুলো আমরা অনেকেই না বুঝে শেয়ার দেই। অনেকেই ভুয়া ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে মায়ানমারের সাধারণ বৌদ্ধদের উপরও দোষ চাপাচ্ছে। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে মিথ্যা ছবি আর তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালালে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। আমি চাই সবার ভুল ভাঙ্গুক। মায়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা ভুলভাবে প্রচারের কারনে বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপর যাতে রামুর হামলার মতো কোনো ঘটনা না ঘটে। যাতে করে বাংলাদেশের মধ্যে কোনো ঝামেলা না লাগে। তাই সবার জানা দরকার যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের মারছে। সাধারণ বৌদ্ধরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত না।
মিথ্যা কখনোই কোনো ধর্মালম্বীদের মানবিক আবেদনের অবলম্বন হতে পারে না। আমরা তাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ সঠিক তথ্য ও সঠিক ছবি দিয়ে করবো, মিথ্যাচার করে নয়।
প্রথম পর্বঃ - রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রকৃত ছবি।
ভুয়া ছবির সংখ্যা এত বেশী যে আসল ছবি চেনা খুবই কষ্টকর। যাই হোক এইখানে যে ছবিগুলো আপলোড করেছি সেগুলো যে প্রকৃত ছবি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। স্বীকৃত সোর্স থেকে যে ছবি পেয়েছি সেগুলোই দিলাম। তবে এগুলো সবই এ বছরের ছবি না। এগুলোও বিভিন্ন সময়ের ছবি।
হত্যাকান্ডের বীভৎস ছবিগুলো সেভাবে মিডিয়ায় আসেনি। কারন মায়ানমারে সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার। বিদেশী সাংবাদিকের মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাজ্যে যেতে দিচ্ছেনা। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারও খুবই সীমিত। সাংবাদিকতা, ফটো তোলা বা ফেইসবুকে এইসব শেয়ারিং খুবই কড়াকড়ি এবং নজরদারির ভিতর চলে। তাই যে হত্যাকান্ডগুলো ঘটেছে তা ফেইসবুকে কিংবা মিডিয়ায় আসা প্রায় অসম্ভব।
রোহিংগা নির্যাতন বলে ছড়ানো হত্যাকান্ডের বীভৎস যে ছবিগুলো দেখছেন তার মাক্সিমাম সোর্স সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী পেজ গুলো। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি বর্তমান ছবি না পেয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন গণহত্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ছবিগুলোকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ছবি বলে চাপিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ঝামেলায় ফেলা। কিছু লোক না বুঝে এগুলো শেয়ার দেয়। খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের সরলমনা মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে কোন ব্যক্তি বা দল যেনো তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে।
তাই সোসাল মিডিয়ায় লেখালেখি বা কোনকিছু দেয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই বাচাই করে নিন।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রকৃত ছবি আরো ভয়ংকর হতে পারে। তবে সেনাবাহিনী বিদেশী কোনো সাংবাদিক কে ওই এলাকায় যেতে না দেওয়ায় সেসব ছবি বাইরে আসার তেমন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ডের ছবি মিডিয়ায় না আসলেও মায়ানমারে রোহিঙ্গারা যে সেদেশের সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন এটা নিয়া কোনো সন্দেহ নাই। তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাথে যে অন্যায় ঘটছে তা খুবই গর্হিত কাজ। এ পর্যন্ত প্রায় দুইশত রোহিংগা নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত অভিযানে।
অলরেডি বাংলাদেশে শরনার্থী ও অবৈধ হিসেবে অন্তত ৯ লাখ রোহিঙ্গা আছে। সামর্থ্যানুযায়ী রোহিঙ্গাদের যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব বাংলাদেশ সরকার তা করে যাচ্ছে। এখন মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য মিডল ইস্ট এর বিরাট বিরাট ধনী মুসলিম দেশগুলা সহ সমগ্র বিশ্বের উন্নত সকল রাষ্ট্রগুলোরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।
উপরের দেয়া ছবির বাইরে আর কোনো ছবি থাকলে স্বীকৃত পত্রিকা কিংবা উৎসের লিংক সহ কমেন্টে দিতে পারেন। আপনি ভুল ছবি দিলে আমি শুধরে দেবো।
২য় পর্বঃ রোহিঙ্গা নির্যাতনের নামে ছড়ানো ভুয়া ছবি।
রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার কথা উল্লেখ করে ভুলবশত অনেকেই যেসব ভুয়া ছবি পোষ্ট দিচ্ছে সে রকম কিছু ছবি..
আপনারা এই পোষ্টে উল্লেখ করা লিংকগুলো দেখলে আসল নকলের পার্থক্য বহুলাংশেই বুঝতে পারবেন। নিচের লিংকে দেয়া ছবিগুলো রোহিঙ্গা নির্যাতনের নয়।
কোন ছবি কোথাকার সেটাও লিংকে উল্লেখ করা হয়েছে
প্রথম ছবি : ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে ১৭৪জন রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে পারি জমালে থাই জলসীমা থেকে তাদের বিতারিত করে থাই পুলিশ। অসহায় অবস্থায় সমুদ্রে ভাসমান থাকলে ইন্দোনেশিয়ার লোকজন এদের উদ্ধার করে। প্রমাণ- http://bit.ly/1czJ6Ch
দ্বিতীয় ছবি: ছবিটি ২০০৪ সালের। থাই আর্মিরা বেশ কিছু থাই মুসলিমকে গ্রেফতার করলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা বিক্ষোভ করলে ওদেরও গ্রেফতার করে (প্রায় ৮০ জন) ক্যাভার্ড ভ্যানে গাদাগাদি করে আটকিয়ে রাখায় দমবন্ধ হয়ে এরা মারা যান। প্রমাণ- http://bit.ly/1cbYXke
তৃতীয় ছবি: দালাইলামা ইস্যুতে চীন আর তিব্বতের দীর্ঘদিনের জটিলতার মাঝে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের ভারত সফরের আগেরদিন (২০১২ সাল) দিল্লীনিবাসী জামপেল ঝেসি নামে তিব্বতীয়ান ২৭ বছরের নাগরিক নিজের গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1FxrA9a
চতুর্থ ছবি: ২০১০ সালে তিব্বতের জুসু নামক স্থানে ৬.৯ মাত্রার ভুমিকম্পের ফলে সরকারিভাবে ২৭০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, নিখোজ অনেক। বেঁচে থাকা ভিক্ষুরা কোনো উদ্ধারকর্মীদের আসার আগেই নিজেরা আহত/নিহতদের উদ্ধার করে। দ্রুত নিহতদের সৎকার করার ব্যাবস্থা নেন । প্রমাণ- http://bit.ly/1AMpEht , http://bit.ly/1vgWj6u
পঞ্চম ছবি: ২০১০ সালে কঙ্গোর সাঙ্গে গ্রামে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ২৩০ জন পুড়ে ও দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। প্রমাণ- http://reut.rs/1Fw721z
ষষ্ঠ ছবি: বাচ্চাদের নিয়ে আরোও কিছু ছবি আছে। যেমন একটা ঘরে কিছু মৃত শিশুকে রাখা হয়েছে। একটা শিশুর বুকের কাছে জামা ধরে একহাতে নিয়ে যাচ্ছে, ইত্যাদি। প্রমাণ- http://bit.ly/1FxE7cI
সপ্তম ছবি: আলোচ্য ছবিটা হাইতির ভুমিকম্পের পর মর্গের ছবি। প্রমাণ- http://ind.pn/1czNtNR
অষ্টম ছবি: একটা শিশুর খেলনা বন্দুক নিয়ে নিছক খেলা করা। প্রমাণ- http://bit.ly/1eRlNFN
নবম ছবি: মহিলা তার স্ট্যাটাসে লিখেছে- bago ko nga plang alagang aso haha...lakas ng tama ng anak ko sunod sunuran namn..#dami kong tawa d2 grabe... এর অর্থ খুঁজতে গিয়ে পেলাম -"Meet my new pet puppy hahaha…my son is crazy obeys whatever I told him to do…just give me a big laugh…" প্রমাণ- http://bit.ly/1cAgUiC
দশম ছবি: তামিল টাইগারদের উৎখাতে শ্রীলঙ্কান সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1cBzt6f
একাদশ ছবি: এলটিটিই এর বিরুদ্ধে শ্রীলংকান সেনাবাহিনীর অভিযানে হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল সেগুলির ছবি- http://bit.ly/1JqeaCZ
দ্বাদশ ছবি: ইসলামী জঙ্গী বোকো হারাম কর্তৃক খৃষ্টান নাইজেরিয়ানদের হত্যার ছবি এটা।- http://bit.ly/1FB1iTv
ত্রয়োদশ ছবি: ২০১২ সালে তিব্বতী ভিক্ষুদের চীনা পুলিশ এরেস্ট করে। প্রমাণ- http://bit.ly/1H6RqX5
চতুর্দশ ছবি: ছবিটা রোহিঙ্গাদের হত্যার নয়, আইএসআইএস (ISIS) দ্বারা খৃষ্টান নাগরিক হত্যা। প্রমাণ- http://bit.ly/1ROtKKf
পঞ্চদশ ছবি: পুলিশ জিম্বাবুয়ের এক শরনার্থীর গায়ের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। দক্ষিন আফ্রিকার স্থায়ী জনগন জিম্বাবুয়ে থেকে আগত উদ্বাস্তুদের আক্রমণ করে, মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1BNMVul এর ২য় ছবি।
ষষ্ঠদশ ছবি: স্ত্রী প্রতারণা করায় ম্যাচেটি দিয়ে স্বামী বেচারা আক্রমন করেছে স্ত্রীর উপর। প্রমাণ- http://bit.ly/1KejoRq
সপ্তদশ ছবি: তামিল টাইগারদের উৎখাতে শ্রীলঙ্কান সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1IhfKEd
অষ্টদশ ছবি: কাহিনী আসলে সেই চীন-তিব্বত ক্যাচালের। প্রমাণ- http://bit.ly/1IgWOpa, http://bit.ly/1KdXSMW
উনবিংশ ছবি: এটা কম্বোডিয়ার একটা দুর্ঘটনার ছবি। ১৮ চাকার লরীর সাথে দুর্ঘটনায় বাচ্চা মেয়েটার মাথা পৃথক হয়ে গেছে। বাবা মেয়ের মাথা ধরে আছে, আর মা মেয়ের শরীর ধরে নির্বাক হয়ে গেছে। প্রমাণ- http://bit.ly/1QbrUWf, http://cnn.it/1KIG3DC
বিংশ ছবি: ব্যাংককের পথে বে আইনি বাইক চালানোয় ৪২৫ জনকে বাইকসহ আটক করে এভাবেই শুইয়ে রাখা হয়। প্রমাণ-http://bit.ly/1IhmYbk
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো ছবি সন্দেহ হলে গুগল ইমেজ সার্চের সাহায্য নিন।
কিভাবে গুগল ইমেজ সার্চ ব্যবহার করতে হয়?
গুগল খুবই প্রয়োজনীয় সার্চ ইঞ্জিন। গুগল ইমেজে সার্চ দিয়ে সহজেই প্রয়োজনীয় ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। আবার কোনো ছবির তথ্য সূত্র খোঁজে বের করতেও এর জুড়ি নেই। কীভাবে করবেন?
যে ছবি সম্পর্কে আপনার সন্দেহ আছে বা তথ্যানুসন্ধান করতে চান সেই ছবি ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক থেকে ডাউনলোড করে আপনার পিসিতে সেইভ করে নিন।
কম্পিউটার থেকে https://images.google.com/ এ যান। সেখানে ক্যামেরা চিহ্নিত অংশে ক্লিক করে Upload an image এ ক্লিক করুন। ছবি Browse এর অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার ছবিটি আপলোড করা মাত্রই গুগল ছবিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনাকে জানিয়ে দেবে।
রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার কথা উল্লেখ ছড়ানো কিছু ভুয়া ছবি নিচে দেয়া হলো ....
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫