আমাদের ছাগু প্রথমদিকে তার প্রোফাইলে লিখেছিল "আমি ড্রিংক পছন্দ করি না, ডান্স পছন্দ করি না, নাইট ক্লাবে তাই যাই না।" জগতের সকল ব্লগার বিমুগ্ধ হইয়াছিল। আস্ত মাইয়া পোলা সবাই বলছিল সাবাশ, নওজোয়ান, নও মুসলিম হো তো অ্যায়সা।
ছাগু সম্প্রতি ভাব বদল করিয়াছে। গুলশানের একটি বিশেষ লাল বাড়ির আশেপাশে তাহাকে খুব ঘুরঘুর করিতে দেখা যায়। ছাগু বিশেষ তফাতে থাকে, খোজ খবর করে। মার্কিন মুল্লুকে যাইতে তাহার কোনো বিশেষ পোস্ট সমস্যা করিতে পারে কিনা এ নিয়া বিশেষ চিন্তিত যখন, তখন উটুর মেইল আসে। আরে নাহ, পাকিস্তানের জানি দোস্ত আমরিকা। কুনু সমস্যা নাই।
কিন্তু সমস্যা আছে। উটু ঠিক বলে নাই। ছাগু খোজ নিয়া জানে শুধু আইলেটসে কাম হবে না। বিশ্বাস করুক না করুক জাতীয়তা বোধ জাগ্রত করিতে হইবে। নাইলে লাল বাড়ি ভিসা দিবে না। আর এক আধটু পিনা ও কোমর দুলানা জানতে হবে। মেসেঞ্জারের বান্ধবীরা যেইটারে ঝাকানাকা কয়।
তয় মাতলা শিখতে তো নাইটক্লাব যাওয়া পড়ে না। এডিক্টেড অরপিরে জিগাইলেই হয়। অরপি কইল আরে ছাগু ভাবনা নাই। এক ঢিলে তিনটা কাঠাল পাতা পাড়তারবা। ছাগু কয় ক্যামনে। এডিক্টেড অরপি কয় বাংলা খাও। বাংলা খাইলে মাতলা হইবা, তোমার জাতীয়তা বোধ জাগ্রত হইব, দ্যাখবা কোমর দুলাইতেও সমস্যা হইব না।
কাল রাইতে ফুন আইছে ছাগুর। সে দেখি খালি কান্দে। এডিক্ট অরপি কয় কি হইছি ছাগু কান্দ ক্যান। ছাগু কয় ভাই আমি তো মহাপাতক। এইডা আমি কি করলাম! ভ্যা ভ্যা ভ্যা। অরপি ভড়কাইছে, মুমিন মুসলমানরে কাফির বানাইয়া লাইছে এই পাপ ধর্মে সইব না। বুঝ দ্যায়, আরে কান্দ ক্যান। একদিনিতো খাইছ, তওবা কইরা লাও। ছাগুর ভ্যা থামে না, ম্যা থামে না।
এডিক্ট অরপি মেজাজ কুনুমতে ঠিক রাখে। আরে হইছে কি ক তো ছাগু? ছাগু কয়, ভাই আমি ইলিশ মাছ খাইছি। কইয়া আবারো ভ্যা, আর ম্যা।
এডিক্ট অরপি কয়, তো কি হইছে? ইলিশ মাছ খাইছস ভালো কথা। কয় ভাই আমি তো আগে জানতাম না ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। আমি তো চেয়ারে বইসা খাইছি। ম্যাএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএ