আজ ইতিহাসে অন্যতম মহান দিন হিসাবে বাংলাদেশ মনে রাখবে। ১২ বছর ক্ষমতা থেকে একটি স্বপ্নের ব্রিজ এর রাস্তা পারাপার হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। প্রচরনা চালনা করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ দেশের টাকায় এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। মানে জনগণের টাকায়।
দক্ষিণ অঞ্চলের লোকেরা অনেক খুশি। পাঁচ মিনিটে ব্রিজ পার হয়ে যাবে। আমার একবার ফেরি ঘাটে যেতে হয়েছিল। ফেরি নষ্ট হওয়াতে রাত ১০ রওনা দিয়ে সকাল ৯টা পৌঁছে ছিলাম। এরপর যত তাড়াতাড়ি পেরেছি ফিরে এসেছি। সেই গল্প অন্যখানে বলবো নে। যাদের আদি টান সেইখানে তাদের অনুভূতি অন্যরকম। ইদের বাড়ি যাওয়ার কষ্ট আমি হয়তো ওভাবে অনুভব করতে পারবো না।
এখন ওখানে জমি দাম বাড়বে, এলাকায় বাড়িভাড়া বাড়বে, কৃষি জমির দামও বেড়ে যাবে। এর সাথে সাথে অন্যায় বাড়বে। জমি দখল, মারামারি, খুন খারাপিও বাড়বে। সাথে সাথে চাদাবাজিও বাড়বে। ভালো মন্দ সবই হবে।
যমুনা সেতু হওয়ার পর আমরা যারা উত্তর ভাগের মানুষ তারা মনে করেছিলাম আমরা রাজা হয়ে যাবো। টোলের ওখানে ভিড়, রাস্তার অবস্থা, রেলের অবস্থা সব স্বপ্ন ফুস হয়ে গেছে। ৯ ঘণ্টার পথ ১২ ঘণ্টায় যেতে হয়।চাদা দিতে দিতে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যায়।এক দেশ এক দাম হওয়া উচিত। খাদ্যে কেমিক্যাল নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। খাদ্য যদি এসব টোলের জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকে তবে খাদ্য তো নষ্ট হয়ে যাবে। দুর্নীতি হবেই, ক্ষমতা থাকার বা আসার চেষ্টা থাকবে। মিডিয়া দালালি করবেই। আমি এক টাকা হলেই এই পদ্মা ব্রিজে দিয়েছি। আমার জন্ম এই দেশে। প্রশ্ন করার অধিকার আমার দিতে হবে। প্রকল্প করলেই আমরা সেরা হয়ে যাবে এটা যারা বলে আর বিশ্বাস করে তারা হয় বোকা, না হয় অতি চালাক।
এবার আসা যাক, অংক প্রসঙ্গ। নকল করে যারা পাস করে তারা সাধারণত অংকে কাঁচা থাকে। ২ যোগ ২ যে ৪ হয়। ২ যোগ ২, ৮ হয় কিভাবে? জনগনের টাকা=পদ্মাসেতু। জনগণের টাকা যোগ টোলের টাকা= পদ্মাসেতু। মাত্র সড়ক সেতু হয়েছে। রেলের অংক বাকি আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:৫৫