২য় পর্ব
তারপর আমাদের দেখা হতে থাকে নিয়োমিত । কথা হত দিনের পর দিন । রাতের পর রাত । একটা দিনও নেই যে আমরা দেখা করি নি । এমন একটা রাত নেই যে আমরা ফোনে কথা বলি নি ।
এক দিনের কথা । প্রায় ২ টা পর্যন্ত কথা বলে ফোন রেখেছি । ঘুমিয়েছি ।
আবার ফোন । সময় দেখলাম সাড়ে তিন টা ।
“কি হল ?”
“ বিরক্ত করলাম ?”
“ না বল ।“
“ আমার ঘুম অসছে না । আমার সাথে জেগে থাকবে ?”
তারপর সারা রাত ওর সাথে কথা বলি । কি চমৎকার দিনই ছিল সেগুলো ।
সপ্তা খানেক আগেও আমাদের এরকম দিন গেছে । আমি তো লিয়ানাকে আমি আমার গার্ল ফ্রেন্ডই ভাবা আরাম্ভ করলাম । কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গল যখন ও সেদিন বলল ওর বিয়ের কথা ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই । বলল “তুমি আমার সব থেকে ভাল বন্ধু । এখন তুমি আমাকে বল আমি কি করবো ?”
আমি আর কিছু বলতে পারি না । এতো একসাথে থাকা । এতো কথা বলা । এতো গল্প করা । শুধুই কি বন্ধু ? ?
এই পুকুর পারে বসে এই কথা ভাবছি ।
এমন সময় পিছন থেকে লিয়ানার কথা শুনলাম ।
মনে হল যেন !
কিন্তু ও কোথা থেকে আসবে ! ওর না আজ গায়ে হলুদ । আমার কথা কি ওর মনে আছে ?
“এই ইডিয়েট কথা কার ! কথা শুনছো না কেন ?”
এবার আমি সত্যি সত্যি যেন শুনলাম । পিছন ফিরে তাকালাম ।
আমি স্বপ্ন দেখছিনাতো ? সত্যি তো ! লিয়ানাই আসছে এগিয়ে । পরনে হলুদের শাড়ি ।
আমার কাছে এসে বলল “ মোবাইল ফোন বন্ধ কেন তোমার ? ইডিয়েট । কতবার তোমাকে ফোন দিয়েছি তোমাকে তুমি জানো ?”
আমি কিছু বুঝতে পারছি লাম না ।
“তোমার না গায়ে হলুদ আজ । তুমি এখানে কেন ?”
“ আমি পালিয়েছি । বিউটি পার্লার থেকে ।“
“ কেন ?”
এই প্রশ্ন যদিও করার ঠিক হয় নি । মনে হল ও রেগে যাবে । ও রাগল না । আমার পাশে এসে বসল ।
“আমি জানি না কেন এলাম । কিন্তু তোমাকে যখন থেকে মোবাইলে পাচ্ছিলাম না তখন থেকে মনে হচ্ছিল কি যেন নেই আমার কাছে । কি যেন ঠিক হচ্ছে না । তোমার প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভর করছিলাম । জানো কাল সারা রাত আমি তোমাকে ফোন দিয়েছি । প্রত্যেকবার বন্ধ । তুমি ফোন কেন অফ করে রেখেছ বল ?”
“ আমি জানি না । আমার কিছু ভাল লাগছিল না ।“
“ দেখেছ তুমিও ফিল করেছ । তুমি ফিল করেছ এটা । তাহলে বল নি কেন আমাকে ?”
আমি লিয়ানার দিকে তাকাই । হলুদের শাড়িতে ওকে কি সুন্দরই না লাগছে ।
“লিয়ানা সব কিছু বলে দিতে হয় ? কিছু কথা বুঝে নিতে হয় ।“
লিয়ানা কিছু বলল না । আমার আরো একটু কাছে এসে বসল । তারপর আমার হাত ধরে বলল “তুমি সব সময় আমার পাশে থাকতে এই জন্য তোমাকে হারানোর কথা মনে আসে নি কখনও । এখন আমি বুঝেছি ।সব কিছু ।“
কতক্ষন বসে থাকলাম ।
“এখন কি করবে ?”
“ জানি না ।“
“ বিয়ে করবে না ?”
লিয়ানা খানিকটা বিরক্ত হল । “বিয়ে করলে আমি পালিয়ে আসতাম ?”
“ আরে বাবা আমাকে বিয়ে করবা না ?”
ও কিছু বলল না । হাসল কেবল । ওর হাসি দেখে ভাল লাগলো । যে প্রিয় জিনিসটা হারিয়ে গিয়েছিল , তা আবার ফিরে আসেছে । এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে । ওকে নিয়ে উঠে পড়ি । কাজী অফিসটা কত দুর কে জানে !
(সমাপ্ত)তারপর আমাদের দেখা হতে থাকে নিয়োমিত । কথা হত দিনের পর দিন । রাতের পর রাত । একটা দিনও নেই যে আমরা দেখা করি নি । এমন একটা রাত নেই যে আমরা ফোনে কথা বলি নি ।
এক দিনের কথা । প্রায় ২ টা পর্যন্ত কথা বলে ফোন রেখেছি । ঘুমিয়েছি ।
আবার ফোন । সময় দেখলাম সাড়ে তিন টা ।
“কি হল ?”
“ বিরক্ত করলাম ?”
“ না বল ।“
“ আমার ঘুম অসছে না । আমার সাথে জেগে থাকবে ?”
তারপর সারা রাত ওর সাথে কথা বলি । কি চমৎকার দিনই ছিল সেগুলো ।
সপ্তা খানেক আগেও আমাদের এরকম দিন গেছে । আমি তো লিয়ানাকে আমি আমার গার্ল ফ্রেন্ডই ভাবা আরাম্ভ করলাম । কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গল যখন ও সেদিন বলল ওর বিয়ের কথা ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই । বলল “তুমি আমার সব থেকে ভাল বন্ধু । এখন তুমি আমাকে বল আমি কি করবো ?”
আমি আর কিছু বলতে পারি না । এতো একসাথে থাকা । এতো কথা বলা । এতো গল্প করা । শুধুই কি বন্ধু ? ?
এই পুকুর পারে বসে এই কথা ভাবছি ।
এমন সময় পিছন থেকে লিয়ানার কথা শুনলাম ।
মনে হল যেন !
কিন্তু ও কোথা থেকে আসবে ! ওর না আজ গায়ে হলুদ । আমার কথা কি ওর মনে আছে ?
“এই ইডিয়েট কথা কার ! কথা শুনছো না কেন ?”
এবার আমি সত্যি সত্যি যেন শুনলাম । পিছন ফিরে তাকালাম ।
আমি স্বপ্ন দেখছিনাতো ? সত্যি তো ! লিয়ানাই আসছে এগিয়ে । পরনে হলুদের শাড়ি ।
আমার কাছে এসে বলল “ মোবাইল ফোন বন্ধ কেন তোমার ? ইডিয়েট । কতবার তোমাকে ফোন দিয়েছি তোমাকে তুমি জানো ?”
আমি কিছু বুঝতে পারছি লাম না ।
“তোমার না গায়ে হলুদ আজ । তুমি এখানে কেন ?”
“ আমি পালিয়েছি । বিউটি পার্লার থেকে ।“
“ কেন ?”
এই প্রশ্ন যদিও করার ঠিক হয় নি । মনে হল ও রেগে যাবে । ও রাগল না । আমার পাশে এসে বসল ।
“আমি জানি না কেন এলাম । কিন্তু তোমাকে যখন থেকে মোবাইলে পাচ্ছিলাম না তখন থেকে মনে হচ্ছিল কি যেন নেই আমার কাছে । কি যেন ঠিক হচ্ছে না । তোমার প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভর করছিলাম । জানো কাল সারা রাত আমি তোমাকে ফোন দিয়েছি । প্রত্যেকবার বন্ধ । তুমি ফোন কেন অফ করে রেখেছ বল ?”
“ আমি জানি না । আমার কিছু ভাল লাগছিল না ।“
“ দেখেছ তুমিও ফিল করেছ । তুমি ফিল করেছ এটা । তাহলে বল নি কেন আমাকে ?”
আমি লিয়ানার দিকে তাকাই । হলুদের শাড়িতে ওকে কি সুন্দরই না লাগছে ।
“লিয়ানা সব কিছু বলে দিতে হয় ? কিছু কথা বুঝে নিতে হয় ।“
লিয়ানা কিছু বলল না । আমার আরো একটু কাছে এসে বসল । তারপর আমার হাত ধরে বলল “তুমি সব সময় আমার পাশে থাকতে এই জন্য তোমাকে হারানোর কথা মনে আসে নি কখনও । এখন আমি বুঝেছি ।সব কিছু ।“
কতক্ষন বসে থাকলাম ।
“এখন কি করবে ?”
“ জানি না ।“
“ বিয়ে করবে না ?”
লিয়ানা খানিকটা বিরক্ত হল । “বিয়ে করলে আমি পালিয়ে আসতাম ?”
“ আরে বাবা আমাকে বিয়ে করবা না ?”
ও কিছু বলল না । হাসল কেবল । ওর হাসি দেখে ভাল লাগলো । যে প্রিয় জিনিসটা হারিয়ে গিয়েছিল , তা আবার ফিরে আসেছে । এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে । ওকে নিয়ে উঠে পড়ি । কাজী অফিসটা কত দুর কে জানে !
(সমাপ্ত)