***যারা এই ফাউল পোস্টটি কষ্ট করিয়া পড়িবেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হইলো এই গল্প থেকে আমরা কি শিখতে পারলাম।
বেশকিছু দিন আগের কার কতা। ছুডু এক পরিবার। বাবা-মা আর এক কিউট বাচ্চা নিয়া সুকের সংসার। সেদিনও বাবা নিয়মকারমত আপিসে যাইবার সুময় বাবুটাকে নিয়া স্কুলে নামায় দিল। স্কুলের ক্লাস চলেছে। ড্রয়িং ক্লাস। চিটার ওহ চরি টিচার সব্বাইকে চেরী ফলের ছবি আকতে কইলো। সবাই আকলো। সেই বাবুটাও। তারপর দেখাইলো টিচারকে। টিচার ছবি দেইখা বাবুটাকে থাপ্পড় লাগাইয়া ক্লাস থেইকা বাইর কইরা দিল। বাবুটা তখন বারান্দায় দাড়াইয়া কাদঁতে আচিল। স্কুলের ম্যাডাম দেইখ্যা জিগাইল তারে কেন কাদেঁ। তখন সে কারন উল্লেখ করিয়া ছবিটা দেখাইল। ম্যাডাম আরো একটা চড় লাগায়া তারে স্কুল থেকেই বের করে দিলো। বাবুটা কাদঁতে কাদঁতে বাসায় চলে আসলো। তখন বাবুটার আম্মু জিগ্গাস করল কেন কাদঁছে। কারন উল্লেখ পূর্বক ছবিটা দেখাইয়া সে আরও একটা চড় খাইয়া বাসার গেটে দাড়াইয়া ক্রন্দন করতে লাগলো। শেষ বিকেলে বাবা বাসায় ফিরে দেখলো বাবুটা গেটে দাড়িয়ে কাদছে। আদর করে তাকে জিগ্গেস করল, "কি হয়েছে সোনামনি কাদঁছো কেন?"
বাবুটা বলল, আব্বু ক্লাসে টিচার আমাকে চেরী ফলের ছবি আকতে দিয়েছিল। আমি একে তাকে দেখালে সে আমাকে চড় মেরে ক্লাস থেকে বের করে দেয়। তারপর ম্যাডাম ছবিটা দেখে আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়। বাসায় আসলে আম্মুকে ছবিটা দেখাই। আম্মুও আমাকে মারে। বাবা তখন বলে, দেখি কি এমন একেছো যে সবাই রাগ করছে। বাবা বাবুটার চেরী ফলের ছবি দেখে আরও একটা চড় মারে এবং বাসা থেকে বের করে দেয়।
চরমভাবে হতবাক হয়ে বাবুটা পার্কের একটি বেন্চিতে বসিয়া কাদিঁতে লাগিলো। ক্রমে রাত নামিয়া আসিলো এবং বাবুটা টহল পুলিসের হাতে পড়িলো। পুলিশ বাবুটার কাহীনি শুনিলো এবং দুঃখ পাইল। তারপর ছবিটা দেখিতে চাইল। ছবি দেখিয়া পুলিশ বাবুটাকে চড় মারিল না। একেবারে জেলহাজতে নিয়া পুরিয়া রাখিল।
এক এক করে বিশটি বছর কাটিয়া গেল জেল হাজতে। ছোট্ট বাবু থেকে সে এখন যুবক। তখন সে ছাড়া পাইল। সেই ছবিটা হাতে করিয়া তাহার পুরোনো স্কুলে গেল। স্কুল গেটের কাছে এক পিচ্চি বাবুকে পাইয়া সে তার আঁকা ছবিটা দেখাইয়া বলিল, আচ্ছা বলতো এটা কিসের ছবি ? তখন সে উত্তর পাইল , "এইটাতো আমার খুব প্রিয় জিনিস, আমি খাইতে খু্বই পছন্দ করি। এইটা হইলো চেরী ফলের ছবি।
তখন সে ভাবিল আমিতো ঠিকই আকিয়াছি। তাহা হইলে আমাকে এই বিশটি বছর ধরিয়া কেন অন্যায় অত্যাচার সহিতে হইলো। সে তার বাবা-মাকে জি্গ্গেস করবে এই উদ্দেশ্যে বাসার পথে হাটিতে লাগিল। এবং অন্যমনস্ক ভাবে রাস্তা পার হইতে গিয়া গাড়ি চাপায় মারা পড়িয়া দুঃখজনক একটি জীবনের ইতি টানিল।
ডিসকো-লেইমার ... আমি আগেই কহিয়া দিছি এইটা পুরাডাই বেহুদা পুষ্ট। কেউ আমার উপর মাইন্ড খাইয়েন। রোজা দিনে মাইন্ড খাইলে রোজা ছুইড্ডা যাইতে পারে।
>>>>ওকে, আপনাগো খাটাখাটনি করাইয়া লাভ নাই। কইয়াই দেই।
*** এই গল্প থেকে শিখতে পারি যে রাস্তা পার হইবার সময় অথবা রাস্তায় চলাচল করার সময় দেইখা শুইনা চলন লাগে। নইলে জীবনের অনেক স্বপ্ন লইয়া সড়ক দূর্ঘটনার খবর হইতে হইবো পত্রিকার পাতায়। সুতরাং রাস্তায় চলাচলের সময় সাবধানে চলাচল করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪৯