আমার ঘরের ঠিক সামনেই উঠানে চেয়ারের উপর আব্বা বসে আসেন । আমি আবার খাটের উপর ফিরে এলাম ।
কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না । অবশ্য বুঝতে পারলেও কিছু করার ছিল না । এই ঘর থেকে পালাতে পারতাম না কিছুতেই !
ঘরের দরজায় তালা মারা । আর সেই তালার চাবি নিয়ে আব্বার দরজার সামনেই বসে আছে । পালানোর কোন উপায় দেখছি না । যদিও বা কোন ভাবে তালা খোলা যায় তবুও পালানোর সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ ।
আব্বা দরজার সামনে বসে আছে । আমার বাপের কি সাধ্য তার সামনে দিয়ে পালানো !
বাপের কি সাধ্য ?? নিজের ভাবনায় নিজের কাছেই হাসি এল । আসলে বড় ধরেনের শক খেলে মানুষের চিন্তা একটু এলোমেলো হয়ে যায় । আমার অবস্থা ঠিক ঐ রকমই হয়েছে ।
সকালবেলা ঘুমাচ্ছিলাম । আব্বার ফোনে ঘুম ভাঙ্গল ।
-এতো বেলা করে ঘুমাচ্ছ কেন ?
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাত্র সাতটা বাজে । ছুটির দিনে সাতটা পর্যন্ত ঘুমানো নিশ্চই জায়েজ আছে ! কিন্তু এই কথাটা আব্বাকে বলার সাহস হল না ।
আব্বা আরো কিছুক্ষন ঝাড়ি মারলেন । চুপচাপ শুনলাম । তারপর বললেন
-এখনই বাড়িতে আসো !
আমি বলতে পারলাম না কেন ? ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম । ঢাকা থেকে কাছেই আমাদের বাড়ি । ঘন্টা খানেকের রাস্তা । দশটার মধ্যেই পৌছে গেলাম ।
আমাদের বাসাটা বেশ খোলামেলা । দুর থেকেই দেখা যায় কি হচ্ছে । বাড়ি থেকে তখনও খানিক তফাতে , দেখলাম আমাদের বাড়িতে কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব ।
শামীয়ানা টাঙ্গানো হচ্ছে । লোকজন এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করছে !! কেন কে জানে ??
আরো একটু কাছে এসে দেখলাম দুটো বড় সাজেই গরুও জবাই করা হয়েছে । মনে মনে ভাবলাম নিশ্চই আব্বা বড় কোন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে । এই জন্য আমাকে আসতে বললেন ।
কিন্তু কি জন্য ? এমন বড় কিছু হলে মা নিশ্চই আমাকে ফোন করে জানাতো ।
বাসায় ঢুকতেই দিপুর সাথে দেখা হল । আমাকে দেখে কেমন অদ্ভুদ ভাবে হাসল । বললাম
-কিরে ওমন করে হাসছিস কেন ? আমাকে এর আগে দেখিস নি?
দিপু বলল
-টের পাবা ।
আর কিছু বলল না । মানে কি ?
আমি অবাক হয়ে দেখলাম বাড়ির প্রতিটি মানুষ দিকে তাকিয়ে আছে আর সবার মুখেই কেমন অদ্ভুদ হাসি ।
এদের সমস্যা কি ? ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখি মা বসে বসে পান খাচ্ছে । বলল
-কি হচ্ছে গো মা এসব ? এতো আয়োজন কিসের ?
দেখলাম মাও হাসল । সেই অদ্ভুদ হাসি । মা কিছু বলতে যাবে ঠিক ঐ সময়ে বাবা পেছন থেকে বলে উঠল
-আনয়ারুল আলম ?
চরকির মত ঘুরে বললাম জি আব্বা ?
-তোমার মোবাইল টা আমার হাতে দাও ।
আমি বাধ্য ছেলের মত দিয়ে দিলাম । আমার মোবাইলটা নিলো কেন বুঝলাম না । আব্বা মাকে উদ্দেশ্য কয়ে বলল
-নীলুফা তুমি বাইরে যাও ।
-এখনই কইবেন ? পোলাডা মাত্রইতো আইল ।
মা আরো কিছু বলতে চাচ্ছিল কিন্তু আব্বার মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলল না । ঘরের বাইরে চলে গেল ।
তারপর আব্বা আমার দিকে তাকিয়ে যা বলল তা শোনার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না । আব্বা কেবল একটা কথাই বললেন
-আজ দুপুরে তোমার বিয়ে ।
আর কোন কথা নেই । তারপর ঘুরে চলে গেলেন । যাওয়ার সময় দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে গেলেন ।
তার মনে এই চিন্তা এসেছিল যে আমি পালাতে পারি ।
কিছুক্ষন পর আব্বা নিজেই জানলার কাছে এলেন । আমার মোবাইলটা আমার কাছে ফেরৎ দিয়ে বলল
-তোমার কোন কে ইচ্ছা করলে ডাকতে পারো । বিয়ে শাদীতে বন্ধুবান্ধবের দরকার আছে । নাও ফোন দাও ।
আমি শুকনো মুখে বললাম
-জি আচ্ছা ।
মোবাইলটা নিয়ে খানিকটা শান্তি লাগল । এতোক্ষনতো একেবারে বন্দী ছিলাম এখন অন্তত একটু মুক্ত ।
আচ্ছা ফোন দিয়ে যদি এখন পুলিস কে খবর দেই তাহলে কি তাড়া এসে আমাকে উদ্ধার করবে ?
না মনে হয় । তাহলে কার কাছে দিবো ? সজিবের কাছে দেই ? ও ই সব থেকে কাছের বন্ধু ।
সজিব কোন না কোন বুদ্ধি দিতে পারবে
-হ্যালো কই তুই ? সকাল বেলা ঘুম থেকে উইঠা দেখি তুই গায়েব । গেলি কই ?
-গ্রামে আসছি ।
-ও । হঠাৎ গ্রামে গেলি ক্যান ?
-আব্বা আসতে বলল ।
-ক্যান ?
-আজ আমার বিয়ে !
সজিব মনে হয় পানি বা ঐ জাতীয় কিছু খাচ্ছি । মুখ থেকে ছিটকে বের হবার আওয়াজ পেলাম ।
-কি....... কি বললি ?
-আজ কে আমার বিয়ে ।
-ক্যামনে ? কালকেও কিছু বললি না । আর আজকে বিয়া ?
-আরে আমিও কি জানি নাকি ? সকাল বেলা আব্বা ফোন দিয়ে বলল বাসায় আসতে । গেলাম । ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজা আটকিয়ে দিয়ে বলল আজ তোমার বিয়ে ।
-কি বলিস ? ফান্দে পরছোস ?
-হুম । কিছু একটা বুদ্ধি দে ।
-পালাইতে পারবি না ?
-উপাই না । আব্বা দরজার সামনে বসে আছে ।
-তাইলে মামা আমি কি করুম ?
কথা সত্য । সজিবের আসলে কিছুই করার নাই । আমি দরজা থেকে বের পারলেও খুব বেশি দুর পালাতে পারবো না । পুরো গ্রাম আব্বার কথায় চলে । কেউ না কেউ ধরে ফেলবেআ ।
-দোস্ত একটা বুদ্ধি পাইছি ।
-কি ?
-নিশিরে ফোন দে ।
-নিশিরে ? ক্যান ?
-আরে নিশিদের বাড়িতো তোদের গ্রামেই । তুই ওরে ফোন দে দেখ ও একটা ব্যবস্থা ঠিকই করে ফেলবে ।
-কিন্তু ও এক মাস ধরে আমার ফোনই ধরছে না ।
-আরে ধরবে । চেষ্টা করতে থাক । ও ছাড়া আর কোন উপায় নাই । আর আমি আইতাছি । বিয়ে না হলে তোকে নিয়ে ঢাকায় আসবো আর যদি হয়েই যায় তাহলে বিয়ের খানা খেয়ে আসবো । বহুদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় ।
ফোন রেখে আমি নিশিকে ফোন লাগালাম । আজ একমাস নিশি আমার ফোন রিসিভ করে না । আজকে ধরবে কি না কে জানে ? দেখলাম কপাল ভাল । প্রথম বারেই ধরল ।
-বল ।
-কেমন আছো জান ?
-জান ফান বাদ দাও । কি জন্য ফোন দিয়েছ বল ? আমার অনেক কাজ পরে আছে ।
-কি কাজ ? কি কাজ সেটা তোমার না জানলেও চলবে ! কেন ফোন দিয়েছ তাই বল ?
-আজ আমার বিয়ে ।
নিশি কিছুক্ষন চুপ করে থাকল । তারপর বলল
-ভাল তো । বিয়ে করে ফেলো ।
-আমি ইচ্ছা করে করছি নি । বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে ।
-ভাল !! বাবার বাধ্য ছেলের মত বিয়ে করে ফেলো । আমাকে ফোন দিয়েছ কেন ? দাওয়াত দিতে ?
-প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর না ! আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই ।
-তাহলে বল তোমার বাবাকে ।
-আচ্ছা তা না হয় বলব কিন্তু এখন আমাকে উদ্ধার কর প্লিজ ।
-কিভাবে করবো শুনি ?
-তোমার বাবাকে ফোন করে একটু বল যেন আমার বাবাকে একটু বলে ।
-আচ্ছা তুমি চাও যে তোমার জন্য আমি আমার বাবাকে বিপদে ফেলি ।
-মানে কি ?
-মানে বোঝ না ? তোমার বাবা যে পরিমান রাগি । বিয়ে আটকাতে গেলে আমার বাবাকে গুলে করে দিবে । শোন আমি তোমার পিছনে অনেক সময় নষ্ট করেছি । আর না । যে ছেলে পাঁচ বছর ধরে একটা বারও বিয়ের কথাটা বলতে পারলো না যে ছেলে এতো ভীতু এমন ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না ।
-প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর ।
-কোন বোঝাবুঝি নাই । নিজে পারলে বল । না হয়ে ঐ বাপের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করে ফেল ।
-প্লিজ একটু ......
নিশি আর শুনলো না । আর একবার ফোন দিবো কিনা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ।
ফোন দিয়ে লাভ নাই আমি জানি । নিশি আর ফোন ধরবে না । ও যা জেদি । একবার যা বলবে তাই ।
মাস খানেক আগে একদিন এসে বলল
-তুমি কি আমাকে বিয়ে করবা ?
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো ঠাট্টা করছে । কিন্তু মুখ দেখে বুঝলাম যে ও সিরিয়াস । বেশ কিছুদিন থেকেই ও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল ।
কিন্তু আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম । আসলে আমারও ইচ্ছা নিশিকে বিয়ে করার ।
কিন্তু আব্বা কে কিভাবে বলি ? আব্বার সামনে এ কথা বলার আমার সাহস নাই । আর একা একা বিয়ে করার মত যে বুকের পাটা লাগে সেটাও আমার নাই । আব্বা আমাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে !
-কি বিয়ে করবা তুমি ?
-আব্বাকে কিভাবে বলব ?
-আমি কি জানি ? তোমার বাবা তুমি বলবা ? এই কথাটা বললে নিশ্চই উনি তোমাকে খেয়ে ফেলবে না ।
-তুমি আমার আব্বা কে চিনো না । আমাকে চিবিয়ে খেয়েই ফেলবে ।
-ওকে ঠিক আছে । তাহলে আমার কথা ভূলে যাও । ঠিক আছে ? আজকের পর তুমি আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবে না । কোন ভীতু কাপুরুষের সাথে আমি কোন রকম সম্পর্ক রাখবো না ।
তারপর থেকে নিশি আর আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখে নি । আমি ফোন করলেও ও আর ফোন ধরে নি ।
সজিব দুপুরের মধ্যেই চলে এল । ভেবেছিলাম ও হয়তো কিছু একটা করবে কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম নিজেই বিয়ের কাজে খুব উৎসাহী ।
বিয়ে টা ওর হলে ভাল হত !!
দুপুর বেলা আমাকে ঘর থেকে বের করা হল । গায়ে হলুদ হবে । আব্বা নতুন লুঙ্গি আর গেঞ্জী এনে পড়তে বললেন । আমাকে উঠানের মাঝখানে বসানো হল ।
কোথা থেকে জানি একঝাক পোলাপাইন আমাকে ঘিরে ধরল । আমার সারা গায়ে হলুদ ডলতে শুরু করল । আস্তে আস্তে সবাই ই এল ।
সজিবও এল হলুদ দিতে । ওকে দেখে মেজাজটা খারাপ হল । বললাম
-তুই বিয়ে আটকানোর কি করলি ?
সজিব যেন আকাশ থেকে পড়ল ।
-বিয়ে আটকাবো কোন দুঃখে ? এতো সুন্দর আয়োজন !! চুপচাপ বিয়ে করে ফেল ।
সজিব আর দাড়াল না ।
বিকেলের কিছু পরে আমার বিয়ে হয়ে গেল । আসলে গায়ে হলুদের পর আমি একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম । কি হচ্ছ না হচ্ছে কিছু বুঝতেই পারছিলাম না । কেবল এইটুকু মনে আছে চুটুক দাড়ি ওয়ালা এক লোক আমাকে বলল
-বাবা কবুল বল ।
-জি??
-কবুল বল বাবা !
সাথে সাথে আব্বাব ও বলে উঠল
-কবুল বল ।
আমার আর কিছু খেয়াল হল না । আব্বা কবুল বলতে বলেছে তাই বলে ফেললাম
-কবুল ।
যখন মোটামুটি স্থির হলাম তখন রাত হয়ে গেছে । সজিবের সাথেই ছিলাম । ও কি বকবক করছিল কে জানে আমার মাথা দিয়ে কিছুই ঢুকছিল না । বারবার মনে হচ্ছিল সকালবেলাই জীবিত ছিলাম এখন বিবাহিত হয়ে গেলাম ।
এতো কাল কেবল আব্বার কথা মত জীবন কাটিয়েছি এখন তার সাথে যুক্ত হল বউ এর খবরদারী ।
আমার নিজের লাইফ বলেকি কিছু নাই ?
একবার মনটা বিদ্রোহ করে উঠল । আমার নিজের লাইফ বলে কি কিছু নাই ?
আমি এই বিয়ে মানি না ।
আমি বাসর ঘরে ঢুকবো না ।
কেউ আমাকে বাধ্য করতে পারবে না ।
-আনয়ারুল আলম !
-জি আব্বা !
-রাত হচ্ছে ।
-জি আব্বা !
-বউ মা অনেক ধরে অপেক্ষা করছে । ঘরে যাও ।
-জি আব্বা ।
সজিব আমাকে ঘরের সামনে নিয়ে গেল । হাটছিল কিন্তু পায়ে কোন বল পাচ্ছিলাম না । চিরো পরিচিত এই ঘরটাও কেমন যেন অপরিচিত মনে হচ্চে । সজিব কে বললাম
-ভয় লাগছে রে ।
সজিব হাসল । বলল
-আরে ভয় পাশ কেন ? কিছু হবে না । যা আল্লাহর নাম নিয়ে যা । আর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করিস ।
আমি দরজা বন্ধ কয়লাম । দেখলাম খাটের উপর পুরো ঘোমটা দিয়ে কেউ একজন বসে আছে ।
আরে কেউ একজন আবার কি ?
ঐটা আমার বউ ! কি আশ্চার্য আমার বউ ! আমার বউ ।
আমি আর একটু কাছে এগিয়ে গেলাম । মেয়েটা নিশ্চই টের পেয়েছে আমি ঘরে ঢুকেছি ।
নাকি একবার জানান দিবো !!
কিছু একটা বলতে গেলাম ঠিক তখনই ধুপ করে কারেন্ট চলে গেল । পুরো ঘর জুড়ে তখন অন্ধকার । এভাবেই কেটে গেল কিছুক্ষন ।
মেয়েটা খাটের উপর বসে আছে । আর আমি দাড়িয়ে আছি খাট থেকে কিছুটা দুরে ।
আচ্ছা মেয়েটা কি অন্ধকারে ভয় পায় ? আমার কি কিছু বলা উচিত্ ? ভয় পেও না , আমি আছি এই টাইপের কিছু ।
কিন্তু কোন কথাই মুখ দিয়ে বের হল না ।
রুম থেকে কি বের হব ?
-কি আশ্চার্য খাম্বার মত দাড়িয়ে আছো কেন ?
আমি মোটামুটি ধাক্কার মত খেলাম ।
-আলো জ্বালবে তো !
নিশি ?? নিশি এল কোথা থেকে ?
আমি কাঁপা হাতে মোবাইলটা বের করে আলো জ্বাললাম । নিশি ততক্ষনে ঘোমটা খুলে ফেলেছে ।
ও কিভাবে এল ?
-কি ব্যাপার ওখানে ওভাবে দাড়িয়ে আছো কেন ? মোম টোম জ্বালাও । অন্ধকায়ে বসে থাকবো নাকি ? আজিব তো !!
আমি দরজা খুলে বাইরে যেতেই দেখলাম সজিব একটা মোম নিয়ে এগিয়ে আসছে । আমার মুখ দেখেই নিশ্চই বুঝতএ পেড়েছে । আমাকে বলল
-কেমন শক খাইলা মামা ?
-তুই জানতি ।
-আগে থেকে না । এখানে আসার পর থেকে জানলাম । সব নিশির প্লান । ঐ তোর বাবা কে কনভান্স করেছে । সব বুদ্ধি ওরই । যা যা জলদি যা । বাসর রাতে বউকে রেখে বেশিক্ষন বাইরে থাকাটা ঠিক না ।
আমি মোমের আলো নিয়ে আবার ঘরের দিকে পা বাড়ালাম !!!