somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা একটি স্বাধীন দেশে বাস করি

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে সকালে চোখ মেলতেই একটা কথা মনে হল। আমরা একটা স্বাধীন দেশে বাস করি। কথা মনে হতেই মনে পড়লে আমাদের দেশে একজন জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী আছেন। পরপর তিনবার তিনি জনগনের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন । এই কথাটা ভাবতেই আমার মনটা আনন্দে ভরে যায় । প্রতিবার দেশের মানুষ ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে হাজির হন স্বতস্ফুর্ত ভাবে । তারপর নিজেদের পছন্দমত মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন দেশের পরবর্তি দলকে । আর আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রতিবারই সুষ্ঠ ভাবে সেই নির্বাচন পরিচালনা করেন।

জনগনের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কারণে আমাদের সরকার সব সময় দেশের জনগনকে সব থেকে প্রাধান্য দেয়। সরকার চায় সবার আগে দেশের জনগন ভাল থাকুক । দেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সব সময় সতেষ্ট। আমরা এও জানি যে জনগনের ইচ্ছের উপরে সরকার কখনো কথা বলবে না । জনগন যদি না চায় তাহলে আমাদের সরকার একদিনও ক্ষমতায় থাকবে না । তারা তখনই ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াবে। তাদের কাছে ক্ষমতা নয় বরং দেশের মানুষের ভালবাসাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভালোবাসা নিয়েই তারা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে আছে।

যদিও এই সরকারের সময়ে দেশের মানুষ খুশি এবং সন্তুষ্ট তারপরেও যদি কোন কারণে দেশের জনগন কিংবা ছাত্র সমাজ কোন দাবী নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করে তখন আমাদের দেশের সরকার কখনোই তাদের দমন নির্যাতন নীতি অবলম্বন করে না । যে কোন আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিচার করে প্রথমেই সরকার আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করে । কখনোই তাদের উপরে কোন প্রকার পুলিশী নির্যাতন চালায় নি । নিজেদের সরকারী বাহিনী তো নামার প্রশ্নই আসে না । আমাদের সরকারী পুলিশ বাহিনী কোন দিন কোন আন্দোলনকারীদের দিকে একটা রাবার বুলেট টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে নি । আসল গুলি তো অনেক পরের ব্যাপারে।

আমাদের দেশের সরকার দূর্নীতির ব্যাপারে সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে থাকে । এবং এটা কোন ফাঁকা বুলি না । দূর্নীতি যেই করুক না কেন তাতে কারো ছাড় নেই। তার বিরুদ্ধে সরকার কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ আর দুর্নীতির সেই পথে যাওয়ার সাহস না পায় । তবে সরকারি দলের কেউ যদি এই দূর্নীতি করে তাহলে সরকার কখনই তাকে ক্ষমা করে না।

আমাদের পাব্লিক পরীক্ষা কিংবা চাকরির পরীক্ষাগুলো সব সময় শতভাগ স্বচ্ছ ভাবে সংগঠিত হয় । প্রশ্ন ফাঁস কিংবা কোন প্রকার ঘুষের তো প্রশ্নই আসে না । চাকরির ক্ষেত্রে কোন দলীয় কোন তকদীরের কোন কাজ হয় না । বরং কেউ যদি উল্টো এই তকদীর করতে আসে তাহলেই সে চাকরি পায় না । অন্য দিকে সর্বোচ্চ মেধা এবং যোগ্য ব্যক্তিরাই এখানে চাকরি পায় । তবে কিছুটা যৌক্তিক কোটা চাকরির ক্ষেত্রে এখনও রয়েছে । তবে দিন দিন এই কোটার পরিমান আরও কমে আসছে। কারণ দেশে এতো উন্নত হচ্ছে যে এখানে কোটার মত সাময়িক ব্যবস্থা বেশিদিন থাকতে পারে না এটা সবাই জানে । অবশ্য প্রতিবন্ধি কোটার ব্যাপারটা আলাদা । এটা থাকতেই হবে।

এছাড়া আমাদের সরকার যুব সমাজের জন্য পর্যাপ্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে পেরেছে । ছাত্ররা পড়াশোনা শেষ করেই সরকারী বেসরকারী নানান জায়গায় চাকরি করতে পারছে । কেউ কেউ আবার উদ্যোক্তা হয়ে নিয়েই মানুষকে চাকরি দিচ্ছে । আমাদের দেশে নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যাপার সরকার বিশেষ নজর দিয়ে থাকে।

সরকার দেশে মুদ্রাস্ফীতির পরিমানটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে খুব ভাল ভাবেই । জিনিসপত্রের দাম সাধারণ জনগনের সাধ্যের ভেতরেই রয়েছে । সাধারণ কর্মজীবি থেকে শুরু করে অন্য আয়ের মানুষেরা তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে মাসের বাজার ভাল ভাবেই শেষ করতে পারছে। এছাড়া ট্রাকে করে আগে যে চাল ডাল তেল বিক্রি হত সেটা এখন দেখা যায় না বললেই চলে ।

আমাদের দেশের সরকার সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে রয়েছে। তবে নিজের সারভৌমত্বের ব্যাপারে সরকার সদা সজাগ। মাথা উচু করা সবার সাথে কথা বলে । হতে পারে আমরা হয়তো অন্য দেশের মত বড় দেশ নই তবে আমরা কারো কাছে মাথা বিক্রি করি না । আমাদের সরকার কোন দেশের সাথে এমন কোন চুক্তি কখনই করে না যাতে দেশের সারভৌমত্ব হুমকির ভেতরে পড়ে । নিজের ক্ষতি করে অন্য দেশকে লাভবান করে এমন চুক্তিতে কখনই সরকার সাক্ষর করে না।

আমাদের দেশের মানুষ শতভাগ বাকস্বাধীনতা উপভোগ করে । দেশের জনগনের এই কথা বলা কিংবা নিজেদের মত প্রকাশের জন্য কখনই সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার হুমকি ধামকি কিংবা মামলার সম্মুখীন হতে হয় না । আজ পর্যন্ত আমাদের সরকার কখনই কোন নাগরিককে কেবল মাত্র মত প্রকাশের জন্য হয়রানি করে নাই।

এছাড়া আমাদের গনমাধ্যমগুলোও শতভাগ স্বাধীণতা ভোগ করে থাকে । তাদের মুখ চেপে ধরার জন্য সরকার কখনই কোন প্রকার চাপ সৃষ্টি করে না । আমাদের সাংবাদিকরা কখনই সরকার বা ক্ষমতাবানদের চামচামি করে না। তারা সরকার সকল কাজের উপরে তীব্র ভাবে নজর রাখে । সামান্যতম ভুলেও তারা তীব্র সমালোচনা করে। সংবাদ সম্মেলনে আমাদের সাংবাদিকরা কখনই চাটুকারমূলক কথা বার্তা বলে না।

আমাদের সীমান্ত শতভাগ নিরাপদ । দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তবর্তি জনগনের জান মালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে । আমাদের দেশের কোন জনগনকেই গুলি খেয়ে মরতে হয় না।

আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ পাচার হয় না বললেই চল । দেশের টাকা সব সময় দেশেই থাকে । বড় বড় প্রজেক্ট গুলোতে নির্ধারিত বাজেট এবং নির্ধারিত সময়ের ভেতরে সমাপ্ত হয়ে থাকে ।

আমাদের প্রতিটা জনগন সর্বোচ্চ মানবাধিকার ভোগ করে । কখনই কোন নাগরিককে রাতের আধারে আইন শৃঙ্খলার নামে তুলে নেওয়া হয় না । গুম করার তো প্রশ্নই আসে না। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কোন ব্যক্তিকে কবে শেষ গুম করা হয়েছিল এমন কথা কেউ বলতেই পারবে না । সরকারী বাহিনীর কোন চর্চারসেল নেই। থাকার তো প্রশ্নই আসে না।

আমাদের দেশের সরকারী দলের আঙ্গ সংগঠন গুলো সব সময় মানুষের উপরকার করে আসছে । নিজের কষ্ট হলেও তারা জনগনের সেবা করে আসছে । কখনই নিজের ক্ষমতায় অপব্যবহার তারা করে নি। বিশেষ করে ছাত্র সংসঠনটা একেবারে সুইটের উপরে সুইট । এরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সাধারণ ছাত্রদের জন্য পারলে নিজেদের জানটা পর্যন্ত দিয়ে দেয় । হলে নিজের সিট ছেড়ে দেয় সাধারণ ছাত্রদের জন্য । এরা কখনই কোন সাধারণ ছাত্রদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। মেয়েদের সাথে নিজেদের বোনের মত আচরণ করে।
এই সব কিছুই আসলে সম্ভব হয়েছে আমাদের সবার পছন্দের নির্বাচিত সরকারর কারণেই ।

আজকে সকালে চোখ মেলতেই একটা কথা মনে হল। আমরা একটা স্বাধীন দেশে বাস করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগে বুঝতে হবে রিসেট বাটন কি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

আগে বুঝতে হবে রিসেট বাটন কি......

বেশ কিছুদিন যাবত ডক্টর ইউনুস সাহেব এক সাক্ষাৎকারে "রিসেট বাটন" শব্দদ্বয় বলেছিলেন- যা নিয়ে নেটিজেনদের ম্যাতকার করতে করতে মস্তিষ্ক এবং গলায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু ভগবান না হয় ইশ্বর!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫২



মানুষ বঙ্গবন্ধুর ওপর এতোই ত্যক্তবিরক্ত যে আজকাল অনেকেই অনেক কথা বলছে বা বলার সাহস পাচ্ছে। এর জন্য আম্লিগ ও হাসিনাই দায়ী। যেমন- বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্কুল (হাজারের কাছাকাছি),... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮





বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদ শুনে কোন গালিটা আপনার মুখে এসেছিলো?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬



"খবিশ মহিলা", গালিটি বা তার কাছাকাছি কিছু?

মতিয়া চৌধুরী (১৯৪২-২০২৪) ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সৎ রাজনীতিবিদ। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সবচেয়ে নিবেদিত-প্রাণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বে চরম দারিদ্র্যে বাস করা প্রায় অর্ধেক মানুষই ভারতের

লিখেছেন সরকার পায়েল, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮


বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ দারিদ্রে দিন কাটাচ্ছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই যুদ্ধ-সংঘাত লেগে থাকা দেশের বাসিন্দা। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।


ইউএনডিপির বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×