করুনা করে হলেও চিঠি দিও
খামে ভরে তুলে দিও
আঙ্গুলের মিহিন সেলাই।
ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশী হলে কেটে ফেলো
তাও
একটু সামান্য দাবী চিঠি দিও
তোমার শাড়ির মত
অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি
চুলের মত কোন চিহ্ন দিও,
বিষ্ময় বোঝাতে যদি চাও
সমুদ্র বোঝাতে চাও, মেঘ চাও,
ফুল, পাখি, সবুজ পাহাড়
বর্ননা আলস্য লাগে
তোমার চোখের মত চিহ্ন দিও, কিছু
আজো তো অমল চিঠি চাই,
পথ চেয়ে আছি
আসবেন অচেনা রাজার লোক
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌছে দেবে।
এককোনে শীতের শিশির দিও একফোঁটা,
সেন্টের শিশির চেয়ে
তৃনমূল থেকে তোলা ঘ্রান
এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দেই
লিখো তোমার কুশল।
ওইতো রাজার লোক যায়,
ক্যাম্বিসের জুতো পায়,
কাঁধে ব্যাগ, হাতে কাগজের একগুচ্ছ
সীজন ফ্লাওয়ার ।
কারো কৃষ্ণচূড়া, কারো উদাসীন উইলোর ঝোপ,
কারো নিবিড় বকুল।
ওর কিছুই আমার নয়,
আমি অকারন হাওয়ায় চিৎকার
তুলে বলি,
আমার কি কোন কিছুই নাই?
করুনা করে হলেও চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে,
ভুল করে একখানি চিঠি দিও খামে
কিছুই লেখার নেই, তবু লিখো
একটি পাখির শিশ
একটি ফুলের ছোট নাম
টুকিটাকি হয়ত হারিয়ে গেছে কিছু,
হয়ত পাওনি খুঁজে,
সেইসব চুপচাপ কোন দুপুর বেলার গল্প
খুব মেঘ করে এলে,
কখনো কখনো বড় একা লাগে,
তাই লিখো
করুনা করে হলেও চিঠি দিও,
মিথ্যে করে হলেও বলো,
'ভালোবাসি'।
--মহাদেব সাহা
বলেছিলে চিঠি দিও , চিঠি দেই নাই
তোমাকে না- লেখা চিঠি প্রত্যহ পাঠাই!
তুমি কি পাও না তবে , বোঝো না কি ভাষা,
লেখা কি অস্পস্ট খুবই! কিন্তু ভালবাসা?
তাও কি যায় না পড়া? বানাব কি ভুল?
নদী বয় পাখি গায় তবু ফোটে ফুল!
তুমি কি এতোই দূরে এসব স্মৃতি
তোমাকে দেয় না কভু অনন্ত উদ্ধৃতি?
লোকে বলে মৃত তুমি আমি দেখি নাই
আমার না দেখা দিয়ে তোমাকে সাজাই
বন্ধু প্রিয়, জীবনের সংগী প্রতিদিন,
আমাদের কোনো স্মৃতি হয়নি মলিন।
তোমার রুপালি মুদ্রা রেখে গেছো জমা
তাতে যত জল ঢালি জন্ম নেয় ক্ষমা
প্রেম সুরভিত হয়; উদ্যানে উদ্ভিত
মেঘ নামে, র্বষা হয়, ফইরে আসে শীত!
তোমাকে যে চিঠি লিখি রাত্রি তার খাম
আকাশ রঙিন প্যাড তাতে লিখি নাম।
মহাদেব সাহা
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭