somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ অচেনা আগন্তুক (এপিসোড ফোর)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের পর্ব

ছয়
দেশের ছোট বড় প্রত্যেকটা দৈনিক কেবল একটা শিরোনাম ছাপা হয়েছে আজ ।
"প্রেসিডেন্ট হাউজ আক্রান্ত"

সাথে আরও অনেক জল্পনা কল্পনা । কিন্তু দেশের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার সংস্থা থেকে কোন প্রকার প্রেস বিফিং হয় নি ! কেউ মুখ খুলতে রাজি নয় কিন্তু পত্রিকা গুলো তো বসে থাকার পাত্র না ! নিজেদের মত সংবাদ পরিবেশ করেই চলেছে ।

খবর পাওয়ার দিনই প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরে এসেছে । নিজের অফিসে গম্ভীর মুখে বসে আছে । চিফ সিকিউরিটি অফিসার আহমেদ আসাদ রুমে প্রবেশ করতেই প্রেসিডেন্ট মুখ তুলে চাইলেন । তিনি এখনও চিন্তিত হয়ে আছেন । বারবার কেবল নিজের মেয়ের কথা চিন্তা করছেন ।
যেই এখানে আসুক না কেন সে কোন প্রকার ক্ষতি না করেই চলে গেছে । কোন কিছু নেই নি কিংবা কোন হতাহতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি । এটাই তার কাছে সব থেকে বেশি চিন্তার বিষয় লাগছে । চাইলেই সে অনেক কিছু করতে পারতো কিন্তু করে নি ।
কেন ?

আহমেদ আসাদও ঠিক এই ব্যাপার না নিয়ে ভাবছে ।
-কিছু পেলে ?
-না স্যার ? আমরা টোটালী ব্লাঙ্ক ! কেউ কিছু না জানে না । যেই এসেছে এমন নিঁখুদ ভাবে কাজটা করেছে যে কোন প্রকার সুত্র রাখে নি ! আমাদের মনে হচ্ছে সে একজন না ! বেশ কয়েকজন !
-তুমি তাহলে কি বলতে চাও ? আমি আমার নিজের ঘরে নিরাপদ নই । যা হোক আমি না হলাম না আমার মেয়েও কি নিরাপদ না ?
-স্যার আমরা এরকম ভুল আমরা আর এফোর্ড করতে পারি না ।

আহমেদ আসাদ আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ডের ফোন টা বেজে উঠলো ! কথার মাঝখানে বাঁধা পেয়ে আহমেদ আসাদ থেমে গেল । প্রেসিডেন্ট নাম্বার টা দেখে একটু অবাক হল । অপরিচিত নাম্বার !

-গুড মর্নিং মিস্টার প্রেসিডেন্ট !
-গুড মর্নিং ! কে বলছেন ?
-এতো সহজে আপনি আমাকে ভুলে গেলেন ?
-তুমি !

ফোনের ওপাশ থেকে হাসির আওয়াজ এল ।
-যাক চিনতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগলো !
-তোমাকে কি ভোলা যায় নাকি ভোলার উপায় আছে ?
আবারও হাসির আওয়াজ এল ওপাশ থেকে । হাসি থামিয়ে আগন্তুক বলল
-আহমেদ আসাদও নিশ্চই আপনার সাথে আছে ?
-হুম ! তুমি কিভাবে জানো ?
-মিস্টার প্রেসিডেন্ট আমি সেদিন বলেছিলাম আমি থাকতে আপনার কোন প্রকার ক্ষতি হবে না । সেইটা সত্যি করার জন্য আমাকে অনেক কিছু করতে হয় !
-হুম ! বুঝলাম !
-আপনি আপনার ফোন টা একটু লাউড স্পিকারে দিন । আমি যা বলতে চাই তা আহমেদ আসাদও শুনুক !

প্রেসিডেন্ট নিজের ফোনটা লাউড স্পিকারে দিল ! আহমেদ আসাদ কে বলেও দিল ফোনের ওপাশে কে আছে । সেদিনের পরে আহমেদ আসাদেরও আগন্তুকের খানিকটা কৌতুহল আছে ।

ফোনের ওপাশ থেকে আগুন্তুক বলল

-গত পরশুর ব্রেক-ইন টা আমি করেছি !
-হোয়াট ?

আহমেদ আসাদ সাথে সাথে প্রেসিডেন্ট এক সাথে বলে উঠলো !
-কেন ?
-আমি কেবল দেখাতে চেয়েছি যে আপনার সিকিউরিটি ব্যবস্থাটা কতটুকু দূর্বল ! আমি ছাড়া অন্য কেউ হলে কি অবস্থা টা হতে পারতো একবার চিন্তা করে দেখুন ! দেখেন আমি সারাটা সময় আপনাদের আসেপাশে থাকতে পারবো না ! তখন কি হবে একবার চিন্তা করে দেখেছেন !

আহমেদ আসাদ বলে উঠলো
-কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমাদের সিকিউরিটি ব্যবস্থা এরকমই ! কই কেউ তো এভাবে ব্রেক-ইন করতে পারে নি !
-তার কারন হচ্ছে প্রেসিডেন্ট আজিজুল রহমান খান এই প্রথম বারের মত এ দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন । নিজের হাতে দেশটা কে সাজানোর চেষ্টা করছেন । অন্য কেউ এটা করে নি । আপনি নিশ্চই জানেন ! অনেকের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি ! অনেক ইনকিউয়ারিতে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসছে !

-জি জানি !
-আপনি নিশ্চই জানে তিনি এমভিকে হিট লিস্টে প্রেসিডেন্ট আজিজুল রহমান খানের নাম একেবারে শীর্ষ আছেন ! জানেন ?
কেউ কোন কথা বলল না !
এম ভি কে হিট লিস্ট টা অনেক টা মফিয়াদের বানানো শেয়ার বিজনেসের মত ! এখানে এম ভি কে অর্থাৎ মোস্ট ভ্যালুয়েবল পার্সন টু কিল লিস্টে সব বিখ্যাত মানুষের নামের কিলিং অর্ডার দেওয়া হয় ! আস্তে আস্তে সেখানে বিড হয়, প্রাইস বাড়ে । এভাবে কয়েকজন ভাড়াতে খুনি কিংবা খুনী অর্গানাইজেশন সেই মানুষটার পেছনে গেলে যায় !

আগন্তুক বলল
-আগের সিকিউরিটি দিয়ে মিস্টার প্রেসিডেন্টের সিকিউরিটি দেওয়ার চেষ্টা করতে যাবেন না প্লিজ ! আমার পয়েন্ট নিশ্চই আপনি ধরতে পারছেন !
-হুম !
-গুড ! এটাই আমি বলতে বোঝাতে চেয়েছি ! আমি একা সব সময় সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারবো না ! আর ঠিক এই সুযোগটাই ওরা নেবে ! আপনার মেয়েকে একটু বোঝান । এভাবে হুট হাট করে যেন সে বাইরে চলে না যায় !

এই বলেই আগন্তুক ফোন রেখে দিল ।

ফোন রাখার কয়েক মিনিট পরেও প্রেসিডেন্ট কোন কথা বলল না । নিজের মনেই কি যেন একটা চিন্তা করে চলেছে । কিছু সময় পরে মুখ তুলে তাকালো আহমেদ আসাদের দিকে ।
-আসাদ !
-জি স্যার !
-সেদিন সেই অফিসার এসেছিল না কথা বলতে ! কি যেন নাম, মাশরুফ মে বি !!
-জি স্যার !
-তাকে ডাক দাও ! তার সাথে আমার কথা আছে !


সাত

নিকিতা যখন লিফ্টের দরজা খুলে বাইরে বের হল ততক্ষনে আট তলার পুরো ফ্লোর টা ফাঁকা হয়ে গেছে । হওয়ারই কথা । যেখানে পুরো শপিং মলের মানুষ গুলো নিচের দিকে নামছে সেখানে ও উঠছে উপরের দিকে । পারলে আরও উপরে উঠলে ভাল হত । কিন্তু ঠিক সব থেকে উপরের তলায় ওঠতে ঠিক ভরশা পাচ্ছে না । এখানেই কোথাও লুকিয়ে থাকতে হবে !

নিকিতা নিজের ফোনটার প্রয়োজনীয়তা খুব ভাল করেই অনুভব করছে । এখন ফোনটা কাছে থাকলে অন্তত বাবার কাছে একটা ফোন করে তার বিপদের কথা জানাতে পারতো । যদিও টিভির মাধ্যমে এতোক্ষন সারা দেশের মানুষের জেনে যাওয়ার কথা যে দেশের সব থেকে বড় শপিং মলটাতে টেরোরিস্ট এটাক হয়েছে, কিন্তু ও যে এই শপিং মলটার ভিতরে রয়েছে সেটা তো জানার কোন উপায় নেই । সমস্যাটা এখানেই !


ওর বাবা দেশের রাজনীতি করে সেই কবে থেকে । তখন থেকেই ও আর ১০ টা সাধারন ছেলে মেয়েদের মত স্বাধীন ভাবে বাইরে ঘুরাঘুরি করতে পারে না । তার উপর যখন থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছে তখন থেকে তো তার বাইরে বের হওয়া বলতে গেলে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে একা একা । যেখানেই যাও না কেন এক গাদা লোক সাথে নিয়ে বের হতে হয় । এটা ওর একদম ভাল লাগে না । তাই ও মাঝে মাঝে ছদ্মবেশ নিয়ে বের হয়ে যায় বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলেই ।

ওদের বাসায় কাজের লোকজনের বাইরে বের হওয়ার জন্য একটা ওয়ানওয়ে আছে । কেবল মাত্র এদিক দিয়ে ওরা বের হতে পারে । ঢুকতে পারে না । সুযোগ পেলেই ও এমন করে বাইরে বের হয়ে যায় । আজকে সকালেও ঠিক এমন ভাবেই বের হয়ে গেছে ।

অবশ্য বের হওয়ার একটা কারন আছে । গত কাল রাতে ও রাফায়েল চৌধুরীকে একটা মেইল পাঠিয়ে জানিয়েছে যে আজকে ও এখানে আসবে । ব্যাস আর কিছু না ! ওর কেবল মনে হয়েছে মেইল পেলে রাফায়েল ঠিকই সব কাজ কর্ম ফেলে ওর সাথে দেখা করতে ছুটে চলে আসবে !

নিকিতার ধারনা সে ঠিকই আসবে । তার সাথে কিছু টা সময় আরও ভাল করে পর্যবেক্ষন করা যাবে আসলেই এই ছেলে সেই ছেলে কি না ।

কিন্তু সমস্যা বেঁধে ও এখানে আসার পর থেকেই । ও এসে পৌছিয়েছে তার একটু পরেই শপিং মলের মাইকে একটা ভারি গলার আওয়াজে ভেসে এল একটা অদ্ভুদ নির্দেশনা । তখন শপিং মলে ভীড় শুরু হয়নি । মানুষ জনও এতোটা আসা শুরু করে নি । ভারি গলায় একে একে সবাইকে শপিং মল থেকে বের হয়ে যেতে বলা হল । যে যেখানে আছে সেভাবেই যেন শপিং মল থেকে বের হয়ে যায় যদি প্রানের মায়া থাকে । তারা একজন বিশেষ মানুষকে খুজছে, তাকে পেলেই অন্য কারো কোন প্রকার ক্ষতি হবে না । এই জন্য মেইন দরজা দিয়ে সবাইকে বের হওয়ার জন্য বলা হল ।

নিকিতার বুঝতে একটুও কষ্ট হল না যে এই বিশেষ মানুষটা হচ্ছে সে নিজে । ও বারবার কিছুতেই বুঝতে পারে না ওর ওপর মানুষের এতো নজর কেন ? যেখানেই যেভাবেই বের হয় না কেন কেউ না কেউ ঠিকই বুঝে ফেলে ।
আরে বাবা প্রেসিডেন্টের মেয়ে হয়েছে বলে কি একটু সাধ আহ্লাদ নেই !

ভিড়ের মাঝে যখন সবাই নিচের দিকে নামছিল তখন সে উপররের দিকে উঠলছিল । ফোন বের করে গিয়ে একজনের ধাক্কায় সেটা হাত থেকে ছুটে গিয়ে কোথায় গিয়েছে সেদিকে তার লক্ষ্য দেয় নি । যেদিকে চোখ গিয়েছে সেদিকেই হাটার চেষ্টা করেছে । কোন একটা নিরাপদ জায়গায় যেখানে ওকে কেউ খুজে পাবে না !

এখন ও আট তলার একবারে কর্নারের দিকের একটা দোকানের আড়ালে লুকিয়ে আছে । জানে খুব বেশি লাভ হবে না । একটু পরেই লোকজন তাকে খুজতে বের হবে । কে জানে, আর কতক্ষন ওকে এখানে থাকতে হবে ।



###

শামীম জাফরকে আকিব আরিয়ান যতটা ভয় পায় তার থেকে বেশি অস্বস্থি বোধ করে ফারিয়া নূশরাতের সাথে কথা বলার সময় । মেয়েটার ভিতর কেমন যেন একটা কাঠিন্য আছে । চোখের দিকে তাকিয়ে যায় না ! আকিব সব সময় অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বলে ।
কিন্তু এই কাজটাই ওকে মাঝে মাঝে করতে হয় । ফারিয়ার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হয় । এখনও ঠিক ফারিয়ার সামনেই বসে আছে সে । তাকিয়ে আছে অন্য দিকে । মাঝে মাঝে আড় চোখে ফারিয়ার দিকে আড়চোখ তাকিয়ে আছে । একটু পরপর কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে ।

প্রথম দর্শনে যে কেউ দেখলে ফারিয়েকে ২২/২৩ বছরের কোন মেয়ে মনেই করবে । সে যে এই প্রতিষ্ঠানের সিইও এটা মেনে নেওয়া কিংবা হজম করা একটু কষ্টকর । তারও আবার এরকম একটা প্রতিষ্ঠানের । আকিব প্রথমেই নিজেও এটা মেনে নিতে পারে নি । কিন্তু সময় যত পেরিয়েছে মেয়েটার কাজকর্ম ওকে মুগ্ধ করেছে । বিশেষ করে প্লানিং এবং যে কোন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপার টা দেখে আকিব একটু অবাকই হয়েছে ।


কফির কাপ টা এক পাশে সরিয়ে রেখে ফারিয়া বলল
-সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ?
-জি ম্যাম ! প্রায় সব টুকু !
-প্রায় ?
-আসলে এখনও আমাদের লোকজন রাফায়েল চৌধুরীকে ট্রেস করতে পারে নি । তার যে বাসার ঠিকানা দেওয়া আছে সেখানে সে নেই । আর অফিসেও আসে নি কালের পরে । কোথায় গেছে কেউ জানে না ?
-আর ?
-ওর মেইল টাও হ্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না ! আপনি তো জানেনই সে দেশের শীর্ষ স্থানীয় আইটি এক্সপার্টদের একজন । প্রেসিডেন্ট পুরুষ্কারপ্রাপ্ত !


ফারিয়া কিছুক্ষন কি যেন ভাবলো । কদিন থেকে প্রায় কয়েকবার রাফায়েল চৌধুরী নামটা ওর সামনে এসেছে । খোজ খবর নিয়ে যতদুর জানা গেছে খুব বেশি আহামরি কেউ না । বিদেশ থেকে পড়আশুনা করে আসা একজন আইটি এক্সপার্ট বলা চলে । ওর দিকে খুব বেশি নজর দেওয়ার কোন কারন নেই । কিন্তু নজর দিতে হচ্ছে কারন প্রেসিডেন্টের মেয়ে নিকিতা এই ছেলেটার উপর খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে !
দেখতে সুন্দর, আইটি এক্সপার্ট প্রেসিডেন্ট পুরুষ্কারপ্রাপ্ত এইটাই কি কারন ?
নাকি অন্য কোন কারন আছে ?
সে এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না ! তার ঠিক গত কাল রাতেই নিকিতা রাহমান এই রাফায়েল কে একটা মেইল পাঠিয়েছে । যদিও রায়াফেলের মেইল টা হ্যাক করা যায়নি তবে নিকিতার মেইল আইডিটা সহেজেই হ্যাক করা গেছে । সে কাকে কিভাবে কখন মেইল পাঠিয়েছে সব কিছু লক্ষ্য রাখা সম্ভব হয়েছে । সেটা মেইল থেকেই আজকের এই প্লান !

প্রেসিডেন্ট হাউজের উপরও নজর রাখা ছিল । সেখান থেকে নিশ্চিত খবর এসেছে যে নিকিতা বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে । তার পিছনে ফেউ লাগিয়েছে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই । সব কিছু প্লান মোতাবেগই চলছে ।

-ওরা এটাকে কখন যাবে !
আকিব ঘড়ি দেখে বলল
-আর মিনিট বিশেক পরেই ।
-ওকে ! আমাকে আপডেট জানিও !
-জি ম্যাম !



নিকিতা হঠাৎই কিসের যেন আওয়াজ শুনলো । মনে হল কেউ কোন একটা চেয়ারে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, তারপর কিছু একটা টেনে টেনে নেওয়ার আওয়াজ হল কিছুটা সময় ! টুকটাক কিছু আওয়াজ ! তারপর আবার নিরবতা । পুরো শপিং মল টা কি রকম চুপচাপ হয়ে গেছে । এই সময় এমন নিরবতা এখানে কল্পনাই করা যায় না ! নিকিতা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগুলো । এগুতেই মানুষটা চোখ পড়লো । একটা চেয়ারে চুপ করে বসে আছে । মুখে সিরারেট ! আপন মনে সেখান থেকে ধোঁয়া ছাড়ছে !

নিকিতা কিছু টা সময় ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলো না । দুরের চেহারে বসে সিগারেট খাওয়া মানুষ টা আর কেউ নয়, সেদিনের ওকে বাইরে বের হতে বাধা দেওয়া পুলিশ অফিসার মাশরুফ হোসাইন ! যদিও তাকে মোটেি পছন্দ নয় নিকিতার তবুও এই সময়ে এই খানে দেখতে পেয়ে মনের ভেতরে একটা আনন্দ বয়ে গেল ।

আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল সেদিকে !
-আপনি এখানে কি করছেন শুনি ?
মাশরুফ একটু হেসে বলল
-দেখতে পাচ্ছেন না ! সিগারেট খাচ্ছি !
-এই পরিস্থিতিতে কেউ সিগারেট খেতে পারে ? বলেন পারে !
-আসলে এই শপিং মল টা স্মোপিং ফ্রি জোন ! এখানে অন্য সময়ে সিরারেট খাওয়া যায় না ! আর যেখানে সিগারেট খাওয়া নিষেদ সেখানে সিগারেট টানার একটা মজাই আলাদা ! একটা কাজ করুন তো আমার একটা ছবি তুলে দিন তো ! বন্ধুদের দেখাবো যে দেখ আমি কোথায় বিড়ি টেনেছি !

নিকিতা কোন কথা খুজে পেল না । নিজের কাছে মনে হল এই লোক কিভাবে পুলিশের চাকরী পেল । এটা কি ইয়ার্কি করার জায়গা !!
নিকিতা খানিকটা রাগান্বিত হয়েই বলল
-আপনি এই খানে কিভাবে ইয়ার্কি মারছেন বলেন তো ?
-ঠিক যেভাবে আপনি সবার চোখ ফাকি দিয়ে নিজে যেচে এসে বিপদের ভেতরে এসেছেন ! মানুষ তো পায়ে কুড়াল মারে কন্তু আপনি কুড়াল চুপচাপ বসে ছিল সেখানে তার উপরে পা মেরেছেন !
-শুনুন লেকচার দিবেন না ! খবরদার !
-আচ্ছা দিবো না !
-আর আপনার সাহায্যের আমার দরকার নেই !
-ওকে ! ফাইন ! আমার কোন সমস্যা নেই । আপনার পথ আপনি দেখুন ! আমি সিগারেট খেয়ে নিচে রওনা দেব ! যারা এসেছে তারা আমাকে কিছু করবে না ! কোন বোকা মেয়ের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করার কোন মানে নেই !

নিকিতা মাশরুফের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো ! রাগে ওর সারা শরীর কাঁপছে ।
-ওকে ফাইন ! দরকার নেই ! আমি আমার ব্যবস্থা নিজের করবো !

এই বলে নিকিতা হাটতে শুরু করলো উল্টো দিকে ।

হাটতে হাতে যখন একেবারে ডাক দিকে চলে এল তখন নিকিতার রাগ কিছুটা কমে এল । সেখানে রাগের বদলে ভয় দেখা দিল ! এখন ওর মনে হচ্ছে ও আসলেই সেই আগন্তুক কে চিনতে ভুল করেছে । সে কিছুতেই রাফায়েল চৌধুরী হতে পারে না ! তাহলে এখন উপায় ?
নিকিতা যেই না বাম দিকের সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে যাবে ঠিক তখনই ওর চোখ লোকটার উপরে পড়লো ! মুখ একটা হাসি নিয়ে আস্তে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে । ভয়ে নিকিতার মুখ শুকিয়ে গেল !

নিকিতা এখন কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না ! একবার ভাবলো দৌড় দিবে কিন্তু বুঝলো যে দৌড় দিয়ে লোকটা সাথে পারবে না ! ঠিকই ধরে ফেলবে !
নিকিতা কি করবে বুঝতে পারলো না । ওর কেন মনে হল চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় সেই আগন্তুক এসে হাজির হবে । ওকে এসে উদ্ধার করবে ! চোখ বন্ধ করে ফেলল ! মনে মনে কেবল ডাকতে লাগলো আগন্তুক কে আসার জন্য !

তখনই কানের কাছে ধুপ করে একটা কিছু পড়ার আওয়াজ কানে এল । তবুও চোখ খুললো না ! চোখ বন্ধ করেই রইলো । জানে যে চোখ খুললেই সামনে দেখা যাবে সেই লোকটা দাড়িয়ে আছে । কিন্তু যখন বেশ কিছুটা সময় পার হওয়ার পরেও কিছু হল না, নিকিতা আস্তে করে এক চোখ খুললো । খুলেই দেখলো ঠিক তার সামনেই মাশরুফ দাড়িয়ে ! দুই হাতে দুইটা আইসক্রিম !
ওর চোখ খোলাতেই ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো !
-হ্যালো ! চলেই যাচ্ছিলাম ! ভাবলাম এমন সুযোগ আর আসবে না ফ্রি ফ্রি আইসক্রিম খাওয়ার ! খাবেন আপনি ?
এই বলেই ওর দিকে একটা আইসক্রিম বাড়িয়ে দিল ! নিকিতা হাত বাড়িয়ে আইস ক্রিম টা নিল । খুব ভাল করেই জানে এখানে এই মাশরুফ ছাড়া তাকে বাঁচানোর আর কেউ নেই । রাফায়েল নিশ্চিত ভাবেই আসল লোক না । ও ওকে চিনতে ভুল করেছে ।

-ঐ লোকটার কি হল ?
-কোন লোকটার বলুন তো ?
নিকিতা একটু নরম হয়ে বলল
-দেখুন আমি জানি আমার এখানে আসা ঠিক হয় নি । এখন কি বলবেন কি করা যায় ?
মাশরুফ হাসলো কেবল ! বলল
সমস্যা নেই । দেখা যাক কি করা যায় ! ব্যাক আপ আসতেছে । এখন কতক্ষনে আসে আর আমরা ততক্ষন টিকতে পারি কি না এটাই দেখার বিষয় ! আইসক্রিম শেষ করেন আমাদের নয় তলায় যেতে হবে !


আইসক্রিম শেষ করে নিকিতা হাটতে শুরু করলো সামনের দিকে । নয়তলা ওঠার সিড়ির টা একেবারে শেষ মাথায় ! শপিং মলটা আট তলা পর্যন্তই ! এর পরে সাধারন মানুষের যাওয়া নিষেধ । কিন্তু আজকে তো আর এসব কিছু মানা নেই ! ওরা হাটতে হাটতে নতলায় ওঠার সিড়ির মাথায় চলে এল । উঠতে যাবে তখন দেখলো সিড়ির ঠিক উপরে দুজন মুখোস পরা লোক হাতে অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।

মাশরুফ ওর হাত ধরে একটা থামের আড়ালে চলে গেল ! আরেকটু হলে হয়তো দেখেই ফেলতো ওদের কে । অল্পের জন্য দেখতে পারে নি ।
-এখন কি হবে ?

মাশরুফ একটু চিন্তায় ভেতরে পরে গেল । ওদের দুজনের হাতেই অটোমেটিক অস্ত্র ! আর ওর হাতে কেবল একটা সাইল্যান্সার লাগানো পিস্তল । যার একটা গুলি এরই ভেতরে শেষ । অবশ্য আরেকটা ম্যাগজিন আছে পকেটে কিন্তু সেটা দিয়ে কোন ভাবেই অটোমেটিক মেশিন গানের সাথে পাল্লা দেওয়ার মত নয় । আগে একটা ডাইভারজেশন করতে হবে !

মাশরুফ বলল
-শুনুন আপনাকে কি করতে হবে ?
তারপর আস্তে আস্তে বুঝিয়ে বলল তাকে কি করতে হবে । সব শোনার পরে নিকিতা বলল
-আপনি আমাকে কি বাঁচানোর চেষ্টা করছে নাকি মারা চেষ্টা করছেন ?
-আপনাকে ওরা গুলি করবে না ! নিশ্চিত থাকেন !
-যদি করে ?
-আরে বাবা করবে না গুলি ! যদি গুলি করে তাহলে আপনাকে আমি পুরান ঢাকার মামা হালিম খাওয়াবো ! ঠিক আছে । আর যদি না করে তাহলে আপনি আমাকে কি খাওয়াবেন বলেন ?

নিকিতা আবারও কোন কথা খুজে পেল না । কি বলবে ! এই পরিস্থিতিতে এসেও কেউ এমন কথা বলতে পারে ? এই মানুষ কে না দেখলে সে হয় তো বুঝতেই পারতো না !
মাশরুফ বলল
-বিশ্বাস করুন ! এতে কাজ হবে !
-আচ্ছা


নিকিতা হঠাৎ করেই থামের আড়াল থেকে বেড়িয়ে এল ! তারপর সোজা হাটতে লাগলো মুখোস পরা দুজনের দিকে । ওকে দেখেই দুজন একটু নড়ে চড়ে উঠলো । তবে নিকিতাকে সোজা ওদের দিকে যেতে দেখে একটু যেন দ্বিধায় পরে গেল । ওরা যার জন্য এসেছে এই মেয়ে কি সেই মেয়ে ? তাহলে ওদের দিকে কেন আসছে !
নিকিতা ওদের কাছে গিয়ে বলল
-আচ্ছা বাধরুম টা কোন দিকে ?

উপরের দুজন কেবল এক অন্য দিকে মুখ চাওয়া করলো কিছুটা সময় তারপর একজন বলল
-এই তো সামনে ! আসুন !
-না থাক ! আমি খুজে নেব !

এই বলেই নিকিতা পিছনে ঘুরে দৌড় লাগালো ! লোক দুটোও একজন তেড়ে এল ! কিন্তু আসতে পারলো না খুব বেশি দুর ! কেবল কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো ! দুজনের মনযোগই ছিল নিকিতার দিকে । এই সুযোগটাই কাজে লাগালো মাশরুফ !

কিন্তু নিকিতা তখনই দৌড়িয়ে চলেছে । ওর পেছনে তাকানোর লক্ষ্য নেই ! কয়েকটা খাবারের দোকান আর চেয়ার টেবিল পার হতেই যখন সামনে গেল দেখলো আরও একজন কালো পোষাক পরা মুখে কালো কাপড় পরা লোক ওর সামনে এসে দাড়িয়েছে !
নিকিতার দৌড়ানোর গতি এতো ছিল যে সে কিছুতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলো না ! সোজা গিয়ে মুখোশ পরা লোকটা হাতের ভেতর !

-আরে ! এতো দেখি প্রিন্সেন স্বয়ং ! যাক কষ্ট করে তোমাকে আর খুজতে হল না !

তখনই পেছন থেকে মাশরুফ এসে হাজির ! লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল
-হ্যালো ব্রাদার !
পিস্তল বেরিয়ে এল দুজনের হাতেই । লোকটা নিকিতা ঢাল হিসাবে নিয়ে বলল
-পিস্তল ফেলে দাও । নয়তো গুলো করবো ?
-কাকে ? আমাকে নাকি এই মেয়ে কে ?

প্রশ্ন শুনে লোকটা কিছুটা সময় একটু ভ্যাবেচেকা খেয়ে গেল ! আসলে পিস্তল হাতে কেউ যে এমন হেসে হেসে কথা বলতে পারে এটা মনে হয় তার চিন্তার বাইরে ছিল !

মাশরুফ বলল
-দেখো, এই মেয়ে কে যে তুমি গুলি করবে না সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি ! আমাকেই যে গুলো করবে সেটাও পারবে না ! কারন কি জানো, কারন হচ্ছে নিকিতাকে তোমার ধরে রাখতে হচ্ছে এক হাত দিয়ে । এই ভাবে নিশানা লাগনো একটু কষ্টের !
এই বলেই মাশরুফ নিকিতাক চোখের ইশারায় কিছু বলল । প্রথমে কিছু না বুঝলেও কয়েক সেকেন্ড পরেই সেটা বুঝতে পারলো সে ।, মাশরুফ ওকে মাথা নিচু করতে বলছে !
আওয়াজ না করেই মাশরুফ আরও একটা ইশারা করলো । ঠিক তখনই নিনিকা শরীরের সমস্ত শক্ত দিয়ে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিয়ে শুয়ে পড়লো !

এতো জোড়ে ধাক্কা লোকটা আশা করে নি । নিজের ব্যালেন্স ঠিক ধরে রাখতে পালো না ! নিকিতার হাত ছুটে গেল ! ব্যাস এই টুকু সময়ই দরকার ছিল মাশরুফের । সোজা একটা বুলেট ঢুকে গেল লোক টার কপাল বরাবর !

নিকিতা মাথা তুলে লোকটার দিকে তাকাতে যাবে ঠিক তখনই মাশরুফ ওর সামনে এসে দাড়ালো !
-দেখতে হবে না এটা !
নিকিতা বুঝতে পারলো কেন লাশ টা দেখতে দিতে চাইলো সে !
-আপনি এভাবে দৌড় কেন মারলেন ? কাজ শেষ করার পর আপনার না থামার কথা ছিল !
-বুঝতে পারি নি !
-আচ্ছা ঠিক আছে ! এবার চলুন !


ওরা এগিয়ে চলল নতলার দিকে । নতলাট ঠিক বাম দিকটা সম্পূর্ন কাচে ঘেরা ! নিকিতা দেখলো মানুষটা কাচে ঘেরা দেওয়ালে কি যেন হিসাব করছে । কি করছে কে জানে । একবার জিজ্ঞসে করতে গেল কি খুজছেন । পরে আর করলো না !

এদিকে মাশরুফ হিসাব কষে ঠিক একটা কাচের জানালা খুলে ফেলল ।
-আপনি কি করতে যাচ্ছেন ?
-লাফ মারবো !
-মানে কি ? আমি পারব না ! মোটেও পারবো না !
-আপনাকে পারতে হবে না । কেবল চোখ বন্ধ করে লাফ মারবেন !
-না না না ! আমি পারবো না !
-আরে আবার কথা বলে !


মাশরুফ বলল
-আমাকে জড়িয়ে ধরতে হবে কেবল ! চোখ বন্ধ করে রাখবেন ! আর কিছু করা লাগবে না ! আসেন ! আর কোন উপায় নেই । নিচের পুরো ফ্লোর ভর্তি মানুষ ! সবাই এদিকে আসছে !
-না !
-আবার কথা বলে !

ততক্ষনে মাশরুফ ফ্লোরের মেঝে পরর্ন্ত কাঁচ খুলে ফেলেছে । নিকিতা তাকিয়ে দেখলো একটা কালো মত মোটা দড়ি মাশরুফের হাতে । এটা কোথা থেকে এল কে জানে ! ওর মাথায় কিছুই ঢুকছিল না !
মাশরুফ বলল
-আপনি কেবল আমাকে শক্ত করে ধরে থাকবেন ! ঠিক আছে !

নিকিতা ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেল ! ততক্ষনে মাশরুফ প্রায় বাইরে বের হয়ে ঝুলে পড়েছে মোটা দড়িটা ধরে ! নিকিতা চোখ বন্ধ করে নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে আগন্তুক কে জড়িয়ে ধরলো !

কতক্ষন জড়িয়ে ধরলো ঠিক বলতে পারবে না তবে একসময় লক্ষ্য করলো ওর পায়ের নিচে শক্ত কিছু ! তাকিয়ে দেখে পাশের একটা বিল্ডিংয়ের সানসেটের উপর দাড়িয়ে ! মাশরুফ ওকে টেনে ছাদের উপর ওঠালো !
-চালেন এবার যাওয়া যাক !
-চলেন আরেক বার এই কাজ টা করি !
-খুব মজা লাগলো ?
-হুম !
-ভয়ে তো মুখ শুকিয়ে আসছিল !
-মোটেই না !

পাশের বিল্ডিং থেকে নিচে নেমেও পেছনে দিকে চলে এল ওরা । নিকিতার দিকে তাকিয়ে বলল
-এখান থেকে ঠিক ডান দিকে যাবেন । দেখবেন একটা কালো রংয়ের ট্যাক্সি আছে । ওঠে উঠে পড়বেন ! ঠিক আছে ?
-আপনি যাবেন না ?
-আমি আপনার পেছনেই আছি ! আপনি এগিয়ে যান !

নিকিতাকে হাটতে শুরু করলেই মাশরুফ বিল্ডিংয়ের মাঝে হারিয়ে গেল !


###

-কি খবর আকিব ?
-খবর ভাল না ম্যাম !
-সেটা তো বুঝতেই পারছি ! আমি কেবল জানতে চাই একা একটা মেয়ে কিভাবে তিন জন আর্মড ম্যান কে খূন করে পালিয়ে গেল ?
-ম্যাম আমরা সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করে দেখেছি ! মেয়েটা একা ছিল না ! ওর সাথে একজন মানুষ ছিল !

আকিব লক্ষ্য করলো ফারিয়া নূশরাতের মুখটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে । এখানে এখন থাকা টা মোটেই সমীচীন হবে বলে মনে হচ্ছে না !

ফারিয়া বলল
-আগের দুইটা অপারেশনও একজন মানুষের কারনে ফেইল করেছে ! আর এইটাও ! এরা কি একই জন ?
-তা বলা মুশকিল ! এবারর জন কালো পোষাক পরা ছিল না ! এবং মেয়েটা সম্ভব লোকটা কে চিনে !
-হুম ! খোজ লাগাও !
-আমি খোজ লাগাচ্ছি !
-এতোদিন কি ঘোড়ার ঘাস চড়াচ্ছিলেন ?

আকিব কি বলবে খুজে পেলো না ! ফারিয়া ওকে হাতের ইশারায় চলে যেতে বলল ! ততক্ষনে গভীর চিন্তায় ডুবে গেছে । একটা কিছু চিন্তা মাথায় চলছে ।
প্রথম বারের মত তার দায়িত্বে থাকা কোন অপারেশনে ফেইল করলো সে । কারো কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে এই প্রথমবার !

এই অচেনা দুই আগন্তুককে পরাজিত না করতে পারলে ফারিয়া নূশরাতের মনে আর শান্তি আসবে না ! এরই ভিতর চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছে সে ! কিভাবে আগন্তুক কে কাবু করা যায় !


পরের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×