পীর শব্দটা এই সময়ে আসিয়া আমরার কাছে বড়ই বিরক্তিকর ঠেকছে। নাদান নাদান টাইপ। তো আমার চেনা কিছু পাবলিক (ভাইরে পাবলিকের কোন নীতি নাই, গল্পটা শুনছেননি) এই রকম এক পীরের (নারকেলের নাকি সুপারীর পীর তা আমি জানি না) দরবারে সবডি প্রতি বুধ বার যায় খাওনের লাইগা। ওরা জানে আমি জামুনা, তারপরও ক্ষেপানোর জন্য প্রত্যেকবারই বলে, ওরে শুইটকা চল বাবার দরবারের তন পেটে কিছু দোয়া নিয়া আয়। তহন দেহিছ মোডাই মোডা তরে তহন বাঁশ দিই বেড়া দেউন লাগবো। এই কতা হুনলেই আমার কেন জানি খাবার এর প্রতিই আস্থা উইটটা যায়। যাউক হেই কতা। ইদানিং দেহি যারা বাবার দরবার শরীফে যায় না তারাও আমারে কয়, চল কুতুববাগীর তন বিরানী খায়া আই। আই কই তুমার মন চায় তো বেডা তুমি যাও, আমারে ডাহ কিয়ের লাইগা। আবার আইয়া হেইডার সাঙ্গপাঙ্গ ডিনে কয়, কি মিছই না তুই কইল্লিরে গর্দভ। আহা বিনা পয়সায় বিরিনির স্বাদই অন্যরহম।
তো এরুম করিই চইলতে লাগলো। যেইডারে আমি হবার চাই ভালা পাই হেইডাও হুনি হেদিন কয়, চলরে কুতুববাগীর তুন মোঘলাই খাইয়া আই। মিজাজটা বিল্লা হযয়া গেলো। এই বাগী হুনতে হুনতে কানঝালা পালা । তাই মনে মনে খেয়াল করলাম যাই দেহি কি আছে ঐ বাগীর দরবারে। ওমা আমারে যেডার সামনে নিল, ঐডার সামনে বড় কইরা লেখা “ক্যাফে কুতুববাগী”। ভিতরে উকি দিয়া দেকি মাইয়া পোলার আয়েসে নানান পদের রস আস্বাদ করতাছে। দুককে তো মুইর কইজ্যা ভাঙগি গেলু।“ রে পাষন্ড কুতুববাগী তুইর কাচে এমুন কি অইননায় করচি যে মুইর লগে এত অবিচার করলি।” আমার কন্জুস বল্টু গুলা পরযন্ত খাবাইতে চাইছিলো , আর আমি একমাত্তর তোর কতা বাবি দাওয়াত গুলা প্রত্তাককান কইরলাম। হেই স্বাদের খাবারের বদলে আমারে খালি ধরা খাওয়াইলি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৪২