somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার গার্লফ্রেন্ড নিহিন আর আমি এবং একটা রাতের গল্প

১৬ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-দেখি তোমার হাতটা !
-কি করবা ?
-আহা দেখি না !
আমি হাতটা বাড়িয়ে দিলাম । নিহিন কি একটা ব্রেসলেটের মত আমার হাতে পরিয়ে দিল । তারপর বলল
-এখন থেকে সব সময় এটা পরে থাকবে । খরবদার কখনও খুলবে না ।
বাচ্চা মেয়েদের মত আবদার করল । আমি কাছে এনে দেখলাম । ব্রেসলেটই বলা যায় । তবে স্টাইলটা কেমন একটু পুরানো । স্টিলের মনে হল । উপরে কালো কারুকার্য করা । কারুকার্যটা বেশ অদ্ভুদ । আমি বললাম
-সব সময় পরে থাকতে হবে ?
-হুম! সব সময় । কথা দাও কখনও খুলবা না ।
-আচ্ছা ।
-আমার গা ছুয়ে কথা দাও ।
-আরে গা ছুয়ে কথা দিতে হবে কেন ? আমার মুখের কথা বিশ্বাস হচ্ছে না ?
-হবে না কেন ? তবুও দাও ।
আমি নিহিনের হাত ধরলাম । আজকেও ওর হাতটা ঠান্ডা । নিহিনের সব কিছু আমার ভাল লাগে কেবল এই ঠান্ডা ভাবটা আমার একদম ভাল লাগে না ।এতো মিষ্টি চেহারা ওর ! কিন্তু এই ঠান্ডা ভাবটা কেমন জানি অস্বস্তি লাগে ।
ঘড়িতে সময় দেখে বেশ অবাক হলাম । দুঘন্টার উপরে ওর সাথে গল্প করছি । টেরই পাই নি । ওর সাথে একবার কথা বলা শুরু করলে আমার আর সময় জ্ঞান থাকে না ।
-আচ্ছা আমি এখন যাই ।
-এখনই যাবে ? মাত্রই এলে ।
-মাত্র এলাম ? নটার সময় এসেছি । এখন এগারটা পার হয়ে গেছে । এখন যদি নিচে না যাই মা চলে আসবে ।
নিহিনের মুখটা মলিন হয়ে গেল ।
-মন খারাপ করলে আমি কিভাবে যাবো বল ?
-যেও না !
আমি হাসলাম ।
-বোকা মেয়ে বলে কি ? তুমি কি চাও আজ একটু বেশি কথা বলার জন্য আর তোমার সাথে কথাই না বলতে পারি ! আমার মা যদি টের পায় না । খবর আছে আমার ।
তবুও নিহিন মন খারাপ করেই রইল । আমি নিচে চলে এলাম । বাসায় ঢুকে মার জেরায় পড়তে হল ।
-এতো রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি ?
-মা সুমনদের বাসায় ছিলাম ।
-মিথ্যা কথা বলবি না । আমি সুমনকে ফোন করেছিলাম । ও বলল তুই ওখানে ছিলি না । কোথায় ছিলি ?
মিথ্যে ধরা পড়েছে । বুঝলাম ।
-আমি ছাদে ছিলাম ।
-এতো রাতে ছাদে কি করছিল ?
-মা এমনি ছাদে ছিলাম ।
কি করছিলি বল ? সত্যি করে বল ।
-মা নিহিনের সাথে ছিলাম ।
-নিহিন ?
-মা তোমাকে তোমাকে সেদিন বললাম না ? পাঁচ তলায় থাকে ।
মা কেমন অদ্ভুদ চোখে আমার দিকে তাকাল । তবে আর কিছু বলল না । আমি আমার রুমে চলে এলাম । আমি ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না ।
নিহিনের কথা বলতে মা এমন চুপ করে গেলো কেন । সেদিন দারোয়ানকে নিহিনের কথা বলতে দারোয়ানও কেমন অদ্ভুদ চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে ছিল ।
দরজা বন্ধ করে নিহিনের কথা ভাবতে লাগলাম । নিহিন কি চমৎকার একটা মেয়ে !
এই বাসাটায় প্রায় দুমাস আগে আমরা ভাড়ায় এসেছি । আসার প্রথম দিনই আমি নিহিনকে দেখি । ছাদে উঠেছিলাম সন্ধ্যা বেলা । এদিক ওদিক হাটাহাটি করছিলাম । ছাদ মোটামুটি ফাকাই ছিল । একবারে বাম কর্নারে যখন গেলাম লাল একটা সেলোয়ার কামিজ পরা একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে । রোগা পাতলা একটা মেয়ে ।
যখন দুজনের চোখাচোখি হল দেখি মেয়েটা আমার দিকেই তাকিয়েই আছে ।
কি নিশ্পাপ একটা মুখ !
আমি হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমি মেয়েটার উপর থেকে চোখ সরাতে পারছি না ।
কি অদ্ভুদ সুন্দর ঐ চোখের দৃষ্টি !
আর কখন যে আপনা আপনি মেয়েটার দিকে হাটা শুরু করেছি তা আমি নিজেই বুঝতে পারলাম না ।
-হাই !
মেয়েটা হাসল ।
-হ্যালো ।
-তোমরা নতুন এসেছ তাই না ? দেখছিলাম । কি নাম তোমার ?
-অপু ।
-আমি নিহিন ।
নিহিন ?
নিহিন আবারও হাসল । নিহিনের কেবল চোখই সুন্দর না , ওর হাসিটাও অসম্ভব সুন্দর ।
-তোমার নামটা অনেক সুন্দর ।
নিহিন আবারও হাসল । হাসতে হাসতে বলল
-শুধু আমার নামই সুন্দর ? আর কিছু সুন্দর না ?
আমার কেন জানি মনে হল নিহিন আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছে । আমি খানিকটা অস্বস্তিতে পরলাম ।
ও হাসতে হাসতে চলে গেল ।
ঐ দিন রাতের বেলা নিহিন আমাকে ফোন দিল । ফোন রিসিভ করে সত্যি অবাক হলাম । আমার স্পষ্টই মনে আছে আমি ওকে আমার নাম্বার দেই নি । বললাম
-তুমি আমার নাম্বার পাইছো কোথায় ?
নিহিন হাসল । বলল
-যোগার করেছি ।
আমরা মাত্র এসেছি এখানে । আমারা নাম্বার কারো কাছে নেই । এখান কার কাউকে আমি আমার নাম্বর দেই নি । তাহলে ও পেল কিভাবে ? দিপুর কাছ থেকে নেয় নি তো ! আমি আবার বললাম
-কোথায় পেয়েছ বল !
-আচ্ছা আমি তোমার কাছে ফোন করলাম তুমি একবারও জিজ্ঞেস করলে যে কেন ফোন করেছি । কেবল একই প্রশ্ন ! কোথায় পেয়েছি ? কোথায় পেয়েছি ?
নিহিনের গলায় কেমন জানি আভিমানের সুর শুনতে পেলাম । আমি কি বলব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । নিহিন আবার বলল
-আমি এতো রাতে ফোন করলাম তোমার সাথে কথা বলার জন্য আর তুমি কি না পুলিশের মত প্রশ্ন করে যাচ্ছ ।
এবার আমার সত্যি সত্যি মনে হল নিহিন কেঁদে ফেলবে ! আমার নিজের মধ্যেই কেমন জানি অনুভূতি হল । তাইতো এতো প্রশ্ন করার কি দরকার ? ওকিভাবে নম্বর পেয়েছে এটা বড় কথা না । ও ফোন করেছে এটাই বড় কথা । আমি তাড়াতাড়ি বললাম
-আচ্ছা আমি আর জিজ্ঞেস করবো না । এখন বল কেন ফোন দিছো ?
নিহিন এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলল
-কেন তুমি খুশি হও না ।
কি বলব, সত্যিই খুব ভাল লাগছিল । বিকেল বেলা নিহিনের ঐটুকু কথা বলে সত্যিই আমার খুব ভাল লেগেছে । আমি নিজেই চাইছিলাম যেন ওর সাথে আমার আরো কথা বার্তা হোক! আরো আলাপ হোক! ঐ দিন অনেক রাত পর্যন্ত কথা হয় । কত রকমের কথা ।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মনে হল নিহিনের সাথে আর একটু কথা বলি । কিন্তু ফোন দিয়ে দেখি ওর নাম্বর বন্ধ । সারা দিন ট্রাই করলাম কিন্তু হায় !
একটা বারের জন্য ফোনটা ওপেন হল না । ওর সাথে কথা বলার জন্য কেমন জানি মনটা ছটফট করছিল । ও ঠিক করে বলেও নি যে কয় তলায় থাকে । আর প্রত্যেক ফ্লাটে ফ্লাটে গিয়ে ওর খোজ করাটা অসম্ভব ।
দারোয়ানের কাছে খোজ নিতে গেলাম কিন্তু বেটা দারোয়ান নিহিনের নাম শুনে এমন অদ্ভুদ চোখে তাকাল যেন আমি কোন পাগলা গাঢ়দ থেকে ছুটে এসেছি ।
বিকেল থেকেই ছাদে ওর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি । আমার মন বলছিল যে ও ছাদে অবশ্যই আসবে । নিহিন এল সন্ধ্যার কিছু পরে । ঠিক গতকাল যে রকম সময় ওর সাথে আমার দেখা হয়েছিল ।
-তোমার ফোন বন্ধ কেন ?
নিহিন কিছু বলল না ।
-আমি সারা দিন ট্রাই করেছি । আর দারোয়ানের কাছে তোমার কথা জিজ্ঞেস করলাম । বেটা ওমন করে তাকাল কেন ?
নিহিনকে কেমন যেন একটু অসন্তুষ্ট মনে হল ।
-দারোয়ানকে আমার কথা জিজ্ঞেস করতে গেছ কেন ?
ওর কন্ঠস্বর শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না । এতে এতো রাগার কি আছে ! আমি বললাম
-জিজ্ঞেস করেছিতো কি হয়েছে ? এমন করে কেন কথা বলছ ? তোমার সাথে দেখা করতে ইচ্ছা হচ্ছিল আর তোমাকে ফোনেও পাচ্ছিলাম না । এটা কি অন্যায় হয়েছে ?
দেখলাম নিহিন মুহুর্তের মধ্যে নিজেকে সামলে নিল । বলল
-আচ্ছা সরি । আসলে আমি হুটহাট করে রেগে যাই প্লিজ তুমি কিছু মনে করো না ।
-আচ্ছা ।
-আমাকে ফোন করে পাবে না । আমি আমার ফোন সারাদিন বন্ধ করে রাখি ।
-কেন ?
-কারন আছে । আর আমার কথা কাউকে জিজ্ঞেস করার দরকার নাই ঠিক আছে । আমার সমস্যা হবে । তুমি কি চাও আমি বিপদে পড়ি ।
-না চাই না তো ।
-তাহলে আমার কথা আর কাউকে জিজ্ঞেস করবে না । প্রতিদিন এই সময় আমাদের দেখা হবে আর রাতে ফোনে কথা হবে কেমন ?
-আচ্ছা ।
তারপর থেকে আমাদের প্রতিদিন দেখা হত সন্ধ্যার পর । আর রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে তখন আমাদের কথা শুরু হয় । এভাবেই চলছে । ওর প্রতি এমন দুর্বল হয়ে পড়েছি ওকে ছাড়া কিচ্ছু ভাল লাগে না । যদিও এখনও ভালবাসি বলি নি তবে খুব শীঘ্রই ভালবাসি বলে ফেলবো । আর আমি নিজেও বুঝতে পারি নিহিনও আমাকে খুব ভালবাসে । নিহিনের কথা ভাবতে ভাবতেই ওর ফোন এসে হাজির ।
আমি খানিকটা অবাক হলাম । এখন বাসার কেউ ঘুমায় নি । ও তো এতো আগে ফোন দেয় না । ফোনটা রিসিভ করে খানিকটা অবাক অলাম ।
নিহিনের কন্ঠস্বর কেমন জানি ঠেকল ।
-কি হয়েছে ? এমন করছো কেন ?
ওপাশ থেকে এবার আমি কান্নার আওয়াজ পেলাম ।
-কি হয়েছে কাঁদছো কেন ?
নিহিন কাঁদতে কাঁদতেই বলল
-তুমি আমাকে ভুল বুঝবে না তো অপু ?
-আরে ভুল বুঝবো কেন ? কি হয়েছে বলবা তো ?
নিহিন এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলল
-আমার বোধহয় আর এখানে থাকা হবে না ।
আমি অবাক হলাম ।
-কেন ? একথা কেন বলছ ?
-অপু তোমাকে বলেছিলাম না যে আমার কথা তুমি কাউকে বলবা না ।
-মানে ?
-তুমি তোমার মাকে কেন বলেছ ?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না । নিহিন আবার বলল
-আচ্ছা যা হবার হয়েছে । আমার একটা কথা শুনবে ?
-বল
-আমাকে কখনও ভুল বুঝো না । যে যাই বলুক তুমি সব সময় মনে রেখো যে আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি । আমি কখনও তোমার কোন ক্ষতি করবো না ।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিহিন ফোন কেটে দিল । আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিলাম । কিন্তু ফোন বন্ধ ।
ঠিক এই সময়ই মা দরজা ধাক্কা দিল ।

(চলবে)
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×