পরিবারের সবার জন্য ভবিষ্যতে ডিমের সরবারহ ঠিক রাখার জন্য আবুল ঠিক করলো যে একটা মুরগির খামার দিবে যেখানে প্রতিদিন তাজা ডিম পাওয়া যাবে, মুরগির মাংশও পাওয়া যাবে । কিন্তু এতো টাকা আবুলের নেই । তাহলে কি করবে সে ?
ঠিক তখনই আবুলের প্রতিবেশী সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল । বড় ভালু প্রতিবেশী সে । প্রতিবেশী বলল "আমি তোমাকে সাহায্য করবো, এই খামার আমরা দুজন মিলে গড়ে তুলবো তবে তোমাকে আমার সাথে চুক্তি করা লাগবে" ।
আবুল বলল "কি চুক্তি" ?
প্রতিবেশী লম্বা একটা চুক্তিপত্র তৈরি করলো, সেখানে লিখলো লম্বা লিস্ট । এবং পড়ে শোনাতে লাগলোঃ
১. প্রথমেই খামার থেকে প্রতিদিন যে পরিমান ডিম পাওয়া যাবে তার অর্ধেকটা তোমার আর অর্ধেকটা আমার । যদি ডিম বেজোড় সংখ্যক হয় তাহলে ঐ একটা ভাজি করে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করা হবে ।
২. খামার হবে তোমার বাসার ভেতরে । এখান থেকে মুরগির মলমুত্র পরিস্কারের দায়িত্ব হবে তোমার । এবং মুরগির খামারের যে গন্ধ আসে সেটা তোমাকে সহ্য করতে হবে ।
৩. মুরগির খামারের স্থাপন করতে লাগবে এক লক্ষ টাকা । এর ভেতরে ১৫ হাজার দিবো আমি আর ১৫ হাজার দিবা তুমি । বাকি ৭০ হাজার আমরা লোন নিবো । তবে যে কারো কাছ থেকে লোন নিলে চলবে না । লোন নিতে হবে আমার শালার বাবুর কাছ থেকে । সে তোমাকে সুদে ৭০ হাজার টাকা দিবে ।
৪. মুরগির জন্য যে খাবার লাগবে সেটা কিনতে হবে আমার ছোট ভাইয়ে দোকান থেকে । অন্য কারো কাছ থেকে কিনলে চলবে না । এবং সেটার দামও আমার ছোট ভাই ঠিক করবে ।
৫. যদি কিছু মুরগি মারা যায় রোগে শোকে তাহলে সেটার দায়ভার হবে কেবল মাত্র তোমার । সেটার ক্ষতি পূরন দিবা তুমি ।
প্রতিবেশি সব পড়ে শোনার বলল, দেখেছো তো কত লাভ জনক ডিল হচ্ছে তোমার আর আমার । ফিফটি-ফিফটি পার্টনারশীপ !
আবুল খানিকটা খানিকক্ষন প্রতিবেশির দিকে তাকিয়ে বলল
-আমারে তুমি বুকাদুচা পাইছো ! গেলি এই জায়গা থেকে ?
আবুলও বুঝে !
কেবল আমরাই বুঝলাম না ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩