somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইকো গল্পঃ পাত্রী চাই !

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-হ্যালো ! প্রথম আলু পত্রিকা অফিস ?
-জি বলছি !
-আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাই !
-কিসের বিজ্ঞাপন ?
-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন !
-আপনাকে তো আমাদের বিজ্ঞাপন বুথে আসতে হবে !
-ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ !

*****
মেয়েটি চোখে মেলে তাকালো । প্রথমে কিছুক্ষন বুঝতে পারলো না কোথায় আছে ! একটু যেন অন্ধকার ঠেকছে চোখে ।
বাইরে কি অন্ধকার নেমে গেছে ? নাকি ঘরের লাইট গুলো এখনও জ্বালানো হয় নি । সব কিছু এমন অন্ধকার কেন লাগছে ।
মেয়েটি হাত দিয়ে নিজের চোখ মুছতে গেল । ঠিক তখনই অবাক বিশ্ময়ে লক্ষ্য করলো যে সে হাত দিয়ে চোখ মুছতে পারছে না । তার হাত দুটো বাঁধা ।
দুই হাত দুইদিকে শক্ত করে কিছুর সাথে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে ।
মেয়েটি তা পা দুটি নাড়াতে চেষ্টা করলো । কিন্তু সফল হয় না । পা দুটোও যথা সম্ভব ফাঁকা করে বেধে রাখা হয়েছে তার ।
তীব্র এক আতংক পেয়ে বসলো মেয়েটাকে ।


****
-আপনি কিছু নিচ্ছেন না কেন ?
আবীর কথাটা শুনে লজ্জা পেল । সোনিয়ার দৃশ্যটা কেন জানি ভাল লাগলো দেখে । আজকাল এমন লাজুর ছেলে আছে নাকি ? কি সারল্য হাসিতে ।
আবীর একটু হেসে বলল
-এই তো নিচ্ছি ! আপনিও নিন ।
প্রতি উত্তরে সোনিয়া একটু হেসে কফির পেয়ালা টা হাতে নিল !
কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে কাপটা নামিয়ে রাখলো । কফিটা খুব বেশি ভাল হয় নি । চিনি একটু বেশি হয়েছে । শরবত বানিয়ে ফেলেছে ।
আবীর সোনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
-কফি চাল হয় নাই তাই না ?
-হুম !
-এরা কি শরবৎ বানায় নাকি কফি ? বেশি চিনি ওয়ালা চা খাওয়া যায় কিন্তু কফো খাওয়া যায় না । আর এক কাপ দিতে বলবো ?
-না না ! দরকার নাই । আরো তো অনেক কিছু রয়েছে ।
-সিওর ?
-হুম !
আবার দুজনেই চুপ কিছুক্ষন ! আবীর বেশি চিনিওয়ালা কাফিতেই চুমুক দিচ্ছে । সোনিয়ার আবিরের কাপে চুমুক দেওয়াটাও ভাল লাগলো বেশ ।
আচ্ছা কি হচ্ছে ?
সোনিয়া একটু চিন্তিত হল । ছেলেটার সাথে পরিচয় হয়েছে সব মিলিয়ে মাসখানে । এর ভিতরেই সোনিয়ার ছেলেটার সব কিছুই ভাল লাগতে শুরু করেছে !
সোনিয়া কি ছেলেটার প্রেমে পরেছে ?
সোনিয়ার মুখে একটা মৃদু হাসি দেখা গেল ।
-হাসছে ন যে ?
না এমনি ! আপনার কফি খাওয়া দেখছি । ছোট ছোট করে কপে চুমুক দিচ্ছেন । এটা ভাল লাগছে ! ছোট বেলায় আমাদের বাসায় একটা বিড়াল ছিল । সেই বিড়াল টাও আপনার মত করে চা খেত !
এই কথা বলেই সোনিয়া হাসতে লাগল ! বেশ জোরেই হেসে উঠলো !


*****
মেয়েটি কিছুই বুঝতে পারছে না । এমন কেন হচ্ছে তার সাথে ? মেয়েটি আতংক বোধ করছে । বেশ আতংক বোধ করছে । একটু আগেই সে বুঝতে পেরেছে তার হাত পা বেশ ভাল করে বাঁধা । অনেক্ষন টানা টানি করে পরীক্ষা করে দেখেছে । বিন্দু মাত্র লাভ হয় নি । যে এই কাজটা করেছে বেশ ভাল করেই বেঁধেছে ।
হাত পা বাঁধা দেখে মেয়েটি মুখ দিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছিল । আশা ছিল আসে পাশে নিশ্চই কেউ না কেউ আছে । তার চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে । কিন্তু সেটাও সম্ভব নি । মেয়েটির মুখও আটকনো ! একগাদা কাপড়ের দলা মেয়েটির মুখের ভিতর দিয়ে মেডিক্যাল টেপ দিয়ে আটকানো !
মুখ দিয়ে কিছু বলতে চেষ্টা করলে কেবল গোঙ্গানীর মত মৃদু কিছু একটা আওয়াজের মত বের হয় । যেটা মেয়েটির নিজের কানেই ঠিক মত ধরা পরে না । বাইরের মানুষ কিভাবে বুঝবে ।


*****
সোনিয়ার জন্য যখন পাত্র দেখা শুরু কয় তখন থেকেই নানান জায়গা থেকে পাত্রের জন্য সন্ধান আসতে থাকে । তেমনই একজনের কাছ থেকে আবীরের খোজ আসে । অন্য সব পাত্র থেকে আবীরের যে যোগ্যতাটা বেশি ছিল সেটা হল আবীরের একটা আমেরিকান পাসপোর্ট ছিল । আবীর দেশে এসেছে বিয়ে করার জন্যই !
আর প্রথম দেখাতেই সোনিয়ার কেন জানি আবীরের কে ভাল লেগে যায় । বিশেষ করে ওর সহজ সারল্য মাখা চোখের জন্য । সারাক্ষনই একটা চঞ্চল্য খেলা করছে সেখানে ।

তারপর থেকেই ওদের কথা হতে থাকে । কদিন দেখাও হতে থাকে । এখানে সেখানে ।
সোনিয়ার কেন জানি মনে হতে থাকে এই ছেলেটাকে সে অনেক আগে থেকেই চেনে । ছেলেটা যাই করুক না কেন সোনিয়ার সেটা এক মনেই মেনে নিতে শুরু করলো ।

দুই দিন আগের কথা । সোনিয়ার পরদিন পরিক্ষা ছিল । রাত জেগে পরতেছিল । এমন সময় আবীরে ফোন ।
-কি খবর ?
-কাল পরীক্ষা ! পড়ছি ।
-এখনও পড়ছো ? আর কত পড়বে ? পড়ার দরকার নাই । দেখো বাইরে খুব চমচৎকার জোঁছনা উঠেছে । এসো একসাথে জোছনা দেখি ,
-জি না । কালকে আমার পরীক্ষা আছে । আপনি এখন ঘুমান জনাব ! ঠিক আছে । আর আমাকেও পড়তে দিন ।
-আহা ! এমন কেন করছো ! এমন রাত আর আসবে না
-আসবে ! ফোন রাখুন !
-রাখবো না । তুমি যদি এখন আমার সাথে কথা না বল তাহলে সারা রাত তোমার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকবো !

সোনিয়া কিছুক্ষন কোন কথা বলতে পারলো না । একবার মনে হল যেন ও ভুল শুনছে । চট করেই ঘরের জানলা দিয়ে সামনের রাস্তার দিকে তাকালো !
হুম ! ঐ তো দেখা যাচ্ছে ! কানে ফোন নিয়ে দাড়িয়ে আছে । সোনিয়া কেবল তাকিয়েই রইলো কিছুক্ষন ছেলেটার দিকে । এমন পাগলামো কেন করে !
সারা রাত সোনিয়া বারান্দায় কাটিয়ে দিল !


****
মেয়েটি কিছু বুঝতে পারছে না । এমন কেন হবে তার সাথে ? তার বাবা খুব বশি বড়লোক না যে তাকে কিডন্যাপ করে মুক্তিপন আদায় করবে । তা ছাড়া কিডন্যাপ করলে কেউ তাকে এভাবে কেন আটকে রাখবে ?
মেয়েটিকে ইংরেজি এক্স এর মত করে চার হাত পা চার দিকে দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে । আর সব থেকে অবাক হওয়ার বিষয় মেয়েটির সারা শরীরে এক প্রকার তেলতেলে পদার্থ মাখানো ! সারা শরীর থেকে একটা অদ্ভুদ গন্ধ ভেসে আসছে । এখন অন্ধকার বলে কিছু বোঝা যাচ্ছে না । এমন করে আটকে রাখার তো কোন মানে নাই ।
মেয়েটি কিছু বুঝতে পারছে না । এমন তো হবার কথা না । কিডন্যাপ করলেও তার এই অবস্থা তো করার কথা না ।


******
-কোথায় যাচ্ছিস ?
সোনিয়া বের হচ্ছিল । মায়ের কথা শুনে দাড়াল ।
-কেন মা ?
-আবীরের কাছে ?
-হুম ! কেন ? আজকে ওর সাথে দেখা করার কথা আছে !
-ওর সাথে আর দেখা করা লাগবে না !
সোনিয়া যেন আকাশ থেকে পড়লো । ঠিক বুঝতে পারছে না তার মা কি বলছে ।
-কেন মা এই কথা কেন বলছো ?
-তোর বাবা খোজ নিয়েছে । ছেলেটা একটা ভুয়া । ওর আগে একটা বিয়ে হয়েছিল আমেরিকায় !
সোনিয়ার মনে হল ওর ভুল শুনছে । আবীবের আরেকটা বিয়ে হয়েছে ? এই ছেলেটা এই ভাবে কেন সত্যটা গোপন করলো ! সোনিয়া সত্যি সত্যি আবীরকে পছন্দ করতে শুরু করতে শুরু করেছিল ।
সোনিয়ার মা বলল
-আজ থেকে আবীরের সাথে দেখা করা একদম বন্ধ ! ও আরো কত কিছু লুকিয়েছে কে জানে ? দেখবি হয়তো এইডস টেইডসও আছে ।
সোনিয়া আসলেই ভাবতে পারছে না ! এমন কিছু একটা তাকে শুনতে হতে পারে ।


****
হঠাৎ অন্ধারের ভিতর এক ঝলক আলো দেখা দিল । কেউ যেন ঘরের আলো জেলে দিল ! অনেক্ষন অন্ধকারে থাকার পরে হঠাৎই আলো আসাতে মেয়েটি নিজের চোখ বন্ধ করে দিলো !
একটু পরে যখন চোখ খুলল
তখন সামনে একা কালো পোষাক পরা লোককে দেখতে পেল । পুরো শরীর কালো আলখাল্লা দিয়ে ঢাকা । মুখে একটা কালো মাস্ক ! হাতে কালো হাত মোজা !
লোকটা হাতে একটা কালো চামড়ার চাবুক !
লোকটা কি করতে যাচ্ছে ?
মেয়েটি আবারও নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করল কিন্তু কোন লাভ হল না । মেয়েটি যখন মুখ দিয়ে কিছু বলতে চাইলো কিন্তু কোন শব্দ বের হল না । মুখোস পরা লোকটির হাতের চাবুকটা গর্জে উঠলো !
প্রচন্ড ব্যাথায় মেয়েটি কাঁকিয়ে উঠলেও মুখ দিয়ে একটা টু শব্দও করতে পারলো না মেয়েটি ।
আবার গের্জে উঠলো চাবুক !
এবাও মেয়েটির মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হল না । কেবল শরীরটা যতটুকু নড়াচড়া করা সম্ভব ততটুকুই নড়াতে পারলো । চোখ দিয়ে বেরিয়ে পরলো পানি । জন্মের পর থেকে এমন আঘাত সে আর কোনদিনই পাই নি !
চলতেই থাকলো চাবুকের আঘাত । মেয়েটির সহ্যের সীমা যখন পার হয়ে গেল তখন চাবুকের আঘাত থামলো না । মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গার ফেটে রক্ত বেরিয়ে এল ।
মেয়েটি কেবল দেখলো মুখোশের আড়ালে লুকানো চোখ দুটো তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের হওয়া রক্তের দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে ।
চেতনা হারানোর আগ পর্যন্ত মেয়েটির কাছে ঐ চোখ গুলো কেন জানি একটু পরিচিত মনে হল !


*****
কলিংবেল বাজতেছিল অনেক্ষন ধরেই । আবীর দরজা খুলেই একটু অবাক হল !
পুলিশ !
পুলিশের পোষাক পরা পাঁচজন লোক তার দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে ।
পুলিশ দের একজন বলল
-আপনি আবীর হায়দার ?
-জি ?
-সোনিয়া খানমকে চিনেন !
-জি চিনি !
-কিভাবে চিনেন ?
-কেন ? ও কি আমার নামে কোন কেস করেছে ?
-আগে প্রশ্নের জবাব দিন ! কিভাবে চিনেন ?
-দেখুন আমি এখানে থাকি না । উইএস থাকি । এখানে এসেছি বিয়ে করার জন্য ! একটা ম্যাচ মেকিংয়ের মাধ্যমে সোনিয়া আর ওদের পরিবারের সাথে পরিচয় হয় !
-তারপর ?
-কিছুদিন আমি ওর সাথে কথা বার্তা বলি ! সব কিছু ঠিকই ছিল । তারপর ..।
আবীর একটু চুপ করে গেল !
-তারপর ?
-আসলে আমেরিকায় আমি একবার contract মেরেজ করেছিলাম গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য ! এটা ওরা জেনে ফেলে । তারপর থেকেই বিয়ের কথা বার্তা থেমে যায় !
পুলিশ অফিসার আবীরের দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে রইলো একই ভাবে ।
আবীর বলল
-দেখুন ওর বাবা ওর সাথে দেখা করতে মানা করে দিয়ে ছিল আসল খবর জানা পরে । তারপর থেকে আমি ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা করি নি । আর এটার জন্য নিশ্চই পুলিশ কেস করার কোন মানে নাই ।
পুলিশ অফিসার আবীরের দিকে তাকিয়ে বলল
-শেষ করবে আপনার সাথে সোনিয়ার দেখা হয়েছে ?
-জি গত সপ্তাহে ! ওর সাথে পিংসিটিতে লাঞ্চে গেছিলাম !
-তারপর আর হয় নাই ?
-তারপর আর হয় নাই !
পুলিশ অফিসার আরো কিছু প্রশ্ন করে চলে গেল । তবে বলে গেল প্রয়োজনে আবারও আসবে । সে যেন শহর ছেড়ে না যায় !

পুলিশ অফিসার চলে যাওয়ার পরে আবীর দরজা বন্ধ করলো ! অবীর কে একটু চিন্তিত মনে হচ্ছে । পুলিশ কে সে একটু মিথ্যা কথা বলেছে । কারন গত পরশুই সোনিয়ার সাথে তার দেখা হয়েছে ।
ব্যাপারটা জানা জানির পরেই সোনিয়া আসে ওর সাথে শেষ বারের মত দেখা করার জন্য ! অবীর বাসাতেই ছিল !

দরজায় কলিংবেল বাজতেই আবীর দরজা খুলে দিল ! দরজা খুলে আবীর কেবল সোনিয়া দাড়িয়ে আছে ।

কোন কথা না বলে কেবল দরজার দিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকলো । আবীর দরজা বন্ধ করে দিল !


***
মেয়েটি চোখ খুলল । মেয়েটির সারা শরীরে কাটা ছেড়ার দাগ । গত দুই দিন ধরে মেয়েটাকে বহু বার যন্ত্রনা দেওয়া হয়েছে । যতবার মেয়েটার জ্ঞান ফিয়ে এসেছে প্রতিবারই তার উপর চাবুক চালানো হয়েছে । মেয়েটি বেদনায় চিৎকার করতে চেয়েছে কিন্তু মুখ দিয়ে একটু আওয়াজও বের করতে সক্ষম হয় নি !

মেয়েটি চোখ খুলেই দেখলো আজকে তার অবস্থা একটু পরিবর্তন হয়েছে । আজকে তাকে একটা টুলের উপর দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে । তার হাত দুটো পেছন দিয়ে বাঁধা । তার পা দুটো এক সাথে বাধা শক্ত করে । এবং আজকে মেয়েটার গলায় দড়ি দিয়ে সিলিংয়ের সাথে বাঁধা !
মেয়েটি প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও একটু পরেও বুঝে গেল যে আজকে হয়তো তার শেষ দিন । তবে আজকে তার মুখ খোলা !
লোকটা হয়তো আজকে তাকে মেরে ফেলবে । এই জন্য তাকে এভাবে রেখেছে ।

মেয়েটি একটু ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করলো ! কারন এখনই যদি সে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলে তাহলে এখনই সে উপরে চলে যাবে ।

কয়েক মিনির পরেই সেই কালো পোষাক পরা লোকটি ঘরে প্রবেশ করলো ।
-কে তুমি ?
লোকটা কোন কথা বলল না !
-তুমি কে ? আমি তোমার কি করেছি ? আমাকে এতো কষ্ট কেন দিচ্ছ ?
আমি কি করেছি ?
হঠাৎই লোকটা কথা বলে উঠলো !
-তুমি কিছু করনি ডিয়ার সোনিয়া !
-আবীর ??
সোনিয়া নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না । এই মানুষটাই কি সেই মানুষটা যাকে সে পছন্দ করেছিল ! যার সারল্য দেখে যাকে পছন্দ করেছিল ! এই কদিন আবীর তাকে কি পরিমান যান্ত্রনাই দিয়েছে ।


*****
-দেখ আমি তোমার কাছে লুকাতে চাই নি !
-তাহলে কেন বলেন নি ! কেন ? বিয়ের পরে বলতেন !
-আসলে আমি তোমাকে হারাতে চাই নি !
সোনিয়া কিছু বলতে গিয়েও বলল না । আবীর বলল
-দেখো ! আমেরিকায় আমার যেই বিয়েটা হয়েছিল সেটা কেবল আমার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য ! আর কোন কারন নেই ! বিশ্বাস কর । ক্লারা কোন দিন আমার ওয়াইফ ছিল না ।
-ক্লারা কেন ?
-যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল !
-বাহ ! তার নাম মনেও রেখেছেন ?
-সানি ! প্লিজ ! একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-আমার বোঝার দরকার নাই ! আমি কেবল বলতে এসেছি আজকের পরে আমার সাথে আপনি দেখা করার চেষ্টা করবেন না ।
-শোন একটু প্লিজ !
-কোন শোনা শুনি নাই !
-আচ্ছা কেবল একটা কথা শুনো ! মাত্র একটা !
-কি !
-আমার উত্তরার শেষ মাথায় একটা বাগানবাড়ি আছে । সেখানে গেলে তোমার ভাল লাগবে ! আমার সাথে তো আর দেখাই করবে না কেবল একটা ঘন্টা আমার সাথে সেখানে কাটাও ! ওখানে একটা পুকুর আছে । সান বাধানো পুকুর ! ঐটা আমা রখুব পছন্দের একটা জায়গা ! আমার মন যখন খুব খারাপ বা ভাল হয় তখন আমি ওখানে যাই ! আজকে যাবে আমার সাথে সেখানে ?
-কেন যাবো ?
-একবার ! প্লিজ !


******
-তুমি কেন করছো এসব ? আমাকে ছেড়ে দাও ! প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও !
আবীর তার মুখোস খুলে ফেলল । সোনিয়া কেবল অবাক হয়ে আবীরের চেহারা দিকে তাকিয়ে রইলো ! সেই সারল্য চোখ আর দেখতে পেল সেখানে কেবল একটা পৌশাচিক আভা দেখতে পেল !

সোনিয়া আরো কিছু বলতে চাইলো কিন্তু তার আগেই আবীর টুলটা ধরে টান দিয়ে দিল । আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে গেল সোনিয়ার দেহ টা !


****
আজকে আবীরের জন্য একটা আনন্দের দিন ! প্রতিবার সে যখন একজনকে মেরে ফেলে সেদিন সে খুব আনন্দিত অনুভব করে ! সোনিয়াকে নিয়ে সর্ব মোট এগারো জন কে সে এভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছে ।
ছোটা বেলা থেকেই সে তার মাকে দেখে এসেছে । প্রচন্দ একটা ঘৃণা সে তা মায়ের জন্য অনুভব করতো । তার মায়ের কাজ কর্মকে কে প্রচন্ড ঘৃণা করতো ! তার মায়ের কারনে আবীরের বাবা মারা গেছে ! কষ্ট পেয়ে মারা গেছে !

প্রতিটা মেয়েকে যখন সে কষ্ট দেয় সে তার বাবার কথা মনে করে । যতটা কষ্ট তার বাবা পেয়ে মারা গেছে ততটা ঘৃণা সে সব মেয়ের উপর অনুভব করে ! প্রতিটা মেয়ের মৃত্যুর সাথে একটা আনন্দ অনুভুব করে।


*******
-হ্যালো ! প্রথম আলু পত্রিকা অফিস ?
-জি বলছি !
-আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাই !
-কিসের বিজ্ঞাপন ?
-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন !
-আপনাকে তো আমাদের বিজ্ঞাপন বুথে আসতে হবে !
-ঠিকানাটা বলবেন প্লিজ !


:::::::: X :::::::::

(লজিক ছাড়া একটা সাইকো গল্প লেখার চেষ্ট ! সিরিয়াসলী নেওয়া কিছু নাই)


Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন ড. ইউনূস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০





যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×