সবাই কেবল রামপালের বিরুধী কথা বার্তা বলতেছে । বদ পুলাপাইন, দেশের উন্নতি চায় না । তারা দেখতেছে না, কি এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে চলছে । বুলেট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । সব কটার বাসার কারেন্টের লাইন কেটে দেওয়া উচিৎ, তাহলেই তারা বুঝতে পারবে কারেন্ট কতটা জরুরী । কারেন্ট চাইবা আমার বন দিবা না তা তো হবে না ।
যাক সেই দিকে আমরা না গিয়ে আজকে বলতে এসেছি রামপাল সুন্দরবনের কি কি লাভ হবে । সবাই তো কেবল ক্ষতি ক্ষতি করতেছে লাভের কথা তো কেউ কইতেছেই না ! লাভ গুলা সিরিয়ালী মিলায়া নিন
১. আমরা জানি গাছের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন কার্বন ডাই অক্সাইড । আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সব থেকে বেশি বের হয়ে সালফার আর কার্বন ডাই অক্সাইড । তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ালো ? রামপাল আসলে ইনডাইরেক্টলি গাছের খাদ্য তৈরি করছে । আর বেকুব পুলা পাইন কি না বলতেছে রামপাল হলে সুন্দরবন ধ্বংশ হয়ে যাবে । আরে বেটা তখন তো আরও বেশি বেশি গাছ তৈরি খেতে পারবে । বেশি বেশি খেতে খেতে তাদের পেট মোটা হয়ে যাবে । পরিমানে বাড়বে আরও !
২. দিন দিন আমাদের দেশে গরমের পরিমান বাড়ছেই । আমরা যেমন এসি ফ্যান চালিয়ে খানিকটা হলেো গরমের হাত থেকে বাঁচতে পারি কিন্তু বনের পশুরা তো এই গরমের হাত থেকে মুক্তি পায় না । তারা পশু বলে কি তাদের ভাল ভাবে বাঁচার কোন অধিকার নেই ? তাই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদ করে বনে বনে এসি আর ফ্যান লাগানো হবে । যাতে করে বনের পশু পাখির গরমে কষ্ট না হয় । রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য তো এরই মধ্যে জেনারেল এসি কেনার জন্য টেন্ডারও আহবান করা হয়েছে ।
৩. শীত কালে নদীর পানি খুব ঠান্ডা থাকে । তখন বনের পশু পাখিরা শান্তিমত গোছল করতে পারে না । গত শীতে তো রয়েল বেঙ্গল টাইগার ১৭ দিন পর্যন্ত টানা গোছল না করে ছিল । রয়েল বেঙ্গলের বউ শেষে ঘর থেকে তাকে বের করে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হয়েছে । বেচারার কত কষ্ট হয়েছে । সেই জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নিস্কাশিত গরম পানি পশুর নদীতে ফেলা হবে । যার ফলে নদীর পানির তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যাবে । তখন বনের পশু পাখিটা শান্তিমত গোসল করতে পারবে !
৪. ছোট বেলায় আমরা অনেকেই ছাই কয়লা দিয়ে দাঁত মেজে এসেছি । এতে আমাদের দাঁত কত মজবুত হয়েছে । এই জন্য বনের পশুদের দাঁত মাজার জন্য রামপাল থেকে উৎপাদিত ছাই আর কয়লার এস দেওয়া হবে । তার যাতে ভাল ভাবে প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজতে পারে সেদিকেও নিবির পর্যবেক্ষন করা হবে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে । প্রতিদিন দাঁত মাজার ফলে তাদের দাঁত হয়ে উঠবে আরও মজবুত এবং শক্তিশালী !
৫. কিছু কিছু প্রানী হয় নিশাচর । তারা রাতের বেলা পরিস্কার দেখতে পায় কিন্তু বাকি প্রানীদের কি হবে । কেউ রাতে দেখতে পারে আর কেউ পাবে এমন অসমতা হতে দেওয়া যায় না । তাই রাতের বেলা বনের ভেতরে বৈদ্যুতিক বাতি সেট করে আলোকিত করা হবে । যাতে করে সবাই পরিস্কার দেখতে পায় !
৬. তাছাড়া রামপালের ধোয়া থেকে তো উন্নত মানের মুখে মাখা স্লো তৈরি হচ্ছেই । জানা গেছে এরি মধ্য সেই স্লো কেনার জন্য অগ্রিম বুকিং দেওয়া শুরু হয়ে গেছে । এবার আমাদের দেশে আর একজন মানুষও কালো থাকবে না । এই রামপাল স্লো মেখে একদম ফকফকা ফর্সা হয়ে উঠবে ! কারো মনে আর দুঃখু থাকবে না !
৭. বড় পুকুরিয়ায় জমি উর্বর হচ্ছে, ফসলের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। বেগুন ক্ষেতে ছাই ছিটিয়ে জমি উর্বর করা হচ্ছে । কাঠ পুড়িয়ে তৈরী জৈব ছাই তৈরি করা গেলে খনিজ কয়লা পুড়িয়ে তৈরী জৈব ছাই তৈরি করা যাবে না কেন ? সেটা থেকেও আরও ভাল জমির সার তৈরি হবে ।কয়লা পুড়িয়ে তৈরী ছাই বিষাক্ত বলে এই ছাইয়ের মাধ্যমে জমি উর্বর করার বিপদজনক এমন কথা যারা বলছে তারা দেশে শত্রু আমি তো বলবো তারা কেবল দেশের নয় পুরো পৃথিবীর শত্রু ।
৮. ছাই মেশার ফলে যখন জমি উর্বর হবে তখন আরও বেশি বেশি গাছ জন্মাবে । সুন্দরবন আরও ছড়িয়ে পড়বে । একদিন দেখা যাবে ছাই-ছাইয়ে জমি এমন উর্বর হয়েছে যে সুন্দরবন ঢাকার গাজীপুর পর্যন্ত চলে আসবে । তখন আমরা বাসে করে শর্ট-নোটিশে সুন্দরবন ভ্রমনে যেতে পারবো ।
এতো এতো পজেটিভ দিক দেখানো হল তবুও যারা রামপালের বিরুধীতা করতেছেন তারা দেশ ও জাতির শত্রু । আমি তো বলবো দেশ ও জাতির নয় এই বিশ্বের শত্রু, বারেক ওবামার শত্রু, এমন কি এই গ্যালাক্সির শত্রু ! তাদের এই গ্যালক্সি থেকে বের করে দেওয়া হোক
।
--------------------------------------
এক জায়গায় রামপাল নিয়ে যত পোস্টঃ
হায় রামপাল! হায় সুন্দরবন!
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে নেট থেকে প্রাপ্ত কতিপয় কার্টুন
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৯