আগের পর্ব
ছয়
দেশের ছোট বড় প্রত্যেকটা দৈনিক কেবল একটা শিরোনাম ছাপা হয়েছে আজ ।
"প্রেসিডেন্ট হাউজ আক্রান্ত"
সাথে আরও অনেক জল্পনা কল্পনা । কিন্তু দেশের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার সংস্থা থেকে কোন প্রকার প্রেস বিফিং হয় নি ! কেউ মুখ খুলতে রাজি নয় কিন্তু পত্রিকা গুলো তো বসে থাকার পাত্র না ! নিজেদের মত সংবাদ পরিবেশ করেই চলেছে ।
খবর পাওয়ার দিনই প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরে এসেছে । নিজের অফিসে গম্ভীর মুখে বসে আছে । চিফ সিকিউরিটি অফিসার আহমেদ আসাদ রুমে প্রবেশ করতেই প্রেসিডেন্ট মুখ তুলে চাইলেন । তিনি এখনও চিন্তিত হয়ে আছেন । বারবার কেবল নিজের মেয়ের কথা চিন্তা করছেন ।
যেই এখানে আসুক না কেন সে কোন প্রকার ক্ষতি না করেই চলে গেছে । কোন কিছু নেই নি কিংবা কোন হতাহতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি । এটাই তার কাছে সব থেকে বেশি চিন্তার বিষয় লাগছে । চাইলেই সে অনেক কিছু করতে পারতো কিন্তু করে নি ।
কেন ?
আহমেদ আসাদও ঠিক এই ব্যাপার না নিয়ে ভাবছে ।
-কিছু পেলে ?
-না স্যার ? আমরা টোটালী ব্লাঙ্ক ! কেউ কিছু না জানে না । যেই এসেছে এমন নিঁখুদ ভাবে কাজটা করেছে যে কোন প্রকার সুত্র রাখে নি ! আমাদের মনে হচ্ছে সে একজন না ! বেশ কয়েকজন !
-তুমি তাহলে কি বলতে চাও ? আমি আমার নিজের ঘরে নিরাপদ নই । যা হোক আমি না হলাম না আমার মেয়েও কি নিরাপদ না ?
-স্যার আমরা এরকম ভুল আমরা আর এফোর্ড করতে পারি না ।
আহমেদ আসাদ আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ডের ফোন টা বেজে উঠলো ! কথার মাঝখানে বাঁধা পেয়ে আহমেদ আসাদ থেমে গেল । প্রেসিডেন্ট নাম্বার টা দেখে একটু অবাক হল । অপরিচিত নাম্বার !
-গুড মর্নিং মিস্টার প্রেসিডেন্ট !
-গুড মর্নিং ! কে বলছেন ?
-এতো সহজে আপনি আমাকে ভুলে গেলেন ?
-তুমি !
ফোনের ওপাশ থেকে হাসির আওয়াজ এল ।
-যাক চিনতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগলো !
-তোমাকে কি ভোলা যায় নাকি ভোলার উপায় আছে ?
আবারও হাসির আওয়াজ এল ওপাশ থেকে । হাসি থামিয়ে আগন্তুক বলল
-আহমেদ আসাদও নিশ্চই আপনার সাথে আছে ?
-হুম ! তুমি কিভাবে জানো ?
-মিস্টার প্রেসিডেন্ট আমি সেদিন বলেছিলাম আমি থাকতে আপনার কোন প্রকার ক্ষতি হবে না । সেইটা সত্যি করার জন্য আমাকে অনেক কিছু করতে হয় !
-হুম ! বুঝলাম !
-আপনি আপনার ফোন টা একটু লাউড স্পিকারে দিন । আমি যা বলতে চাই তা আহমেদ আসাদও শুনুক !
প্রেসিডেন্ট নিজের ফোনটা লাউড স্পিকারে দিল ! আহমেদ আসাদ কে বলেও দিল ফোনের ওপাশে কে আছে । সেদিনের পরে আহমেদ আসাদেরও আগন্তুকের খানিকটা কৌতুহল আছে ।
ফোনের ওপাশ থেকে আগুন্তুক বলল
-গত পরশুর ব্রেক-ইন টা আমি করেছি !
-হোয়াট ?
আহমেদ আসাদ সাথে সাথে প্রেসিডেন্ট এক সাথে বলে উঠলো !
-কেন ?
-আমি কেবল দেখাতে চেয়েছি যে আপনার সিকিউরিটি ব্যবস্থাটা কতটুকু দূর্বল ! আমি ছাড়া অন্য কেউ হলে কি অবস্থা টা হতে পারতো একবার চিন্তা করে দেখুন ! দেখেন আমি সারাটা সময় আপনাদের আসেপাশে থাকতে পারবো না ! তখন কি হবে একবার চিন্তা করে দেখেছেন !
আহমেদ আসাদ বলে উঠলো
-কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমাদের সিকিউরিটি ব্যবস্থা এরকমই ! কই কেউ তো এভাবে ব্রেক-ইন করতে পারে নি !
-তার কারন হচ্ছে প্রেসিডেন্ট আজিজুল রহমান খান এই প্রথম বারের মত এ দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন । নিজের হাতে দেশটা কে সাজানোর চেষ্টা করছেন । অন্য কেউ এটা করে নি । আপনি নিশ্চই জানেন ! অনেকের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি ! অনেক ইনকিউয়ারিতে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসছে !
-জি জানি !
-আপনি নিশ্চই জানে তিনি এমভিকে হিট লিস্টে প্রেসিডেন্ট আজিজুল রহমান খানের নাম একেবারে শীর্ষ আছেন ! জানেন ?
কেউ কোন কথা বলল না !
এম ভি কে হিট লিস্ট টা অনেক টা মফিয়াদের বানানো শেয়ার বিজনেসের মত ! এখানে এম ভি কে অর্থাৎ মোস্ট ভ্যালুয়েবল পার্সন টু কিল লিস্টে সব বিখ্যাত মানুষের নামের কিলিং অর্ডার দেওয়া হয় ! আস্তে আস্তে সেখানে বিড হয়, প্রাইস বাড়ে । এভাবে কয়েকজন ভাড়াতে খুনি কিংবা খুনী অর্গানাইজেশন সেই মানুষটার পেছনে গেলে যায় !
আগন্তুক বলল
-আগের সিকিউরিটি দিয়ে মিস্টার প্রেসিডেন্টের সিকিউরিটি দেওয়ার চেষ্টা করতে যাবেন না প্লিজ ! আমার পয়েন্ট নিশ্চই আপনি ধরতে পারছেন !
-হুম !
-গুড ! এটাই আমি বলতে বোঝাতে চেয়েছি ! আমি একা সব সময় সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারবো না ! আর ঠিক এই সুযোগটাই ওরা নেবে ! আপনার মেয়েকে একটু বোঝান । এভাবে হুট হাট করে যেন সে বাইরে চলে না যায় !
এই বলেই আগন্তুক ফোন রেখে দিল ।
ফোন রাখার কয়েক মিনিট পরেও প্রেসিডেন্ট কোন কথা বলল না । নিজের মনেই কি যেন একটা চিন্তা করে চলেছে । কিছু সময় পরে মুখ তুলে তাকালো আহমেদ আসাদের দিকে ।
-আসাদ !
-জি স্যার !
-সেদিন সেই অফিসার এসেছিল না কথা বলতে ! কি যেন নাম, মাশরুফ মে বি !!
-জি স্যার !
-তাকে ডাক দাও ! তার সাথে আমার কথা আছে !
সাত
নিকিতা যখন লিফ্টের দরজা খুলে বাইরে বের হল ততক্ষনে আট তলার পুরো ফ্লোর টা ফাঁকা হয়ে গেছে । হওয়ারই কথা । যেখানে পুরো শপিং মলের মানুষ গুলো নিচের দিকে নামছে সেখানে ও উঠছে উপরের দিকে । পারলে আরও উপরে উঠলে ভাল হত । কিন্তু ঠিক সব থেকে উপরের তলায় ওঠতে ঠিক ভরশা পাচ্ছে না । এখানেই কোথাও লুকিয়ে থাকতে হবে !
নিকিতা নিজের ফোনটার প্রয়োজনীয়তা খুব ভাল করেই অনুভব করছে । এখন ফোনটা কাছে থাকলে অন্তত বাবার কাছে একটা ফোন করে তার বিপদের কথা জানাতে পারতো । যদিও টিভির মাধ্যমে এতোক্ষন সারা দেশের মানুষের জেনে যাওয়ার কথা যে দেশের সব থেকে বড় শপিং মলটাতে টেরোরিস্ট এটাক হয়েছে, কিন্তু ও যে এই শপিং মলটার ভিতরে রয়েছে সেটা তো জানার কোন উপায় নেই । সমস্যাটা এখানেই !
ওর বাবা দেশের রাজনীতি করে সেই কবে থেকে । তখন থেকেই ও আর ১০ টা সাধারন ছেলে মেয়েদের মত স্বাধীন ভাবে বাইরে ঘুরাঘুরি করতে পারে না । তার উপর যখন থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছে তখন থেকে তো তার বাইরে বের হওয়া বলতে গেলে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে একা একা । যেখানেই যাও না কেন এক গাদা লোক সাথে নিয়ে বের হতে হয় । এটা ওর একদম ভাল লাগে না । তাই ও মাঝে মাঝে ছদ্মবেশ নিয়ে বের হয়ে যায় বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলেই ।
ওদের বাসায় কাজের লোকজনের বাইরে বের হওয়ার জন্য একটা ওয়ানওয়ে আছে । কেবল মাত্র এদিক দিয়ে ওরা বের হতে পারে । ঢুকতে পারে না । সুযোগ পেলেই ও এমন করে বাইরে বের হয়ে যায় । আজকে সকালেও ঠিক এমন ভাবেই বের হয়ে গেছে ।
অবশ্য বের হওয়ার একটা কারন আছে । গত কাল রাতে ও রাফায়েল চৌধুরীকে একটা মেইল পাঠিয়ে জানিয়েছে যে আজকে ও এখানে আসবে । ব্যাস আর কিছু না ! ওর কেবল মনে হয়েছে মেইল পেলে রাফায়েল ঠিকই সব কাজ কর্ম ফেলে ওর সাথে দেখা করতে ছুটে চলে আসবে !
নিকিতার ধারনা সে ঠিকই আসবে । তার সাথে কিছু টা সময় আরও ভাল করে পর্যবেক্ষন করা যাবে আসলেই এই ছেলে সেই ছেলে কি না ।
কিন্তু সমস্যা বেঁধে ও এখানে আসার পর থেকেই । ও এসে পৌছিয়েছে তার একটু পরেই শপিং মলের মাইকে একটা ভারি গলার আওয়াজে ভেসে এল একটা অদ্ভুদ নির্দেশনা । তখন শপিং মলে ভীড় শুরু হয়নি । মানুষ জনও এতোটা আসা শুরু করে নি । ভারি গলায় একে একে সবাইকে শপিং মল থেকে বের হয়ে যেতে বলা হল । যে যেখানে আছে সেভাবেই যেন শপিং মল থেকে বের হয়ে যায় যদি প্রানের মায়া থাকে । তারা একজন বিশেষ মানুষকে খুজছে, তাকে পেলেই অন্য কারো কোন প্রকার ক্ষতি হবে না । এই জন্য মেইন দরজা দিয়ে সবাইকে বের হওয়ার জন্য বলা হল ।
নিকিতার বুঝতে একটুও কষ্ট হল না যে এই বিশেষ মানুষটা হচ্ছে সে নিজে । ও বারবার কিছুতেই বুঝতে পারে না ওর ওপর মানুষের এতো নজর কেন ? যেখানেই যেভাবেই বের হয় না কেন কেউ না কেউ ঠিকই বুঝে ফেলে ।
আরে বাবা প্রেসিডেন্টের মেয়ে হয়েছে বলে কি একটু সাধ আহ্লাদ নেই !
ভিড়ের মাঝে যখন সবাই নিচের দিকে নামছিল তখন সে উপররের দিকে উঠলছিল । ফোন বের করে গিয়ে একজনের ধাক্কায় সেটা হাত থেকে ছুটে গিয়ে কোথায় গিয়েছে সেদিকে তার লক্ষ্য দেয় নি । যেদিকে চোখ গিয়েছে সেদিকেই হাটার চেষ্টা করেছে । কোন একটা নিরাপদ জায়গায় যেখানে ওকে কেউ খুজে পাবে না !
এখন ও আট তলার একবারে কর্নারের দিকের একটা দোকানের আড়ালে লুকিয়ে আছে । জানে খুব বেশি লাভ হবে না । একটু পরেই লোকজন তাকে খুজতে বের হবে । কে জানে, আর কতক্ষন ওকে এখানে থাকতে হবে ।
###
শামীম জাফরকে আকিব আরিয়ান যতটা ভয় পায় তার থেকে বেশি অস্বস্থি বোধ করে ফারিয়া নূশরাতের সাথে কথা বলার সময় । মেয়েটার ভিতর কেমন যেন একটা কাঠিন্য আছে । চোখের দিকে তাকিয়ে যায় না ! আকিব সব সময় অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বলে ।
কিন্তু এই কাজটাই ওকে মাঝে মাঝে করতে হয় । ফারিয়ার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হয় । এখনও ঠিক ফারিয়ার সামনেই বসে আছে সে । তাকিয়ে আছে অন্য দিকে । মাঝে মাঝে আড় চোখে ফারিয়ার দিকে আড়চোখ তাকিয়ে আছে । একটু পরপর কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে ।
প্রথম দর্শনে যে কেউ দেখলে ফারিয়েকে ২২/২৩ বছরের কোন মেয়ে মনেই করবে । সে যে এই প্রতিষ্ঠানের সিইও এটা মেনে নেওয়া কিংবা হজম করা একটু কষ্টকর । তারও আবার এরকম একটা প্রতিষ্ঠানের । আকিব প্রথমেই নিজেও এটা মেনে নিতে পারে নি । কিন্তু সময় যত পেরিয়েছে মেয়েটার কাজকর্ম ওকে মুগ্ধ করেছে । বিশেষ করে প্লানিং এবং যে কোন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপার টা দেখে আকিব একটু অবাকই হয়েছে ।
কফির কাপ টা এক পাশে সরিয়ে রেখে ফারিয়া বলল
-সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ?
-জি ম্যাম ! প্রায় সব টুকু !
-প্রায় ?
-আসলে এখনও আমাদের লোকজন রাফায়েল চৌধুরীকে ট্রেস করতে পারে নি । তার যে বাসার ঠিকানা দেওয়া আছে সেখানে সে নেই । আর অফিসেও আসে নি কালের পরে । কোথায় গেছে কেউ জানে না ?
-আর ?
-ওর মেইল টাও হ্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না ! আপনি তো জানেনই সে দেশের শীর্ষ স্থানীয় আইটি এক্সপার্টদের একজন । প্রেসিডেন্ট পুরুষ্কারপ্রাপ্ত !
ফারিয়া কিছুক্ষন কি যেন ভাবলো । কদিন থেকে প্রায় কয়েকবার রাফায়েল চৌধুরী নামটা ওর সামনে এসেছে । খোজ খবর নিয়ে যতদুর জানা গেছে খুব বেশি আহামরি কেউ না । বিদেশ থেকে পড়আশুনা করে আসা একজন আইটি এক্সপার্ট বলা চলে । ওর দিকে খুব বেশি নজর দেওয়ার কোন কারন নেই । কিন্তু নজর দিতে হচ্ছে কারন প্রেসিডেন্টের মেয়ে নিকিতা এই ছেলেটার উপর খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে !
দেখতে সুন্দর, আইটি এক্সপার্ট প্রেসিডেন্ট পুরুষ্কারপ্রাপ্ত এইটাই কি কারন ?
নাকি অন্য কোন কারন আছে ?
সে এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না ! তার ঠিক গত কাল রাতেই নিকিতা রাহমান এই রাফায়েল কে একটা মেইল পাঠিয়েছে । যদিও রায়াফেলের মেইল টা হ্যাক করা যায়নি তবে নিকিতার মেইল আইডিটা সহেজেই হ্যাক করা গেছে । সে কাকে কিভাবে কখন মেইল পাঠিয়েছে সব কিছু লক্ষ্য রাখা সম্ভব হয়েছে । সেটা মেইল থেকেই আজকের এই প্লান !
প্রেসিডেন্ট হাউজের উপরও নজর রাখা ছিল । সেখান থেকে নিশ্চিত খবর এসেছে যে নিকিতা বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে । তার পিছনে ফেউ লাগিয়েছে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই । সব কিছু প্লান মোতাবেগই চলছে ।
-ওরা এটাকে কখন যাবে !
আকিব ঘড়ি দেখে বলল
-আর মিনিট বিশেক পরেই ।
-ওকে ! আমাকে আপডেট জানিও !
-জি ম্যাম !
নিকিতা হঠাৎই কিসের যেন আওয়াজ শুনলো । মনে হল কেউ কোন একটা চেয়ারে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, তারপর কিছু একটা টেনে টেনে নেওয়ার আওয়াজ হল কিছুটা সময় ! টুকটাক কিছু আওয়াজ ! তারপর আবার নিরবতা । পুরো শপিং মল টা কি রকম চুপচাপ হয়ে গেছে । এই সময় এমন নিরবতা এখানে কল্পনাই করা যায় না ! নিকিতা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগুলো । এগুতেই মানুষটা চোখ পড়লো । একটা চেয়ারে চুপ করে বসে আছে । মুখে সিরারেট ! আপন মনে সেখান থেকে ধোঁয়া ছাড়ছে !
নিকিতা কিছু টা সময় ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলো না । দুরের চেহারে বসে সিগারেট খাওয়া মানুষ টা আর কেউ নয়, সেদিনের ওকে বাইরে বের হতে বাধা দেওয়া পুলিশ অফিসার মাশরুফ হোসাইন ! যদিও তাকে মোটেি পছন্দ নয় নিকিতার তবুও এই সময়ে এই খানে দেখতে পেয়ে মনের ভেতরে একটা আনন্দ বয়ে গেল ।
আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল সেদিকে !
-আপনি এখানে কি করছেন শুনি ?
মাশরুফ একটু হেসে বলল
-দেখতে পাচ্ছেন না ! সিগারেট খাচ্ছি !
-এই পরিস্থিতিতে কেউ সিগারেট খেতে পারে ? বলেন পারে !
-আসলে এই শপিং মল টা স্মোপিং ফ্রি জোন ! এখানে অন্য সময়ে সিরারেট খাওয়া যায় না ! আর যেখানে সিগারেট খাওয়া নিষেদ সেখানে সিগারেট টানার একটা মজাই আলাদা ! একটা কাজ করুন তো আমার একটা ছবি তুলে দিন তো ! বন্ধুদের দেখাবো যে দেখ আমি কোথায় বিড়ি টেনেছি !
নিকিতা কোন কথা খুজে পেল না । নিজের কাছে মনে হল এই লোক কিভাবে পুলিশের চাকরী পেল । এটা কি ইয়ার্কি করার জায়গা !!
নিকিতা খানিকটা রাগান্বিত হয়েই বলল
-আপনি এই খানে কিভাবে ইয়ার্কি মারছেন বলেন তো ?
-ঠিক যেভাবে আপনি সবার চোখ ফাকি দিয়ে নিজে যেচে এসে বিপদের ভেতরে এসেছেন ! মানুষ তো পায়ে কুড়াল মারে কন্তু আপনি কুড়াল চুপচাপ বসে ছিল সেখানে তার উপরে পা মেরেছেন !
-শুনুন লেকচার দিবেন না ! খবরদার !
-আচ্ছা দিবো না !
-আর আপনার সাহায্যের আমার দরকার নেই !
-ওকে ! ফাইন ! আমার কোন সমস্যা নেই । আপনার পথ আপনি দেখুন ! আমি সিগারেট খেয়ে নিচে রওনা দেব ! যারা এসেছে তারা আমাকে কিছু করবে না ! কোন বোকা মেয়ের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করার কোন মানে নেই !
নিকিতা মাশরুফের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো ! রাগে ওর সারা শরীর কাঁপছে ।
-ওকে ফাইন ! দরকার নেই ! আমি আমার ব্যবস্থা নিজের করবো !
এই বলে নিকিতা হাটতে শুরু করলো উল্টো দিকে ।
হাটতে হাতে যখন একেবারে ডাক দিকে চলে এল তখন নিকিতার রাগ কিছুটা কমে এল । সেখানে রাগের বদলে ভয় দেখা দিল ! এখন ওর মনে হচ্ছে ও আসলেই সেই আগন্তুক কে চিনতে ভুল করেছে । সে কিছুতেই রাফায়েল চৌধুরী হতে পারে না ! তাহলে এখন উপায় ?
নিকিতা যেই না বাম দিকের সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে যাবে ঠিক তখনই ওর চোখ লোকটার উপরে পড়লো ! মুখ একটা হাসি নিয়ে আস্তে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে । ভয়ে নিকিতার মুখ শুকিয়ে গেল !
নিকিতা এখন কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না ! একবার ভাবলো দৌড় দিবে কিন্তু বুঝলো যে দৌড় দিয়ে লোকটা সাথে পারবে না ! ঠিকই ধরে ফেলবে !
নিকিতা কি করবে বুঝতে পারলো না । ওর কেন মনে হল চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় সেই আগন্তুক এসে হাজির হবে । ওকে এসে উদ্ধার করবে ! চোখ বন্ধ করে ফেলল ! মনে মনে কেবল ডাকতে লাগলো আগন্তুক কে আসার জন্য !
তখনই কানের কাছে ধুপ করে একটা কিছু পড়ার আওয়াজ কানে এল । তবুও চোখ খুললো না ! চোখ বন্ধ করেই রইলো । জানে যে চোখ খুললেই সামনে দেখা যাবে সেই লোকটা দাড়িয়ে আছে । কিন্তু যখন বেশ কিছুটা সময় পার হওয়ার পরেও কিছু হল না, নিকিতা আস্তে করে এক চোখ খুললো । খুলেই দেখলো ঠিক তার সামনেই মাশরুফ দাড়িয়ে ! দুই হাতে দুইটা আইসক্রিম !
ওর চোখ খোলাতেই ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো !
-হ্যালো ! চলেই যাচ্ছিলাম ! ভাবলাম এমন সুযোগ আর আসবে না ফ্রি ফ্রি আইসক্রিম খাওয়ার ! খাবেন আপনি ?
এই বলেই ওর দিকে একটা আইসক্রিম বাড়িয়ে দিল ! নিকিতা হাত বাড়িয়ে আইস ক্রিম টা নিল । খুব ভাল করেই জানে এখানে এই মাশরুফ ছাড়া তাকে বাঁচানোর আর কেউ নেই । রাফায়েল নিশ্চিত ভাবেই আসল লোক না । ও ওকে চিনতে ভুল করেছে ।
-ঐ লোকটার কি হল ?
-কোন লোকটার বলুন তো ?
নিকিতা একটু নরম হয়ে বলল
-দেখুন আমি জানি আমার এখানে আসা ঠিক হয় নি । এখন কি বলবেন কি করা যায় ?
মাশরুফ হাসলো কেবল ! বলল
সমস্যা নেই । দেখা যাক কি করা যায় ! ব্যাক আপ আসতেছে । এখন কতক্ষনে আসে আর আমরা ততক্ষন টিকতে পারি কি না এটাই দেখার বিষয় ! আইসক্রিম শেষ করেন আমাদের নয় তলায় যেতে হবে !
আইসক্রিম শেষ করে নিকিতা হাটতে শুরু করলো সামনের দিকে । নয়তলা ওঠার সিড়ির টা একেবারে শেষ মাথায় ! শপিং মলটা আট তলা পর্যন্তই ! এর পরে সাধারন মানুষের যাওয়া নিষেধ । কিন্তু আজকে তো আর এসব কিছু মানা নেই ! ওরা হাটতে হাটতে নতলায় ওঠার সিড়ির মাথায় চলে এল । উঠতে যাবে তখন দেখলো সিড়ির ঠিক উপরে দুজন মুখোস পরা লোক হাতে অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
মাশরুফ ওর হাত ধরে একটা থামের আড়ালে চলে গেল ! আরেকটু হলে হয়তো দেখেই ফেলতো ওদের কে । অল্পের জন্য দেখতে পারে নি ।
-এখন কি হবে ?
মাশরুফ একটু চিন্তায় ভেতরে পরে গেল । ওদের দুজনের হাতেই অটোমেটিক অস্ত্র ! আর ওর হাতে কেবল একটা সাইল্যান্সার লাগানো পিস্তল । যার একটা গুলি এরই ভেতরে শেষ । অবশ্য আরেকটা ম্যাগজিন আছে পকেটে কিন্তু সেটা দিয়ে কোন ভাবেই অটোমেটিক মেশিন গানের সাথে পাল্লা দেওয়ার মত নয় । আগে একটা ডাইভারজেশন করতে হবে !
মাশরুফ বলল
-শুনুন আপনাকে কি করতে হবে ?
তারপর আস্তে আস্তে বুঝিয়ে বলল তাকে কি করতে হবে । সব শোনার পরে নিকিতা বলল
-আপনি আমাকে কি বাঁচানোর চেষ্টা করছে নাকি মারা চেষ্টা করছেন ?
-আপনাকে ওরা গুলি করবে না ! নিশ্চিত থাকেন !
-যদি করে ?
-আরে বাবা করবে না গুলি ! যদি গুলি করে তাহলে আপনাকে আমি পুরান ঢাকার মামা হালিম খাওয়াবো ! ঠিক আছে । আর যদি না করে তাহলে আপনি আমাকে কি খাওয়াবেন বলেন ?
নিকিতা আবারও কোন কথা খুজে পেল না । কি বলবে ! এই পরিস্থিতিতে এসেও কেউ এমন কথা বলতে পারে ? এই মানুষ কে না দেখলে সে হয় তো বুঝতেই পারতো না !
মাশরুফ বলল
-বিশ্বাস করুন ! এতে কাজ হবে !
-আচ্ছা
নিকিতা হঠাৎ করেই থামের আড়াল থেকে বেড়িয়ে এল ! তারপর সোজা হাটতে লাগলো মুখোস পরা দুজনের দিকে । ওকে দেখেই দুজন একটু নড়ে চড়ে উঠলো । তবে নিকিতাকে সোজা ওদের দিকে যেতে দেখে একটু যেন দ্বিধায় পরে গেল । ওরা যার জন্য এসেছে এই মেয়ে কি সেই মেয়ে ? তাহলে ওদের দিকে কেন আসছে !
নিকিতা ওদের কাছে গিয়ে বলল
-আচ্ছা বাধরুম টা কোন দিকে ?
উপরের দুজন কেবল এক অন্য দিকে মুখ চাওয়া করলো কিছুটা সময় তারপর একজন বলল
-এই তো সামনে ! আসুন !
-না থাক ! আমি খুজে নেব !
এই বলেই নিকিতা পিছনে ঘুরে দৌড় লাগালো ! লোক দুটোও একজন তেড়ে এল ! কিন্তু আসতে পারলো না খুব বেশি দুর ! কেবল কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো ! দুজনের মনযোগই ছিল নিকিতার দিকে । এই সুযোগটাই কাজে লাগালো মাশরুফ !
কিন্তু নিকিতা তখনই দৌড়িয়ে চলেছে । ওর পেছনে তাকানোর লক্ষ্য নেই ! কয়েকটা খাবারের দোকান আর চেয়ার টেবিল পার হতেই যখন সামনে গেল দেখলো আরও একজন কালো পোষাক পরা মুখে কালো কাপড় পরা লোক ওর সামনে এসে দাড়িয়েছে !
নিকিতার দৌড়ানোর গতি এতো ছিল যে সে কিছুতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলো না ! সোজা গিয়ে মুখোশ পরা লোকটা হাতের ভেতর !
-আরে ! এতো দেখি প্রিন্সেন স্বয়ং ! যাক কষ্ট করে তোমাকে আর খুজতে হল না !
তখনই পেছন থেকে মাশরুফ এসে হাজির ! লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল
-হ্যালো ব্রাদার !
পিস্তল বেরিয়ে এল দুজনের হাতেই । লোকটা নিকিতা ঢাল হিসাবে নিয়ে বলল
-পিস্তল ফেলে দাও । নয়তো গুলো করবো ?
-কাকে ? আমাকে নাকি এই মেয়ে কে ?
প্রশ্ন শুনে লোকটা কিছুটা সময় একটু ভ্যাবেচেকা খেয়ে গেল ! আসলে পিস্তল হাতে কেউ যে এমন হেসে হেসে কথা বলতে পারে এটা মনে হয় তার চিন্তার বাইরে ছিল !
মাশরুফ বলল
-দেখো, এই মেয়ে কে যে তুমি গুলি করবে না সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি ! আমাকেই যে গুলো করবে সেটাও পারবে না ! কারন কি জানো, কারন হচ্ছে নিকিতাকে তোমার ধরে রাখতে হচ্ছে এক হাত দিয়ে । এই ভাবে নিশানা লাগনো একটু কষ্টের !
এই বলেই মাশরুফ নিকিতাক চোখের ইশারায় কিছু বলল । প্রথমে কিছু না বুঝলেও কয়েক সেকেন্ড পরেই সেটা বুঝতে পারলো সে ।, মাশরুফ ওকে মাথা নিচু করতে বলছে !
আওয়াজ না করেই মাশরুফ আরও একটা ইশারা করলো । ঠিক তখনই নিনিকা শরীরের সমস্ত শক্ত দিয়ে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিয়ে শুয়ে পড়লো !
এতো জোড়ে ধাক্কা লোকটা আশা করে নি । নিজের ব্যালেন্স ঠিক ধরে রাখতে পালো না ! নিকিতার হাত ছুটে গেল ! ব্যাস এই টুকু সময়ই দরকার ছিল মাশরুফের । সোজা একটা বুলেট ঢুকে গেল লোক টার কপাল বরাবর !
নিকিতা মাথা তুলে লোকটার দিকে তাকাতে যাবে ঠিক তখনই মাশরুফ ওর সামনে এসে দাড়ালো !
-দেখতে হবে না এটা !
নিকিতা বুঝতে পারলো কেন লাশ টা দেখতে দিতে চাইলো সে !
-আপনি এভাবে দৌড় কেন মারলেন ? কাজ শেষ করার পর আপনার না থামার কথা ছিল !
-বুঝতে পারি নি !
-আচ্ছা ঠিক আছে ! এবার চলুন !
ওরা এগিয়ে চলল নতলার দিকে । নতলাট ঠিক বাম দিকটা সম্পূর্ন কাচে ঘেরা ! নিকিতা দেখলো মানুষটা কাচে ঘেরা দেওয়ালে কি যেন হিসাব করছে । কি করছে কে জানে । একবার জিজ্ঞসে করতে গেল কি খুজছেন । পরে আর করলো না !
এদিকে মাশরুফ হিসাব কষে ঠিক একটা কাচের জানালা খুলে ফেলল ।
-আপনি কি করতে যাচ্ছেন ?
-লাফ মারবো !
-মানে কি ? আমি পারব না ! মোটেও পারবো না !
-আপনাকে পারতে হবে না । কেবল চোখ বন্ধ করে লাফ মারবেন !
-না না না ! আমি পারবো না !
-আরে আবার কথা বলে !
মাশরুফ বলল
-আমাকে জড়িয়ে ধরতে হবে কেবল ! চোখ বন্ধ করে রাখবেন ! আর কিছু করা লাগবে না ! আসেন ! আর কোন উপায় নেই । নিচের পুরো ফ্লোর ভর্তি মানুষ ! সবাই এদিকে আসছে !
-না !
-আবার কথা বলে !
ততক্ষনে মাশরুফ ফ্লোরের মেঝে পরর্ন্ত কাঁচ খুলে ফেলেছে । নিকিতা তাকিয়ে দেখলো একটা কালো মত মোটা দড়ি মাশরুফের হাতে । এটা কোথা থেকে এল কে জানে ! ওর মাথায় কিছুই ঢুকছিল না !
মাশরুফ বলল
-আপনি কেবল আমাকে শক্ত করে ধরে থাকবেন ! ঠিক আছে !
নিকিতা ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেল ! ততক্ষনে মাশরুফ প্রায় বাইরে বের হয়ে ঝুলে পড়েছে মোটা দড়িটা ধরে ! নিকিতা চোখ বন্ধ করে নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে আগন্তুক কে জড়িয়ে ধরলো !
কতক্ষন জড়িয়ে ধরলো ঠিক বলতে পারবে না তবে একসময় লক্ষ্য করলো ওর পায়ের নিচে শক্ত কিছু ! তাকিয়ে দেখে পাশের একটা বিল্ডিংয়ের সানসেটের উপর দাড়িয়ে ! মাশরুফ ওকে টেনে ছাদের উপর ওঠালো !
-চালেন এবার যাওয়া যাক !
-চলেন আরেক বার এই কাজ টা করি !
-খুব মজা লাগলো ?
-হুম !
-ভয়ে তো মুখ শুকিয়ে আসছিল !
-মোটেই না !
পাশের বিল্ডিং থেকে নিচে নেমেও পেছনে দিকে চলে এল ওরা । নিকিতার দিকে তাকিয়ে বলল
-এখান থেকে ঠিক ডান দিকে যাবেন । দেখবেন একটা কালো রংয়ের ট্যাক্সি আছে । ওঠে উঠে পড়বেন ! ঠিক আছে ?
-আপনি যাবেন না ?
-আমি আপনার পেছনেই আছি ! আপনি এগিয়ে যান !
নিকিতাকে হাটতে শুরু করলেই মাশরুফ বিল্ডিংয়ের মাঝে হারিয়ে গেল !
###
-কি খবর আকিব ?
-খবর ভাল না ম্যাম !
-সেটা তো বুঝতেই পারছি ! আমি কেবল জানতে চাই একা একটা মেয়ে কিভাবে তিন জন আর্মড ম্যান কে খূন করে পালিয়ে গেল ?
-ম্যাম আমরা সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করে দেখেছি ! মেয়েটা একা ছিল না ! ওর সাথে একজন মানুষ ছিল !
আকিব লক্ষ্য করলো ফারিয়া নূশরাতের মুখটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে । এখানে এখন থাকা টা মোটেই সমীচীন হবে বলে মনে হচ্ছে না !
ফারিয়া বলল
-আগের দুইটা অপারেশনও একজন মানুষের কারনে ফেইল করেছে ! আর এইটাও ! এরা কি একই জন ?
-তা বলা মুশকিল ! এবারর জন কালো পোষাক পরা ছিল না ! এবং মেয়েটা সম্ভব লোকটা কে চিনে !
-হুম ! খোজ লাগাও !
-আমি খোজ লাগাচ্ছি !
-এতোদিন কি ঘোড়ার ঘাস চড়াচ্ছিলেন ?
আকিব কি বলবে খুজে পেলো না ! ফারিয়া ওকে হাতের ইশারায় চলে যেতে বলল ! ততক্ষনে গভীর চিন্তায় ডুবে গেছে । একটা কিছু চিন্তা মাথায় চলছে ।
প্রথম বারের মত তার দায়িত্বে থাকা কোন অপারেশনে ফেইল করলো সে । কারো কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে এই প্রথমবার !
এই অচেনা দুই আগন্তুককে পরাজিত না করতে পারলে ফারিয়া নূশরাতের মনে আর শান্তি আসবে না ! এরই ভিতর চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছে সে ! কিভাবে আগন্তুক কে কাবু করা যায় !
পরের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮