somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম,বিয়ে এবং অতঃপর... (পর্ব ২)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিবাহ-পরবর্তি পর্বঃ


সেদিন রুবাই এর সাথে দেখা হল। ধানমন্ডি “স্টার” হোটেলে খাচ্ছে। সাথে বিশাল বাহিনী। রুবাইএর বউ, শ্যালিকা, আর রুবাইয়ের বউ এর বড় বোনের মেয়ে যার বয়স ৫ বছর। আর আমরা, মানে আমি আর আমার দুই বন্ধু। রুবাই সবাইকে খাওয়াচ্ছে। আমি অবশ্য দাওয়াতে ছিলাম না, আমার বাসা ওখানেই বলে পরে আমাকে ডাকা হয়েছে। নতুন জামাই বলে বিল দেওয়ার দায়িত্ব রুবাইয়ের। পিচ্চি মেয়েটা সাইজে ছোট হলে হবে কি, তার ও সবার মত সব মেনুই লাগবে। বেচারী রুবাই। শেষে অবশ্য যা হবার তাই হয়েছে, বেশির ভাগই সে নষ্ট করেছে।

খাওয়া তো হল, এরপর কই যাওয়া যায়? অনেকক্ষণ ভাবনা চিন্তার পর রুবাইয়ের শালিকা “বসুন্ধরা সিটি শপিং মল” এ যাওয়ার প্রস্তাব পেশ করল। রুবাই দেখি রাজি। তবে আমি জানি না, রাজি হওয়ার সময় রুবাইয়ের বাঁ চোখ কেঁপে উঠেছিল কিনা। যদি না কেঁপে থাকে সেটা এটাই প্রমাণ করে যে, বিপদ আসার আগে বাঁ চোখ কেঁপে উঠে বলে যে কথা প্রচলিত আছে তা সর্বৈব মিথ্যা।

গেলাম “বসুন্ধরা সিটি শপিং মল” এ। বিভিন্ন ফ্লোর এ ঘুরাঘুরি করছি, হঠাৎ এক দোকানে রুবাই একটা কালো টি-শার্ট পছন্দ করলো। আমি বল্‌লাম "তাড়াতাড়ি তোর বউ আসার আগেই কালো রংয়েরটা কিনে ফেল্‌"। সে করলো কি, তার বউ কে ডেকে পছন্দ করে দিতে বল্‌ল। তারপর তার বউ এর পছন্দে সে একটা ক্যাট্‌ক্যাটে হলুদ রংয়ের টি-শার্ট কিনলো। আবারো বেচারা রুবাই।

এর মধ্যে দোকানে এসে হাজির হল সেই পিচ্চি মেয়েটি। এসেই তার আবদার, সে ফতুয়া কিনবে। এখন ঠেলা সামলাও। অনেক বুঝায়ে তাকে ফতুয়া কেনা থেকে নিবৃত্ত করা হল। এরপর সামনে পড়ল খেলনার দোকান। এবার সে খেলনা কিনবেই। কী আর করা। তাকে খেলনা পছন্দ করতে বলা হল। সে খেলনা আর পছন্দ করতে পারে না। যেটাই দেখানো হয় সেটা হয়ত তার আছে অথবা তার ছিল। কয়েকটা দোকান ঘোরার পর অবশেষে তার খেলনা পছন্দ হল। দাম? সে কথা আর নাই বা বল্‌লাম।

তারপর সেখান থেকে যাওয়া হল সবচেয়ে উপরের ফ্লোরে, যেখানে যাবতীয় খাওয়ার দোকানের মেলা বসেছে। সেখানে গিয়ে আবার লাইম-লাইটে সেই পিচ্চি। সে আইস-ক্রিম খাবে। কেনা হল। জিনিস্‌টা যেহেতু আইস-ক্রিম আর সাথে রয়েছে শ্যালিকা, তাই শ্যালিকার জন্যও একটা। (ভাগ্য ভাল রুবাইয়ের বউ এর ঠান্ডার সমস্যা আছে, আর রুবাই এর দুরাবস্থা দেখে আর আমরাও কিছু বললাম না)


এই পর্যন্ত রুবাইয়ের সাথে থাকার পর আমি এক জরুরী কারণে চলে আসি। তাই এর পর কি হল তা আমি আর বলতে পারছি না।


সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ বিয়ের পর কোথাও বেড়াতে গেলে শ্যালিকা জাতীয় বস্তু পরিহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ক্ষতির পরিমাণ হয় অপেক্ষাকৃত কম।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। একাত্তুর থেকে চব্বিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২০




সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাদের সুস্থ করতে পারিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটু সৃজনশীল হও=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬


খেয়ে দেয়ে আরামসে ঘুম, এ জীবন বুঝি
খাও দাও ঘুমাও এ কর্ম রোজই,
টিকটকে ভিডিও, ফেসবুকের রিল,
তাতেই করছো সুখ ফিল?

সাজুগুজু, প্রাশ্চাত্যের ড্রেসাপ, হাই হিলে হাঁটা
ব্যস! এমন অহমে পূর্ণ জীবনে ঝাঁটা
নেই সংসার গুছানোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ নিবে ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৭


আওয়ামী লীগের মিছিলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকার ডেমরা-উত্তরা- বাড্ডা - মিরপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল করছে। প্রায় তিনমাস ধরে রাস্তায় মিছিল নামানোর প্রস্তুতি ছিলো। মিছিলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি- যেদেশে হাসির জন্যও প্রাণ দিতে হয়!

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৩

কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম হবু চন্দের আইন কবিতা নিয়ে, যেখানে কান্নার বিরুদ্ধে রাজা আইন জাড়ি করেছিলেন.....আজ লিখতে হচ্ছে- হাসির জন্য প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে। আমরা সবাই ইতোমধ্যেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

৭১ না দেখেও কেবল ইতিহাস পড়ে যদি আপনি ৫৩ বছর পরে এসেও পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে পারেন। তাহলে নিজ চোখে ভারতের আগ্রাসন দেখেও চুপ কেন?

লিখেছেন তারেক সালমান জাবেদ, ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭

প্রথমেই শুরু করতে চাই সীমান্ত হত্যা নিয়েঃ -
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী দ্বারা ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি হত্যা করা হয়েছে। ভারত সরকারের বাংলাদেশের সীমান্তে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×