-স্যুপ খাবো !
আমি কিছুক্ষন অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে তাকালাম ।
আমার তাকানো দিকে কোন পাত্তা না দিয়ে মেয়েটি আবার বলল
-চিকেন কর্ণ স্যুপ ! !
এই ফাজিল মেয়ের ব্যবহার দেখে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না । একটু আগে এই মেয়ে আর একটু হলেই আমাকে পেডানী খাওরাতো। আর এখন বলছে স্যুপ খাবে ।
চিকেন কর্ন স্যুপ !
আমি এখন এই বিরান ভূমিতে স্যুপ কই পাবো !!
-এখনে স্যুপ পাবো কোথায় ?
-আমি তার কি জানি ?
-মানে কি ?
-মানে কি জানো না । স্যুপ খাবো । খাওয়াতে হবে । খাওয়াতে হবে । না হলে কিন্তু হাসান ভাইকে বলে দিব !!
শালার হাসান ভাইয়ের জন্য এই মেয়ের জ্বালাতন সহ্য করতে হচ্ছে !! অবশ্য হাসান ভাইকে কিছু বলার উপায় নাই । হাসান ভাই আমাদের ইউনিভার্সিটির বড় নেতা । আমার পরিচিত । কিন্তু এই পরিচিত ভাই কেমন কালটি খেয়ে আমার বিপক্ষে চলে যাবে আমি ভাবতেই পারি নি ।
এখন মনে হচ্ছে হাসান ভাইয়ের কাছে যাওয়াটাই ভুল হয়েছে । এই মেয়ে এমনই এক চিজ !! কি ভাবে রফিক ভাই কে পটিয়ে ফেলল !!
আমার পেছনে বেশ কয়েক দিন ধরেই লেগেছিল মেয়েটি । কোন উপায় না দেখে রফিক ভাই কে বললাম মেয়েটার হাত থেকে বাঁচাতে । সাথে করে নিয়ে এলাম । কিন্তু মেয়েটাকে দেখে রফিক ভাই বলল
-সত্যি মেয়েটা তোর পেছনে লেগেছে ?
রফিক ভাইকে দোষ দিয়ে লাভ নাই । যে কেউ প্রথমে এই মেয়েকে দেখলে বলবে না যে এই মেয়ে কোন ছেলের পেছনে লাগতে পারে ! সব ছেলেগুলোর ও তো এই মেয়ের পেছনে লাগার কথা !
আমি রফিক ভাইকে বললাম
-সত্যই বলছি ভাই !! কয়দিন ধরে কি পরিমান যে জ্বালাইতাছে ।
রফিক ভাই আমার দিকে যে ভাবে তাকালো তাতে মনে হল না যে সে আামর কথা খুব বেশি বিশ্বাস করলো । এই মেয়ে যে কোন ছেলের পিছনে লাগতে পারে এটা কারোই বিশ্বাস হবে না ।
রফিক ভাই এবা রমেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলো
-এই মেয়ে নাম কি তোমার ?
-নাবিলা ভাইয়া ! আপনি রফিক ভাই না ?
আরে এই রফিক ভাই কে কিভাবে চিনে ? আমি তো খানিকটা চিন্তায় পরে গেলাম । রফিক ভাই বললেন
-তুমি আমাকে চিনো ?
নাবিলা হেসে বলল
-চিনবো না ভাইয়া ?? নিপুন আপনার কথা তো অনেক বলেছে আমাকে ।
-কিন্তু ও তো বলছে তুমি তো ওকে খুব জ্বালাচ্ছ ?
নাবিলার মুখটা কেমন মলিন হয়ে গেল । বলল
-কাউকে বেশি ভালবাসার মানে কি জ্বালাতন করা বলুন ভাইয়া ? আমি ওকে বেশি ভালবাসি তো ভাইয়া এটা ওর কাছে জ্বালাতন মনে হয় !
কি সর্ব্বোনাশের কথা !!
কি সর্ব্বোনাশের কথা !!
নাবিলা আবার বলল
-ও এখন আর আমাকে ভালবাসে না !! ও যখন কলেজে পড়তো আমার পেছনে কত ঘুরেছে । আর আমি যখন ওকে ভালবাসতে শুরু করলাম তখন আমাকে কেমন করে এভোয়েট করে !!
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম । বললাম
-আমি তোমার পেছনে ঘুরালাম কখন ?
রফিক ভাই বলল
-তার মানে তুমি নিপুনের এলাকার মেয়ে ?
-হ্যা ভাইয়া । ওকে জিজ্ঞেস করেন । আমাদের বাড়ি আর ওদের বাড়ি একদম কাছাকছি । জিজ্ঞেস করেন ওকে !
রফিক ভাই আমার দিকে তাকালো
-কথা সত্যি ?
আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারলাম না ।
-ভাই কথা সত্যি যে আমার আর ওর বাড়ি কাছাকাছি কিন্তু আমি কোনদিন......
আমার কথা শেষ হল না । রফিকভাই বলল
-চুপ থাক ! তোমাদের কে আমি চিনি ।
এবার নাবিলার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি কোন চিন্তা করবা না । এবার যদি নিপুন তোমাকে এভোয়াদ করে আমাকে বলবা !
নাবিলা হাসলো । বলল
-অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । ভাইয়া আজ নিপুন কে নিয়ে বসুন্ধারার কাস বনে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ও কিছুতেই যেতে চাচ্ছে না । একটু বলেন না যেতে !!
-যাবে না মানে !! রফিকভাই যেন হুংকার দিয়ে উঠলো
-অবশ্যই যাবে । থাকড়া দিয়ে দাঁত ফেলে দেবো না !!এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-শোন আজ এখন থেকে তুই সারাটা দিন এই মেয়েটার সাথে থাকবি । না হলে কিন্তু তোর খবর আছে !
হায় হায় !!
কি করলাম আমি !! নিজের পায়ে কেউ এভাবে কুড়াল মাড়ে !! রফিক ভাই কিভাবে আমার বিপক্ষে চলে গেল ।
তা না হলে তো এই পেতনি আমার ঘাড়ে চড়ে বসতে পারতো না ।
-এই তুমি কি বললে ?
কি রে ভাই এই মেয়ে কি মনের কথাও বুঝতে পারে নাকি !
-কি বললাম ?
-মনে মনে আমাকে নিয়ে বাজে কোন কথাও বলনি তো ?
-না না !! কি বলছো তা বলবো কেন ??
-গুড !! এখন থেকে মনে মনে আমাকে নিয়ে শুধু ভাল ভাল আর রোমান্টিক কথা ভাববা, ঠিক আছে ?
এই কথা বলে মেয়েটা হাসলো !!
আমি মেয়েটাকে খুব একটা পছন্দ না করলেও আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে মেয়েটা আসলেই সুন্দরী । এমন একটা মেয়ে আমার পেছনে কে লেগেছে ঠিক বুঝতে পারলাম না ।
শুরুটা খুব সাধারন ভাবেই । আমি আননোন নাম্বার থেকে ফোন রিসিভ করি না কখনই । খুব একটা আসে না । কিছু দিন আগে দেখি একটা নাম্বার থেকে লাগাতার ফোন এসেই যাচ্ছে ।
আমি তবুও ফোন রিসিভ করি না ।
একটু পর একটা একটা মেসেজ এসে হাজির !
মেসেজে লেখা
রাশান শাহরিয়ান, আপনি আসেলই একটা ফাজিল ।
আরে এ দেখি আমার নাম জানে । পরের বার ফোন আসার সাথে সাথে আমি ফোন রিসিভ করলাম ।
-যাক ! ফোনটা ধরলেন ?
মেয়ে কন্ঠ !!!!!
আমি বললাম
-কে বলছেন ?
-কেন বলবো ?
-মানে কি ?
-মানে হল আমি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি যে কে বলছেন !! আপনি কেন করছেন ?
-আপনি আমার নাম জানেন । এই জন্য জিজ্ঞেস করছেন না । আমার জনা দরকার আপনি কে !
-আপনি কি আমাকে আপনার নাম বলেছেন ?
-না ।
-আমি নিজে জেনেছি ! আপনিও আমার নাম নিজে জেনে নিন ।
আচ্ছা পেচালু মেয়েতো !!
আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারলাম না । মেয়েটি বলল
-আপনি নাকি ভালবাসায় বিশ্বাস করেন না তাই ?
-একথা আপনাকে কে বলল ?
-আপনি ব্লগ লেখে না ?
-হুম !!
-অপু তানভীরের প্রায় গল্পেই আপনার কামন্ট দেখি ! সেখান থেকেই জানলাম ।
-তা আমার নাম্বার পেলেন কোথায় ?
-আহা ! এতো উতলা কেন হচ্ছেন ? সব বলব ! আমার সাথে আগে দেখা করেন তারপর বলব !! আচ্ছা এখন রাখি । আবার ফোন করবো .।
মেয়েটি ফোন রেখে দিল ।
কে হতে পারে ?
আর আমার নাম্বার পেল কোথায় ?? আর নামও তো বললা না !
-কি হল ! স্যুপ খাওয়াবে না ?
-আরে এই ভর দুপুর বেলা আমি স্যুপ কোথায় পাবো ?
-আমি জানি না । আমি খাবো !
এই মেয়েএমন ভাব করছে যেন আমি তার দলিল করা বয়ফ্রেন্ড । যা বলবে তাই করে হবে ! এই একটা কারনেই আমি মেয়েদের থেকে দুরে থাকি !! এমন প্যান প্যান করে !!
অসহ্য !!
কথা সত্য যে নাবিলা কে আমি চিনি অনেক আগে থেকেই !! নাবিলাদের আর আমাদের বাসা একই এলাকায় । ওকে ভাল করে চিনি তখন থেকেই ।
মেয়েটা সব সময় খুব মুড নিয়ে চলত । চেহারা সুন্দর ছিলতো ! তাই খুব পচাইতাম । সকালবিকাল কলেজ কোচিং যেখানে দেখা হত সেখানেই মেয়েটাকে টিজ করতাম ।
মাঝে মাঝে জ্বালানোর পরিমানটা এতো বেশি হয়ে যেত যে নাবিলার চোখে পানি চলে আসতো । কিন্তু একটা ব্যাপার ভেবে অবাক হতাম যে নাবিলা কখনই আমার বাসায় রিপোর্ট করে নি । যখন ঢাকায় চলে আসি মেয়েটার কথা ভূলেই গিয়েছিলাম ।
ঐ যে ফোন করেছিল পরে জেনেছি আমার বাসা থেকেই নাম্বারটা নিয়েছিল । ফোন করার দুদিন পরেই নাবিলা আমার ক্যাম্পাসে এসে হাজির । আমি ওকে দেখে টাস্কির মত খেলাম ।
এখন বুঝতে পারছি নাবিলা আমার কাছ থেকে বদলা নিচ্ছে ।
-কি হল স্যুপ খাওয়াবা না ?
হায় রে স্যুপ ! আমি বাচি না আমার জ্বালায় !!
এই স্যুপের গায়ে আমি আগুন লাগিয়ে দিবো ! এই কাস বনের ভিতর আমি স্যুপ পাবো কই ?
তাও আবার চিকে কর্ণ স্যুপ ! আমি বললাম
-দেখো এখন স্যুপ আমি কোথায় পাবো বল ? কেন বুঝতেছ না যে বিকেলের আগে স্যুপ পাওয়া যাবে না । আর এখন জলদি চল দেখছো না আকাশের অবস্থা খুব বেশি ভাল না । বৃষ্টি নামলে মাথা বাঁচানোর মত কোন জায়গা পাওয়া যাবে না ।
-ওয়াও ! বৃষ্টি নামবে ! যাও স্যুপ খাওয়াতে হবে না ।
যাক । বাঁচলাম ।
-এখন বৃষ্টিতে ভিজবো !
-মানে কি ? এই সময়ে কেউ বৃষ্টিতে ভিজে নাকি ?
নাবিলা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-বৃষ্টিতে ভেজার কোন সময় হয় না । বুঝেছ । চল ঐ পুকুর পাড়টাতে যাই । পানিতে পা ডুবিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবো । চল চল জলদি চল ।
আমাকে প্রায় জোড় করেই নিয়ে গেল পুকুর পাড়ে । তারপর পানিতে পা ভিজিয়ে বসে পড়ল । আমাকেও বসতে বাধ্য করল । এতোক্ষন মেয়েটার আচরনে বিরক্ত লাগছিল এখন কেন জানি অবাক লাগছে ।
আশ্চর্য মেয়েটা এতো আনন্দিত কেন হচ্ছে ! মেয়েটার আনন্দের সীমা থাকলো না যখন বৃষ্টি নামল । প্রথমে কিছুক্ষন পানিতে পা ভিজিয়ে বৃষ্টিতে ভিজল । তারপর রীতিমত লাফা লাফি শুরু করে দিল ।
সত্যি বলতে কি আমার ভালই লাগছিল মেয়েটার এই আনন্দ দেখে । কি অদ্ভুদ মানুষের মন । একটু আগে নাবিলার আচরনে বিরক্ত হচ্ছিলাম কিন্তু এখন মেয়েটার আনন্দ দেখে ভাল লাগছে ।
তবে মনের ভিতর একটা টেনশন কাজ করছিল । বৃষ্টিতে বেশিক্ষন ভিজলে আবার আমার গা কাঁপিয়ে জ্বর আসে । কিন্তু নাবিলা যে আনন্দ নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে ওর আনন্দটা মাটি করে দিতে ইচ্ছা করলো না । ভিজুক যতক্ষন ইচ্ছা !
-এই কি ভাবছো ?
-না কিছু না ।
-তাহলে এমন চুপচাপ দাড়িয়ে আছো কেন ?
-দাড়াও
এই বলেই নাবিলা আমার দিকে পানির বল ছুড়ে মারল । তারপর হাসতে লাগল । আমি নেমে গেলাম পানি যুদ্ধে ! বৃষ্টি যখন থামল তখন বিকেল প্রায় । রিক্সায় করে নাবিলাকে হোস্টেলে যখন নামিয়ে দিলাম তখনই টের পেলাম যে গায়ে জ্বর চলে এসেছে ।
রাত হতে হতে গা কাঁপিয়ে জ্বর এসে হাজির । আমার ঠিক আর হুস রইল না । তারপর যতবারই আমার একটু হুম আসল ততবারই আমি কেবল নাবিলার চেহারাটাই দেখতে পেলাম । কেমন কান্না চোখে চেয়ে আছে আমার দিকে ।
মোটামুটি সপ্তাখানেক পর আমার জ্বর ছাড়ল । নিজেকে হাসপাতালের একটা কেবিনে আবিষ্কার করলাম । নাবিলা পাশেই ছিল । এই মেয়েটা প্রতিটি সময় আমার পাশেই ছিল !
আশ্চর্য !
হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার সপ্তাখানেক পরের কথা ।
নাবিলা কেন জানি আমার ধারে কাছে আসে নি । কেন কে জানে ?
-হা্ই !!
নাবিলা বসেই ছিল পুকুর পাড়ে ! কি যেন ভাবছিল ! আামর কথায় বাস্তবে ফিরে এল ।
-কি ভাবছো ?
-না কিছু না । এখন শরীর কেমন তোমার ?
-ভালই । আর ভাল না হলে তুমি আমাকে আামকে ছেড়ে আসতে না । তাই না ।
নাবিলা আমার দিকে তাকালো । কিন্তু কিছু বলল না । আমি বললাম
-এসবের মানে কি ? কয়দিন আমার পেছনে খুব লাগলে তারপর আমি যে কয়দিন হাসপাতালে ছিলাম তুমি সারা সময় আমার পাশে ছিলে । কেউ নাকি জোর করে তোমাকে ওখান থেকে নড়াতে পারে নি । এখন দেখ নাই । কারন কি ?
-আসলে আমার কারনেই তো তুমি জ্বরে পরেছ । আমার একটা দায়িত্ব আছে না ।
-শুধুই দায়িত্ব ?
নাবিলা কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো !! আমার কেন জানি মনে হল এই মেয়ে সত্য বলবে না কিছুতেই । আমি সোজাসুজি জিজ্ঞেস করলাম
-নাবিলা ডু ইউ লাভ মি ?
নাবিলা আমার দিকে তাকিয়ে রইলো নিরবে । কিন্তু ওর চোখের ভাষা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে শি লাভস মি !!
-জানো আমি কখনও ভালবাসায় বিশ্বাস করি নি । আমার কাছে ভালবাসার অনুভূতি গুলো ছিল অজানা । কিন্তু যে কয়দিন তুমি আমাকে জ্বালিয়েছ আামর সাথে সাথে ছিলে আমার ভিতর কেমন যেন একটা অনুভূটি হচ্ছিল । আমি কেবলই ভেবে অবাক হতাম তোমার আনন্দ দেখে ! কেউ কেবল আমার উপস্থিতিতেই এতো আনন্দিত কেন হয় । তখন আমি বুঝলাম যে কেন আমি যখন টমাকে টিজ করতাম তুমি কেন আমার বাসায় কেন কম্প্লেইন কর নি !
নাবিলা চুপ করেই রইল !!
আমি আবার বললাম
-আর একটা ব্যাপার কি জানো ? তুমি যে গত এক সপ্তাহ আমার সামনে আসো নি আমি কেমন যেন তোমাকে খুব মিস করেছি !! আশ্চার্য ভাবেই মিস করেছি !! বারবার মনে হয়েছে মেয়েটা কোথায় গেল !
এবার নাবিলা আমার দিকে তাকাল ! ওর চোখ কেমন যেন একটু আলোকিত হয়ে উঠল !!
-আমি ঠিক জানি না এটা কে কি বলে বাট আই লাইক বিইং এরাউন্ড ইউ !!
এবার নাবিলা একটা হাসলো !!
আমি বললাম
-স্যুপ খাবে না । চল তোমাকে চিকেন কর্ণ স্যুপ ! চিকেন কর্ণ স্যুপ দিয়েই আমাদের রিলেশন সেলিব্রেট করা যাক !
নাবিলা হেসে সম্মতি জানালো !!
আমার কথাঃ আমার ভার্চুয়াল জীবনে যে কয়জন মানুষের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হয় নিপুন তাদের একজন । বলতে গেলে ওর সাথেই সব থেকে বেশি যোগাযোগ হয় ! আর আমার ছোট্ট গল্প গুলোর একজন পাঠক । এই লেখাটা তার জন্য । তার জন্য দোয়া রইল যেন এমন একজন নাবিলা যেন তার জীবনে আসে !! ভালবাসা দিয়ে তার জীবন পূর্ণ করে দেয় !! যদিও সে এসবে খুব একটা.........। থাক এইটা না হয় নাই লিখলাম !
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৮