স্কুলের মাঠে গিয়ে দেখি রনি আর সুজন মুখ গম্ভীর করে বসে আছে । রনি সব সময় হাসিখুশি থাকে । আজকে ওর মুখ গম্ভীর । এমনটা খুব একটা দেখা যায় না । তার মানে নিশ্চই কিছু হয়েছে ।
আমি রনির পাশে বসতে বসতে বললাম
-কি হয়েছে রে ? এমন করে বসে আসিস কেন ?
রনি তবুও চুপ করেই রইল । সুজন বলল
-সামনে ১৬ ডিসেম্বর আসছে না ?
-হুম ।
সামনে ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে আমাদের স্কুলে বিজয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠানটা হবে । অভিভাবকদেরও আমন্ত্রন জানানো হয়েছে । আর স্কুলের কয়েকজন ছাত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠানের সব দায়িত্ব । সেই কাজ করতেই এই বিকেল বেলা আমরা এখানে এসেছি । আমি সুজনকে বললাম
-কি হযেছে তাতে ?
-ঐ দিন তো জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তলনের কথা ছিল না ঐটা ...
-ঐটা কি ? ঐ টা ছাড়া তো প্রোগ্রাম শুরুই হবে না ।
সুজন বলল
-আজকে কালাম চাচার কাছে শুনলাম বাচ্চু চেয়ারম্যান নাকি ঐ পতাকা উত্তলোন করবে ?
-মানে কি ?
এই সময় রনি খানিকটা রাগত স্বরে বলল
-মানে বুঝিস না ? রাজাকারের হাতে বিজয়ের পতাকা উঠবে ।
-কিন্তু কেন ? হেডস্যার রাজি হল কিভাবে ?
সুজন বলল
-স্যার রাজি হয় নি । বাচ্চু চেয়ারম্যান ...
সুজন কথা শেষ করতে পারলো না তার আগে রনি সুজনকে একটা ধমক দিয়ে বলল
-চেয়ারম্যান কেন বলতেছিস ? রাজাকার বলতে লজ্জা লাগে ?
সুজন বলল
-আসলে বাচ্চু রাজাকার স্যারকে ভয় দেখিয়েছে । হুমকিও দেখিয়েছে নাকি ।
-এখন কি হবে ? একটা রাজাকারের হাতে বিজয় মাসের পতাকা উঠলে বিজয়ের মাসের এতো বড় অপমান আর হতে পারে না ! না ! এটা হতে পারে না ।
রনি বেশ দৃঢ় কন্ঠে বলল
-এটা আমি হতে দেবো না ।
-কি করবি ? আমাদের কি করার আছে ?
রনি বলল
-আছে অনেক কিছু করার আছে । কেবল চেয়ে চেয়ে দেখ আমি কি করি । তুই কি একটু উপকার করতে পারবি ?
আমি বললাম
-বল । তুই শুধু তোর বাবাকে অনুষ্ঠানে আনতে পারবি ? তাহলে ব্যাপারটা আর একটু ভাল হয় ।
আমি ঠিক বুঝলাম না আমার বাবাকে কেন আনতে বলছে ? আমার বাবা এখানকার থানার দারোগা । ব্যস্ত মানুষ তাই আমি নিশ্চিত ভাবে কোন কথা বলতে পারলাম না । তবুও বললাম
-চেষ্টা করবো !
আর খুব বেশি কথা হল না । অন্যান্য ছেলেরাও এসে হাজির হল । আমাদের পিটি স্যার ও এসে হাজির হলেন কিছুক্ষনের ভিতর ! উনি এই অনষ্ঠানের দায়িত্বে আছে । আমরা কাজে লেগে গেলাম ।
আমাদের স্কুলের সামনে খুব একটা জায়গা নেই । তাই স্টেজটা স্কুলের এক পাসে করা হয়েছে ! সব অনুষ্ঠান এখানেই হবে । কিন্তু জাতীয় পতাকা টা উত্তলোন করা হরা হবে স্কুলের সামনে । স্টেজ থেকে একটু দুরে । স্যার চাইছিলেন নতুন করে একটা স্টেজের সামনেই একটা বাস পুতে পতাকা তোলার ব্যবস্থা করা হোক কিন্তু রনি বলল যে তার দরকার নাই !
প্রধান অতিথি প্রথমে এখানে আসবেন পতাকা তুলে তারপর আসল গ্রহন করবেন । কেবল একটা পতাকার সামনে চোট একটা স্টেজ তৈরি করলেই হবে !
পিটি স্যার কি ভেবে যেন রাজি হয়ে গেলেন ।
১৬ই ডিসেম্বর ! সকাল বেলা !!
আমরা যারা ভলান্টিয়ার ছিলাম তারা একটু আগে আগেই এসে হাজির । রনি এসেছে সবার আগে । আজকে দেখলাম ওর মন ভাল । মুখটাও কেমন হাসি হাসি !
অবশ্য হাসি হাসি হওয়ারই কথা ! কাল রাতে আমি আর রনি মিলে যে কাজ করেছি সেই কথা ভাবতে আমার নিজেরই হাসি চলে আসছে । সব চেয়ে হাসি আসছে এই কথা ভেবে যে বাচ্চু মিয়ার আসন্ন পরিনতির কথা ভেবে !
আমি ঐদিন ঠিক মত বুঝতে পারি নি রনি কেন স্টেজের সামনে পতাকার খুটিটা নিয়ে যেতে দেয় নি । তার উপর দিয়ে কেন আবার ডাবল করে স্টেজ তৈরি করালো । কিন্তু কাল বিলেকে যখন ওর পরিকল্পনা শুনলাম আমি তো থ !!
ও একাই সব করতে পারতো কিন্তু আমার চাপাচাপিতে আমাকে সব বলেই দিল । আর আমি নিজেও ওকে সাহায্য করলাম । দেশকে ভালবাসি আর নাই বাসি কিন্তু দেশের অপমান কিছুতেই মুখ বুঝে সহ্য করা যায় না । আর একজন রাজাকার যদি বিজেয়র মাসে জাতীয় পাতাকায় হাত দেয় তাহলে এটা অবশ্যই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অপমন করা হয় । তারা আমাদের দেশের জন্য এতো কিছু করেছে আমরা কি এই টুকু কাজ করতে পারবো না ?
আমি আর রনি পতাকার স্টেজের পাশে দাড়িয়ে আছি । এদিকে কাউকে আসতে দিচ্ছি না । কারন আমরা চাইনা রাজাকারের জন্য যে ফাঁদ পাতা হয়েছে সেটাতে অন্য কেউ পা দিক ।
আসতে আসতে সব ছাত্রছাত্রী আসতে শুরু করেছে । দুএক জন করে অভিভাবকও আসা শুরু করলেন । বেলা দশটা বাজতেই সব পরিপূর্ণ হয়ে গেল ।
রাজাকার মিয়া আসলো আরো আধা ঘন্ট পর । হেড স্যারের মুখও কেমন জানি হাসি হাসি দেখলাম । কেন জানি মনে হল বাচ্চু রাজাকারের আগমনে স্যারের কৌতুক বোধ করছেন ।
স্যার হাসি মুখেই বাচ্চু রাজাকারের সাথে কথা বলছে । আমি আর রনি এখনও পতাকার স্টেজের কাছেই দাড়িয়ে ! আমি রনির কানে কানে বললাম
-হেডস্যার এতো খুশি কেন রে ?
রনি আমার দিকে হাসি নিয়ে বলল
-তুই এতো খুশি ক্যান ?
-আমি তো রাজাকারের পরিনতির জন্য অপেক্ষা করছি !
রনি আমার দিকে এমন অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল । আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে স্যার এ সব কিছুই জানেন ! আমি খানিকটা অবিশ্বাসের সুরে বললাম
-স্যার জানেন ?
-হুম ! আসলে সব পরিকল্পনা স্যারেরই ! তুই তো জানিস স্যার একজন নিরিহ টাইপের মানুষ ! এখানে তার খুব আপনজন বলে কেউ নেই ও ! স্যারের একার পক্ষ্যে তো আর বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব না ! আর তুই তি জানিস ঐ রাজাকারের বাচ্চার এখন কি পাওয়ার । জামাতের ছাগিদের সাথে জোট পাকিয়েছে আবার !
-আচ্ছা ! তাই এই বুদ্ধি !
-হুম । সাপও মরবে লাঠিও ভাঙ্গবে না !
আমি বললাম
-নারে ! রাজাকার মরবে কিন্তু কিছু করতে পারবে না !
আমরা দুজনেই হেসে উঠলাম ।
প্রোগাম শুরুর ঠিক আগ মুহুর্তে আমার আব্বা চলে আসলো । আমাকে দেখে হাত নাড়লো ! আমিও হাত নাড়লাম ! ঠিক তখনই মাইকে ঘোষনা হল এখন আমাদের প্রধান অতিথি জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তলন করে আমাদের বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করবেন !
আমি দেখলাম রাজাকারের মুখের হাসি আরো বিস্তৃত হল । মনে মনে বললাম
এদিকে একবার আয় ! তোর আজ খবরই আছে ! বাচ্চু রাজাকার আস্তে আস্তে স্টেজের দিকে হাটতে লাগল । রাজাকরের সাথে একটা চামচাও আছে !! হেডস্যার সাথে সাথে আসছিলেন একসময় দেখলাম স্যার থেমে গেলেন !
রনি এই সময় আমার হাত ধরে টান দিল । আমাদের এখন সরে যাওয়ার সময় ! যতই পরিকল্পনা করি যতক্ষন না প্লানটা সফলকাম হচ্ছে ততক্ষন মনের ভিতর একটা উৎকন্ঠা থেকেই যাই !
আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি আমি জানি রনিও আমার মতই আগ্রহ আর উৎকন্ঠা নিয়ে তাকিয়ে আছে । আমাদের হেড স্যারের দিকে তাকিয়ে দেখলাম স্যার নিজেও খানিকটা চিন্তিত মুখে তাকিয়ে আছে !
আমি জানি আর একজনও একটু উৎকন্ঠা নিয়ে স্টেজের দিকে তাকিয়ে আছে ! সে হল আমার বাবা ! কাল রাতেই আমি বাবা কে সব বলেছিলাম । প্রথমে শুনে বাবা একটু রাগ করলো ! আমি কেন এসবের ভিতর জড়ালাম সেই জন্য ! কিন্তু পরে বললেন যে আমি ঠিকই করছি ! একজন রাজাকার কিছুতেই পতাকার অপমান করতে পারে না !
বাবাকে বলেছি কারন আমাদের সেফটিরও একটা ব্যাপার আছে !
বাচ্চু রাজাকার স্টেজে পা দিল ! আর দুই কি তিন কদম ! তারপরই পতাকার রশি খুলে ফেলবে ! আরও এক কদম এগিয়ে গেল ! আরও দুই কদম !
এই তো পতাটার খুটিতা হাত দিয়ে ছুলো !
আমি আর রনি দাড়িয়ে আছি ঢিপ ঢিপ বুক নিয়ে ! কাজ হবে তো !!
যদি না হয় ?
ঠিক তখনই ঘটনাটা ঘটলো ! কট করে একটা আওয়াজ হল মাত্র ! স্টেজের কাঠ ভেঙ্গে বাচ্চু রাজাকারের দুই পা ভিতরে ঢুকে গেল !
বাচ্চু মিয়া প্রথমে কিছু বুঝতেই পারলো না কি হলে ! আসলে বাচ্চু রাজাকার বুঝতেই পারেন নি এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে !
কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নেই ! আর বাকি আছে !
চামচা টা রাজাকার কে বাঁচাতে এগিয়ে এক লাফে স্টেজের উপরে উঠে গেল ! ঠিক তখনই ঘটলো আসল ঘটনা ! কাল রাতে আমরা দুজন স্টেজের বেশ কয়েক জায়গা কেটে রেখেছিলাম । তারই একটাতে একটু আগে বাচ্চু মিয়া পা দিয়েছে ! আর স্টেজটা এমন ভাবে কেটে রেখে ছিলাম যে কোন মনে একজনে ভার সহ্য করতে পারবে । কিন্তু দুজনের ভার কিছুতেই না । সুতরাং যা হওয়ার তাই হল !
এবার পুরো স্টেজটা ভেঙ্গে দুজন নিচে পড়ে গেল !
আমরা সবাই চুপ করে দাড়িয়ে আছি । কেউ এগিয়ে আসলো না । একটু পর দেখলাম আমাদের পিটি স্যার হায় হায় করতে এগিয়ে এলেন !
আসলে আমরা সবাই জানি পিটি স্যার জামাত সাগুদের বিরাট সমর্থক ! তিনি এগিয়ে আসবেন না তো কে এগিয়ে আসবেন !!
কিন্তু পিটি স্যারের আসার আগেই বাচ্চু রাজাকার আর তার চামচা উঠে দাড়াল !
এবার আমার পক্ষ্যে হাসি থামানো খুব কষ্ট হয়ে উঠল । খুব চেষ্টা করলাম যেন হাসি না আসে তবুও হাসি চলেই আসলো ! আমি অতিথিদের তাকিয়ে দেখি তারাও হাসছে !
অবশ্য হাসির কারনও আছে ! আমি আর রনি কেবল স্টেজে কেটে রাখি নি স্টেজের নিচে আমরা কাঁচা গোবর বিছিয়ে রেখেছিলাম । কাঁচা গোবরের গন্ধ যাতে বের না হয় সে জন্য আমরা গোবরের উপর খুব পাতলা পলিথিনের প্রোলেপ দিয়েছিলাম । যেই না ঐ দুইজন গোবরের উপর পরেছিল সঙ্গে সঙ্গে পুরো গোবরে মাখামাখি হয়ে গেছে দুজন !
আমি দেখতে পারছিলাম কি পরিমান লাল হয়ে গেছে বাচ্চু রাজাকারের মুখ । কিছু বলতেও পারছে না ! কাকে বলবে ?
এসব কিছুর আয়োজন করেছেন পিটি স্যার । তিনি তাদের দলেরই লোক ! একসময় দেখা গেল সবাই হো হো করে হেসে উঠেছে !
ঠিক এই সময়ে আর একটা ঘটনা ঘটলো ! কোথা থেকে যে একটা তোতা পাখি এসে হাজির হল । বসল ঠিক স্টেজ থেকে একটু দুরে । তারপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠল
-তুই রাজাকার ! তুই রাজাকার ! তুই পাতাকা ছুবি না ! তুই পতাকা ছুবি না !
এই লাইন গুলো বলতেই লাগলো !
আর কত অপমান সহ্য করবে সে ! রাজাকার বাচ্চু আর থাকতে পারলো না । খোড়াতে খোড়াতে উঠে সবার সামনে দিয়ে চলে গেল ।
আমি অবাক হয়ে রনির দিকে তাকিয়ে বললাম
-এটা কে করলো ?
রনি কেবল একটু মুচকি হাসলো !!
আমি একটা শান্তি নিয়ে সামনে দিকে তাকিয়ে রইলাম ।
দেশের জন্য হয়তো কিছু করি নি কোন দিন কিন্তু এটা ভেবে মনের ভিতর শান্তি লাগছে যে জাতীয় পতাকার অপমান হতে দেই নি আজ !!
এর থেকে বড় আনন্দের আর কি হতে পারে !!
এটা একটা বানানো গল্প ! কিন্তু বাস্তব রুপ প্রায়ই দেখা যায় ! দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি স্বাধীনতার বিজয় উৎসবে যোগ দেয় সম্মানীয় অতিথি হিসাবে ! এর থেকে অপমানের আর কি হতে পারে !!
আসুন আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই !!
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!
অপেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....
আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....
২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=
বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি
আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।
সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন