“তুই কিন্তু কাজটা ঠিক করছি না” ।
কেবল পরোটা মুখে পুরেছি এমন সময় সুমি এসে আমার সামনে বসল । ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল যেন আমি খুব বড় কোন অপরাধ করে ফেলেছি ।
“মানুষকে এভাবে কষ্ট দেওয়া ঠিক না” । না চিবিয়েই পরোটাটা গিলে ফেললাম ।
“মানে কি” ?
“মানে তুই বুঝিস না” ?
আমি আর একটু পরোটা মুখে দিলাম । ডিমের মধ্যে মনে হয় একটু লবন বেশি হয়েছে ।
“আসলেই কাজটা ঠিক হয়নি” ।
সুমি বলল “হুম । কাজটা তুই ঠিক করিস নি” ।
“এই দোকানে নাস্তা করতে আসাটা ভুল হয়েছে । পরোটা টাও ঠিক মত ভাজতে পারে না এরা” ।
“অপু ফাজলামো করিস না । আমি এই ফালতু পরোটা নিয়ে কথা বলছি না” ।
“তাহলে” ?
“ তুই পৃথিলার সাথে এমন আচরন কেন করিস ? বেচারা তোর আচরনে কি পরিমান কষ্ট পায় তুই জানিস” ?
আমি কোন কথা বললাম না ।
“কি কথা বলছিস না কেন” ?
“কি বলব” ?
“অপু তুই খুব ভাল করে জানিস পৃথিলা কত ভাল একটা মেয়ে ? তুই ওর সাথে ওমন অচরন করিস কেন” ?
আমি খানিকটা সময় নিয়ে সুমির দিকে তাকালাম ।
“তোর সমস্যা কি” ?
সুমি বলল “মানে কি ? তুই পৃথিলার তরফদারি করছিস কেন” ?
“তরফদারি “??
“আমি অন্য একটা ওয়ার্ড ব্যবহার করতাম । করলাম না । আর আমি পৃথিলার সাথে কি এমন খারাপ ব্যবহার করলাম । আমি তো ওর সাথে কথাই বলি না” ।
সুমি বলল “তাই তো । তোর এই আচরনেই তো পৃথিলা কষ্ট পায় । তুই ওর সাথে কথা বলিস না কেন ? ওকে এভয়েড করিস কেন” ?
আমি হেসে ফেললাম ।
“এটা আমিও লক্ষ্য করেছি পৃথিলা আমাদের মাঝে আসলেই তুই সেখান থেকে চলে যাস । ওকে এভাবে এড়িয়ে চলিস কেন” ?
“এড়িয়ে চললাম কোথায় ? ও যখন আসে আমার তখন কাজ থাকে । এজন্য চলে যাই” ।
“শোন ভুগোল বোঝাবি না । পৃথিলা তোর ব্যবহারে কি পরিমান কষ্ট পায় তুই জানিস” ?
“শোন কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় কষ্ট পায় তাতে আমার কিছু করার নাই” ।
“না । কিছু একটা আছে । তুই ইচ্ছা করে এটা করছিস ? কেন করছিস” ?
কেন জানি মেজাজটা খারাপ হয়ে যায় । সুমি কে বলি “তুই পৃথিলাকে কবে থেকে চিনিস” ?
“এই ফাস্ট ইয়ার থেকে” ।
“তোর ঐ প্রানের ভাল বন্ধুটা জিঞ্জেস করিস যে সে আমাকে কবে থেকে চিনে । আর আমি তাকে এমন ব্যবহায় কেন করি তা সে খুব ভাল করে জানে । বুঝলি যা জানবি না তার জন্য দালালি করবি না” ।
ভেবেছিলাম ওয়ার্ডটা ব্যবহার কয়বো । রাগের জন্য মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল । নাস্তাটা ঠিক মত খেতে পারলাম না । বিল দিয়ে চলে এলাম ।
মেজাজটা খারাপ থেকে কেন জানি মনটা খারাপের দিকে গেল । সুমি যদি জানতো আমি কেন পৃথিলার সাথে এমন করি ? কেন ঐ মেয়েটাকে এড়িয়ে চলি ? কেন কষ্ট দিই যে পৃথিলাকে জীবণের প্রথম ভাল লেগেছিল কেন তাকে এড়িয় চলি । কাস ! সুমি জানতো !! কেউ যানে না ।
সবাই জানে পৃথিলার সাথে আমার এই খানে এসে দেখা । কিন্তু এটা সত্যি না । পৃথিলার সাথে আমার পরিচয় সেই কলেজ লেভেল থেকে । আমি তখন সবে মাত্র গ্রাম থেকে শহরে এসেছি । শহুরে হাবভাব বুঝি না । কেমন যেন এটা বেমানান একটা মানুষ । তবুও সবার সাথে মিশতাম । কোন বাছবিছা না । গ্রামে যেমনটা মিশতাম । এখানেও তাই । আসলে মানুষের না মিশলে আমার ঠিক মত পেতের ভাত হজম হত না ।
খেলা ধুলা পড়াশুনা আর সাথে ছিল পৃথিলার নামের মেয়েটি । পৃথিলাকে দেখার পর সত্যি করে আমি বুঝেছিলাম ভাল লাগা কাকে বলে ! কি চমত্কার দেখতে! কি চমত্কার ওর চোখ! নাক! হাসি ! সবকিছু যেন আমাকে পাগল করে রাখতো ।
প্রথম প্রথম শহরে এসে আমার একদম মন টিকতো না । ভাল লাগতো না । কিন্তু এখন সব ভাল লাগে । পৃথিলার কথা ভাবতে ভাবতে দিন চলে যায় । আর কিছু ভাবি না । এর মধ্যে হঠাত্ করেই পৃথিলার পরিচয় হয়ে যায় । পড়াশুনায় ভালই ছিলাম । ক্লাসে মোটামুটি সবাই ভাল ছাত্র হিসাবেই পরিচিত ছিলাম । একদিন স্যার একটা জটিল থিউরি বোঝালেন । ক্লাসের কেউই ঠিক মত বুঝতে পারলো না ।
ক্লাস ব্রেকের সময় পৃথিলা নিজেই এল আমার কাছে । আমি বই পড়ছিলাম মাথা নিচু ।
“অপু” ?
কন্ঠটা শুনেই বুকের মধ্যে ধড়ক করে উঠল । পৃথিলার কন্ঠ । আমি মাথা তুলে তাকালাম । আমার বুকের ভিতর তখন ঝড় আরাম্ভ হয়ে গেছে । পৃথিলা হাসল ।
“ব্যস্ত” ?
“না । কেন ? বল ...” কোন মতে বললাম ।
“না মানে স্যার আজ কি পড়াল কিছুতে বুঝি নি । একটু বোঝাবা” ? আমি মোটামুটি বুঝে ছিলাম । দুরু দুরু বুক নিয়ে ওকে বুঝিয়ে দিলাম ।
যাওয়ার সময় ও নিজেই আমার মোবাইল নাম্বর নিল ।
বলল “সময় অসময়ে তোমাকে বিরক্ত করবো কিন্তু” । বলে পৃথিলা হাসল । কথাটা শুনে আমার এতো ভাল লাগলো । মনটাই ভাল হয়ে গেল । অদ্ভুদ এক ভাল লাগা সারা মন জুড়ে বয়ে চলল ।
তারপর ও মাঝে মাঝে আমাকে ফোন দিত । আমিও টুকটাক ফোন দিতাম । ওর সাথে কথা বলতেও এতো ভাল লাগতো ! ক্লাসেও ওর সাথে দেখা হত । ও হাসতো আমাকে দেখে । কথা বলত । মনে হত জীবনে আর কিছু চাওয়ার নাই ।
তারপর .... একদিন রাত্রে বেলা । বেশ রাত । পৃথিলা ফোন দিলো । আমি ওর ফোন দেখে বেশ অবাক হলাম । এতো রাতে তো পৃথিলা কোন দিন ফোন দেয় না । ফোন রিসিভ করলাম ।
“হ্যালো” !
কোন ভূমিকা না করেই পৃথিলা বলল “তুমি তোমার বন্ধুদের কি বলেছ” ? ও কন্ঠটা বেশ কঠিন শোনাল ।
“কি বলেছি” ?
“আমাকে নিয়ে কি বলেছ” ?
“কই কিছু বলি নি তো” ।
“শোন অপু এতো নিরিহ সাজার চেষ্টা করবা না । তুমি না বললে ওরা জানল কি ভাবে ? তোমার কয়দিন কথা বলেছি বলে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি আমি ? নিজের চেহারা দেখেছ তুমি ? তোমাকে আমি সাবধান করে দিচ্ছি ফারদার তুমি আর আমাকে ফোন করবে না । আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ ও করবে না” ।
পৃথিলা ফোন রেখে দিল । আমি ঠিক বুঝলাম না ও এমন করলো কেন ? আমি তো কাউকে কিছু বলি নি । কেবল আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম যে পৃথিলার সাথে প্রায়ই কথা হয় ফোনে । আর কিছু বলি নি । মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল । ও এমন করে কেন বলল ?
ঘটনা এখানে শেষ হলে ভাল হত কিন্তু এখানেই শেষ হল না । পরদিন ক্লাস শেষে পৃথিলা সবাইকে একটু বসতে বলল কি একটা কথা বলবে । আমি খানিকটা অসস্থির মধ্যে পড়লাম ।
পৃথিলা সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলল “তোমাদের সবাই কে আজ একটা খ্যাতের গল্প বলার জন্য বসতে বলেছি । আমি খ্যাতের কাছে আমি একদিন একটা থিওরি বোঝার জন্য গিয়েছিলাম । তাই দেখে ওনার মনে হয়েছে আমি তার প্রেমে হাবুদুবু খাচ্ছি । সে মানুষের কাছে বলে বেড়িয়েছে আমি নাকি তাকে নিয়মিত ফোন করি । কথা বলার জন্য আকুপাকু করি । এখন তোমরা বল ঐ খ্যাত টা কি বলা উচিত্” ।
অনেকে বলল নামটা বল । একটু দেখি তাকে ।
পৃথিলা বলল “তাও যদি আমার লেভেলে সে থাকতো একটা কথা ছিল । ঐ খ্যাত ঠিক মত প্যান্ট পরতে না । শার্ট যেন না ,পাঞ্জাবীর মত লাগে । গা দিয়ে ...” পৃথিলা মুখ বিকৃত করল ।
আপনাআপনি আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে এল । আমি আমার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । ওর বলা প্রতিটি কথা যেন আমার কান দিয়ে ঢুকছিল না । আমার সব থেকে পছন্দের মানুষটা আমাকে এই ভাবে ছোট করল ? এই ভাবে অপমান করল ?
ঐ দিন খুব কেঁদে ছিলাম । নিজের উপর খুব ঘেন্না জন্মে ছিল । সেদিন প্রথম বারের মত নিজেকে বড় ছোট মনে হয়েছিল । তারপর থেকে আমি কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেই । কেবল পরীক্ষা গুলো দিতাম । আর ক্লাসের কারো সাথে দেখা করতাম না । মোবাইল নাম্বারও বদলে ফেলছিলাম ।
কলেজ শেষ করার পর আমি এখানে ভর্তি হই । আর অবাক হয়ে দেখি পৃথিলাও আমার সাবজেক্টেই ভর্তি হয়েছে । তারপরও কেটে গেছে আরো দুটো বছর । এই বছর গুলোতে আমার অনেক পরিবর্তন এসেছে । বলতে হয় আমি নিজে নিজে পরিবর্তন গুলো এনেছি । আমার নিজের একটা সার্কেল তৈরি হয়েছে । আজ আমাকে মানুষ আর যাই বলুক গ্রামের খ্যাত অন্তত বলতে পারবে না ।
ভার্সিটির প্রথম থেকেই একটা ব্যাপার আমি দেখতাম পৃথিলা আমার সাথে কথা বলতে চাইতো । কিন্তু আমি ওকে এড়িয়ে চলতাম । আস্তে আস্তে পৃথিলা আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে ঢুকে পড়ল । তবুও ওকে আমি সব সময় এড়িয়েই চলি ।
রাত্র সুমি ফোন দিল । ওর উপর মেজাজটা খারাপ ছিল এমনিতে । ভেবেছিলাম ফোনটা ধরবো না । তবুও ধরলাম । “তুই কি খুব রেগে আছিস” ?
“না বল” ।
“অপু পৃথিলা আমাকে সব বলেছে” । আমি কোন কথা বললাম না ।
“ওটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল” ।
“শোন সুমি আমার ফ্রেন্ড না পৃথিলার ফ্রেন্ড” ?
“আমি দুজনেরই ফ্রেন্ড” ।
“তাহলে থাক তুই ঐ ফেন্ড নিয়ে । তুই ওকে নিয়ে বা ওর কোন কথা আমাকে আর বলবি না । মনে থাকবে” ।
“শোন না একবার কথাটা ....”
“তুই শোন আমার কথা । আমি যা বললাম দ্বিতীয় বার আমি আর বলব না । এখন রাখি । কথা বলতে ভাল লাগছে না” ।
ফোন রাখার পরেও কেন জানি মনটা খারাপই হয়ে গেল । একটুপর এক আননোন নাম্বর থেকে ফোন আসল । আমি মোটামুটি সিওর যে ফোনটা পৃথিলাই করেছে । ধরবো না ধরবো না করেও ধরলাম ফোন টা ।
প্রথমে কিছুক্ষন কথা বলল না কেউ ই ।
“ভাল আছো অপু” ?
“কেন ফোন করেছ” ?
“আমাকে কিছু বলার সুযোগ দাও প্লিজ” ।
কঠিন কিছু বলতে গিয়েও কেন জানি বলতে পারলাম না ।
পৃথিলা বলল “আমি অনেক পরে জেনেছিলাম যে তুমি কিছু বলনি । আমার কি যে খারাপ লাগছিল তোমার সাথে ওমন ব্যবহার করার জন্য । আমি যতবার তোমাকে দেখতাম মনের মধ্যে কি যে একটা অপরাধ বোধ কাজ করতো ! তোমার সাথে কথা বলতে চেয়েছি । কিন্তু তুমি আমাকে সুযোগ দাও নি” । পৃথিলা থামলো কিছুক্ষন ।
তারপর বলল “প্লিজ কিছু বল অপু” ।
“শোন এসব কথা বলে আর এখন কোন লাভ নাই” ।
“অপু প্লিজ । আমার কথা টা একটু শোন” !
“পৃথিলা তুমি যদি ঐ দিনকার কথা কেবল ফোন পর্যন্ত রাখতে আমার এতো কষ্ট হত না । যে কারো রাগ হতে পারে এটা ছিল সাভাবিক । কিন্তু ঐ দিনকে তুমি ক্লাসে ..... কি বলে ছিলে মনে আছে ? আমার প্রতিটা কথা মনে আছে । মনে থাকবে । ঐ দিনকার কথা আমি কোন দিন ভুলতে পারবো না । ঐ দিন কার পর নিজের কাছে আমি নিজে কত ছোট হয়ে গেছি তুমি জানো ? আমি কোন দিন তুমি যাকে আমি সব থেকে বেশি পছন্দ করতাম সেই তুমি আমার সাথে এমন একটা আচরন করতে পারো । তাও আবার সবার সামনে । এতোটা হিউমুলেটেড আমি কথনও নি । আই এম সরি পৃথিলা । আমি কোনদিন এটা ভুলতে পারবো না । আমি রাখি” ।
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!
অপেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....
আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....
২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=
বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি
আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।
সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন