somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বলা হয়নি ভালবাসি (শেষ পর্ব)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব
২য় পর্ব

তারপর আমাদের দেখা হতে থাকে নিয়োমিত । কথা হত দিনের পর দিন । রাতের পর রাত । একটা দিনও নেই যে আমরা দেখা করি নি । এমন একটা রাত নেই যে আমরা ফোনে কথা বলি নি ।
এক দিনের কথা । প্রায় ২ টা পর্যন্ত কথা বলে ফোন রেখেছি । ঘুমিয়েছি ।
আবার ফোন । সময় দেখলাম সাড়ে তিন টা ।
“কি হল ?”
“ বিরক্ত করলাম ?”
“ না বল ।“
“ আমার ঘুম অসছে না । আমার সাথে জেগে থাকবে ?”
তারপর সারা রাত ওর সাথে কথা বলি । কি চমৎকার দিনই ছিল সেগুলো ।
সপ্তা খানেক আগেও আমাদের এরকম দিন গেছে । আমি তো লিয়ানাকে আমি আমার গার্ল ফ্রেন্ডই ভাবা আরাম্ভ করলাম । কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গল যখন ও সেদিন বলল ওর বিয়ের কথা ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই । বলল “তুমি আমার সব থেকে ভাল বন্ধু । এখন তুমি আমাকে বল আমি কি করবো ?”
আমি আর কিছু বলতে পারি না । এতো একসাথে থাকা । এতো কথা বলা । এতো গল্প করা । শুধুই কি বন্ধু ? ?
এই পুকুর পারে বসে এই কথা ভাবছি ।
এমন সময় পিছন থেকে লিয়ানার কথা শুনলাম ।
মনে হল যেন !
কিন্তু ও কোথা থেকে আসবে ! ওর না আজ গায়ে হলুদ । আমার কথা কি ওর মনে আছে ?
“এই ইডিয়েট কথা কার ! কথা শুনছো না কেন ?”
এবার আমি সত্যি সত্যি যেন শুনলাম । পিছন ফিরে তাকালাম ।
আমি স্বপ্ন দেখছিনাতো ? সত্যি তো ! লিয়ানাই আসছে এগিয়ে । পরনে হলুদের শাড়ি ।
আমার কাছে এসে বলল “ মোবাইল ফোন বন্ধ কেন তোমার ? ইডিয়েট । কতবার তোমাকে ফোন দিয়েছি তোমাকে তুমি জানো ?”
আমি কিছু বুঝতে পারছি লাম না ।
“তোমার না গায়ে হলুদ আজ । তুমি এখানে কেন ?”
“ আমি পালিয়েছি । বিউটি পার্লার থেকে ।“
“ কেন ?”
এই প্রশ্ন যদিও করার ঠিক হয় নি । মনে হল ও রেগে যাবে । ও রাগল না । আমার পাশে এসে বসল ।
“আমি জানি না কেন এলাম । কিন্তু তোমাকে যখন থেকে মোবাইলে পাচ্ছিলাম না তখন থেকে মনে হচ্ছিল কি যেন নেই আমার কাছে । কি যেন ঠিক হচ্ছে না । তোমার প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভর করছিলাম । জানো কাল সারা রাত আমি তোমাকে ফোন দিয়েছি । প্রত্যেকবার বন্ধ । তুমি ফোন কেন অফ করে রেখেছ বল ?”
“ আমি জানি না । আমার কিছু ভাল লাগছিল না ।“
“ দেখেছ তুমিও ফিল করেছ । তুমি ফিল করেছ এটা । তাহলে বল নি কেন আমাকে ?”
আমি লিয়ানার দিকে তাকাই । হলুদের শাড়িতে ওকে কি সুন্দরই না লাগছে ।
“লিয়ানা সব কিছু বলে দিতে হয় ? কিছু কথা বুঝে নিতে হয় ।“
লিয়ানা কিছু বলল না । আমার আরো একটু কাছে এসে বসল । তারপর আমার হাত ধরে বলল “তুমি সব সময় আমার পাশে থাকতে এই জন্য তোমাকে হারানোর কথা মনে আসে নি কখনও । এখন আমি বুঝেছি ।সব কিছু ।“
কতক্ষন বসে থাকলাম ।
“এখন কি করবে ?”
“ জানি না ।“
“ বিয়ে করবে না ?”
লিয়ানা খানিকটা বিরক্ত হল । “বিয়ে করলে আমি পালিয়ে আসতাম ?”
“ আরে বাবা আমাকে বিয়ে করবা না ?”
ও কিছু বলল না । হাসল কেবল । ওর হাসি দেখে ভাল লাগলো । যে প্রিয় জিনিসটা হারিয়ে গিয়েছিল , তা আবার ফিরে আসেছে । এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে । ওকে নিয়ে উঠে পড়ি । কাজী অফিসটা কত দুর কে জানে !
(সমাপ্ত)তারপর আমাদের দেখা হতে থাকে নিয়োমিত । কথা হত দিনের পর দিন । রাতের পর রাত । একটা দিনও নেই যে আমরা দেখা করি নি । এমন একটা রাত নেই যে আমরা ফোনে কথা বলি নি ।
এক দিনের কথা । প্রায় ২ টা পর্যন্ত কথা বলে ফোন রেখেছি । ঘুমিয়েছি ।
আবার ফোন । সময় দেখলাম সাড়ে তিন টা ।
“কি হল ?”
“ বিরক্ত করলাম ?”
“ না বল ।“
“ আমার ঘুম অসছে না । আমার সাথে জেগে থাকবে ?”
তারপর সারা রাত ওর সাথে কথা বলি । কি চমৎকার দিনই ছিল সেগুলো ।
সপ্তা খানেক আগেও আমাদের এরকম দিন গেছে । আমি তো লিয়ানাকে আমি আমার গার্ল ফ্রেন্ডই ভাবা আরাম্ভ করলাম । কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গল যখন ও সেদিন বলল ওর বিয়ের কথা ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই । বলল “তুমি আমার সব থেকে ভাল বন্ধু । এখন তুমি আমাকে বল আমি কি করবো ?”
আমি আর কিছু বলতে পারি না । এতো একসাথে থাকা । এতো কথা বলা । এতো গল্প করা । শুধুই কি বন্ধু ? ?
এই পুকুর পারে বসে এই কথা ভাবছি ।
এমন সময় পিছন থেকে লিয়ানার কথা শুনলাম ।
মনে হল যেন !
কিন্তু ও কোথা থেকে আসবে ! ওর না আজ গায়ে হলুদ । আমার কথা কি ওর মনে আছে ?
“এই ইডিয়েট কথা কার ! কথা শুনছো না কেন ?”
এবার আমি সত্যি সত্যি যেন শুনলাম । পিছন ফিরে তাকালাম ।
আমি স্বপ্ন দেখছিনাতো ? সত্যি তো ! লিয়ানাই আসছে এগিয়ে । পরনে হলুদের শাড়ি ।
আমার কাছে এসে বলল “ মোবাইল ফোন বন্ধ কেন তোমার ? ইডিয়েট । কতবার তোমাকে ফোন দিয়েছি তোমাকে তুমি জানো ?”
আমি কিছু বুঝতে পারছি লাম না ।
“তোমার না গায়ে হলুদ আজ । তুমি এখানে কেন ?”
“ আমি পালিয়েছি । বিউটি পার্লার থেকে ।“
“ কেন ?”
এই প্রশ্ন যদিও করার ঠিক হয় নি । মনে হল ও রেগে যাবে । ও রাগল না । আমার পাশে এসে বসল ।
“আমি জানি না কেন এলাম । কিন্তু তোমাকে যখন থেকে মোবাইলে পাচ্ছিলাম না তখন থেকে মনে হচ্ছিল কি যেন নেই আমার কাছে । কি যেন ঠিক হচ্ছে না । তোমার প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভর করছিলাম । জানো কাল সারা রাত আমি তোমাকে ফোন দিয়েছি । প্রত্যেকবার বন্ধ । তুমি ফোন কেন অফ করে রেখেছ বল ?”
“ আমি জানি না । আমার কিছু ভাল লাগছিল না ।“
“ দেখেছ তুমিও ফিল করেছ । তুমি ফিল করেছ এটা । তাহলে বল নি কেন আমাকে ?”
আমি লিয়ানার দিকে তাকাই । হলুদের শাড়িতে ওকে কি সুন্দরই না লাগছে ।
“লিয়ানা সব কিছু বলে দিতে হয় ? কিছু কথা বুঝে নিতে হয় ।“
লিয়ানা কিছু বলল না । আমার আরো একটু কাছে এসে বসল । তারপর আমার হাত ধরে বলল “তুমি সব সময় আমার পাশে থাকতে এই জন্য তোমাকে হারানোর কথা মনে আসে নি কখনও । এখন আমি বুঝেছি ।সব কিছু ।“
কতক্ষন বসে থাকলাম ।
“এখন কি করবে ?”
“ জানি না ।“
“ বিয়ে করবে না ?”
লিয়ানা খানিকটা বিরক্ত হল । “বিয়ে করলে আমি পালিয়ে আসতাম ?”
“ আরে বাবা আমাকে বিয়ে করবা না ?”
ও কিছু বলল না । হাসল কেবল । ওর হাসি দেখে ভাল লাগলো । যে প্রিয় জিনিসটা হারিয়ে গিয়েছিল , তা আবার ফিরে আসেছে । এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে । ওকে নিয়ে উঠে পড়ি । কাজী অফিসটা কত দুর কে জানে !
(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×