somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন সত্যিই অনেক সুন্দর !!!

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বাস বড়ই কঠিন জিনিস । মানুষের মনের সাথে বিশ্বাসের একটা গভীর যোগসূত্র আছে । অনুকূল বা প্রতিকূল বিভিন্ন অভিঘাতের প্রতিক্রিয়াই হল বিশ্বাস । বিশ্বাসকে ধরা যায় না,ছোঁয়া যায় না শুধু অনুভব করা যায়,ঠিক মনের মতই । মনকেও দেখা যায় না,ধরা যায় না । এক হিসেবে বিশ্বাসই হয়তো মন কিংবা মনই বিশ্বাস । কিন্তু মন ব্যাপারটা যেমন সহজাত,বিশ্বাস কিন্তু তেমন সহজাত নয় । আগেই বলা হয়েছে অনুকূল বা প্রতিকূল পারিবারিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,ধর্ম বা রাজনৈতিক মিথস্ক্রিয়াই একজন মানুষের বিশ্বাস নির্মাণের প্রধানতম নিয়ামক । কিন্তু এর বাইরেও অনেক উপাদান আছে যারা একজন মানুষের বিশ্বাস নির্ধারণ করে দেয় । এই উপাদানগুলোর চিহ্নিতকরণ সোজা ব্যাপার নয় মোটেও । বক্রতার এই ফাঁক দিয়েই হয়তো অসংজ্ঞায়িত,অপ্রচলিত অনেক ব্যাপার চলে আসে যেটা সচরাচর আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধ হয় না । কেউ হয়তো একে “মিরাকল” বলে চালিয়ে দেবেন আর কেউ হয়তো ধরেই নিবেন সেটাই “স্বাভাবিক” ছিল ! কোনটা স্বাভাবিক আর কোনটা মিরাকল সেটা মানুষ তখনই বুঝতে পারে যখন একটা ঘটনার ফলাফল সকল সম্ভাব্য যুক্তি কিংবা সম্ভাবনাকে ছাড়িয়ে যায় । বিশ্বাসীরা একেই ঈশ্বর এবং সংশয়বাদীরা একে “কোন পরম প্রাকৃতিক সত্য” এবং অবিশ্বাসীরা একে “কোন একটি ঘটনার অজস্র সম্ভাবনার একটি” বলে চালিয়ে দেন ।


প্রাচীনকাল থেকেই এই বিশ্বাসের ‘উৎস” নিয়ে এন্তার দর্শন চর্চা হয়েছে,এখনো হচ্ছে,হবে ভবিষ্যতেও । এটা এমন একটা জিনিস যেটার রফা কোনদিনই সম্ভব নয় । বস্তত,অবস্তুগত এবং তাত্ত্বিক বিষয়ের মিমাংসা খুব সহজ হলেও মেনে নেবার মানসিকতাটা সহজে গঠিত হয়না । কিন্তু একটা ব্যাপার একটা মানুষের মতই সত্যি যে পরোপকার,সহানুভূতি,অন্য মানুষের প্রতি ভালোবাসা,মানুষের বিপদে এগিয়ে যাওয়া,সাধ্যমত সহায়তা করা... সর্বোপরি একটা কল্যাণিক মনের সাথে বিশ্বাসের কোথাও না কোথাও একটা সহসম্পর্ক আছে । সচেতনতায় এই বিশ্বাসের দেখা না মিললেও অবচেতনে ঠিকই তার দেখা মেলে । তাই হয়তো খুব দুর্বল মুহূর্তগুলোতে একজন “ডেসপ্যারেট” মানুষ কোন এক পরম সত্যের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দেয় । হোক সেটা বস্ত্রহীনের বস্ত্রকামনা,সঙ্গীহীনের সঙ্গী,ভুভুক্ষের খাদ্য, হতাশার আশা-ভরসা,বিপদের ত্রানপ্রার্থনা । আর এই ব্যাপারটাই একজন মানুষের বিশ্বাস কোন অভিমুখে,কোন মাত্রায় কতটুকু সেটার জানান দেয় ।


“ইটস এ ওয়ান্ডারফুল লাইফ” চমৎকার একটা ছবি । বিংশ শতাব্দীর সেই চল্লিশের দশকের শেষের দিকের ছবি । কিন্তু এখনো কেমন নতুন,ঝকঝকে । জেমস স্টুয়ারটের পরোপকারী চরিত্র,স্বতঃস্ফূর্ততা,প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা,বাবা-মা,ভাইয়ের প্রতি শর্তহীন আনুগত্য এই ব্যাপারগুলো বর্তমানে কিছুটা ফিকে হয়ে গেলেও এখনো চিরতরে মুছে যায়নি । তাই হয়তো আমরা এখনো মনুষত্ব্যকে কামনা করি,পূজা করি,আকাঙ্ক্ষা করি,ভালোওবাসি,অন্যের মনুষ্যত্বকে শ্রদ্ধা করি,অন্যের মনুষ্যত্বকে অনুসরণ করি । এই কারণেই বোধ হয় আমরা এখনো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখি,মনুষ্যত্বে বিশ্বাস করি ।

একজন কট্টর সমালোচকের পক্ষেও অসম্ভব ফ্রাংক কাপরার ছবির খুঁত বের করা । আর জেমস স্টুয়ারটের কথা কি আর বলি । অভিনয়ের সকল বিদ্যাই তাঁর নখদর্পণে ।
হলিউডের ক্ল্যাসিক ছবিগুলো শুধু মানুষকে বিনোদিতই করে না,একটা দার্শনিক বার্তাও দেয় । আপনাকে ভাবায়,আপনার চিন্তাশক্তির উপর একটা অঘোষিত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, “যে তুমি ভাবতে থাক,ভাবতেই থাক যতক্ষণ না পর্যন্ত তুমি তোমাকে খুঁজে পাও,তোমার বিশ্বাসকে খুঁজে পাও ।”
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×