somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ডিজিটাল ধ্যান ও কোটি কোটি গাধা দেখা!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুপ্রিয় বন্ধু/বান্ধবীরা। আজ একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে। আপনাদের কাছে কিছু সময় ও গভীর মনোযোগ চাচ্ছি। আমরা আজ একটি সাধনা করবো।

সর্ব প্রথম আপনি নীরব স্থান বেছে নিন। যাতে করে কোন অপ্রয়োজনীয় শব্দ আপনার ধ্যান ভাংতে না পারে।
এবার নিজের মত করে সহজ হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ করে নিন [আপাতত খোলা রাখুন, না হয় পড়বেন কেমনে?]।

এবার আ...স্তে আ...স্তে দম ভেতরে নিন। আ...স্তে আ...স্তে দম ছাড়ুন।

আর ভাবতে থাকুন আপনি একজন মানুষ শুধুই বাংলাদেশী মানুষ। আপনি কোন ধর্মের অনুসারী না।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এখন আমরা ধ্যানের গভীরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
১.....
২.....
৩.....

ভাবতে থাকুন আমরা একটি পরাধীন দেশের বাসিন্দা। আমরা প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হচ্ছি!

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার নিজেকে নিয়ে চলুন একটি ঘুমন্ত শহরে। আপনি ও ঘুমাচ্ছেন। হঠাত্‍ গোলাগুলির শব্দে আপনার ঘুম ভাংলো! শহরের চারিদিকে আগুন আর আগুন। মানুষজন দিকবিদিক পালাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য। বাবার সাথে ছেলে মায়ের সাথে মেয়ে। যুবক বৃদ্ধ নারী পুরুষ শিশু কিশোর সবাই! আপনিও তাদের একজন। অন্য সবার মত আপনি ও ভয়ে অস্থির।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার কল্পনা করুন কিভাবে একদল হায়েনা ঝাপিয়ে পড়ছে নিরীহ মানুষের উপর। লাথি মেরে ফেলে দিচ্ছে আপনার দাদার বয়সী কাউকে, বন্ধুকের নল দিয়ে পেটাচ্ছে আপনার ছোট ভাইকে, লাইনে দাড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করছে আপনাদের গ্রামের সবাইকে। ঘরবাড়িতে আগুন জ্বলছে। কেউ চিত্‍কার করে কাঁদছে। ঈশ্বরের কাছে পার্থনা করছে। বাঁচাও বাঁচাও আর্তনাদে আকাশ বাতাস কম্পিত।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন, আপনার বোন হানাদারদের ক্যাম্পে বন্ধী। একের পর এক তাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছে। তার করুন চিৎকার শুনতে হচ্ছে আপনাকে। কিন্তু কিছুই করতে পারতেছেন না। আপনার প্রতিবেশীর ছেলের সামনে ধর্ষিত হচ্ছে তার মা! বাবা-ভাইয়ের সামনে ধর্ষিত হচ্ছে মেয়ে। আপনি সবকিছুই দেখতেছেন।


ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাবুন। আপনি মুক্তিযোদ্ধা! আপনার সামরিক প্রশিক্ষণ, কিভাবে রাতের পর দিন, খেয়ে না খেয়ে, গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত উপেক্ষা করে যুদ্ধ করতেছেন। একটি ফুলকে বাঁচাবেন বলে, একটি মায়ের হাসির জন্য।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।


আপনি যুদ্ধ করছেন। এরমধ্যে একদল বাঙালি আপনার ভাই পাকিস্তানী হানাদারদের চামচা হয়ে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা নিজেরাও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করছে। দেশের মানুষের ঘরবাড়ী লুট করছে। গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হানাদারদের। আপনি সুযোগ পেয়ে তাদেরও খতম করতেছেন।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন যুদ্ধ শেষ, ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে কিভাবে দেশ স্বাধীন করেছেন। বিজয় দিবসের আনন্দে উল্লাসিত আপনি। বাংলাদেশ নামের একটি দেশের জন্ম হল।

[এবার আমাদের ধ্যানে নতুন একটি বিষয় যোগ হবে। এবার আপনি ভাবার সাথে সাথে দুই হাতে ও কাজ করবেন।]

আপনি এখন ডান হাতে বিজয়ের উল্লাস ও বাম হাতে পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের চামচাদের প্রতি আপনার ঘৃণা-ক্ষোভ অনুমান করুন।

মনে রাখবেনঃ আপনি এখন সাধনার জগতে। আপনি এখন সব কিছুই পারবেন। আপনার আত্মা এখন কল্পনাতে...

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। যদি তা না করেন তবে আপনার ধ্যান ঠিকভাবে হচ্ছেনা। আপনাকে আবার সাধনার শুরুতে যেতে হবে। যেখানে আপনাকে বলা হয়েছিলো নিজেকে শুধুমাত্র একজন বাংলাদেশী মানুষ ভাবতে...

এবার ভাবুন আপনি একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত স্বাধীন দেশের নাগরিক। সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে কিভাবে পৃথিবীর দরবারে মাথা উঁচু করে দাড় করাবেন সেই চিন্তা আপনার মাথায়। এরি মধ্যে আপনাদের সহযোদ্ধাদের অনেকে অস্ত্র জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে, তারাই দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করতেছে। আবার কিছু রাজাকার রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এরপরে ভাবুন একজন মহান নেতার বাকশালি চিন্তার কথা। আবার তার দেশের সেনাবাহিনীর কিছু উশৃঙ্খল সদস্য দ্বারা সপরিবারে নিহত হবার কথা। দেশের তখনকার পরিস্থিতির কথা। এরপরে আরেকজন রাষ্ট্রপতির চট্টগ্রামে নিহত হবার কথা।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন একটি স্বাধীন দেশ স্বৈরাচারীর দখলে। এবার ডান হাতে স্বৈরাচারীর সৎকর্ম ও বাম হাতে স্বৈরাচারীর অপকর্মের হিসাব করুন। সৎকর্ম হিসেব করতে করতে দম বুকের ভেতর নিন। আর অপকর্ম ভাবতে ভাবতে দম ছাড়ুন।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন কিভাবে সেই রাজাকারদের নেতারা ছলেবলে কৌশলে দেশের মানুষকে ধর্মের ভেল্কি দেখি একটি রাজনৈতিক দলের ও জন্ম দিয়ে ফেলেছে। ধীরে ধীরে তারা ফতোয়া পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষদের ব্রেন ওয়াশ করে দেশকে কিভাবে পাকিস্তান বানানোর ধান্ধা করছে। কিভাবে রাজনীতির ভেতরে ধর্ম টেনে ধর্মীয় রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে...

[মনে রাখবেনঃ আপনি এখন সাধনার জগতে। আপনি এখন রাগতে পারবেন না। আপনি আমাদের সাথে বসে এই ধ্যানের শেষ পর্যন্ত যাবেন। কারণ আপনি কোটি কোটি গাধা দেখতে চাইছেন]

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার দেশে নির্বাচন হবে। স্বৈরাচারী জালেমের দিন শেষ। এবার ভাবুন কিভাবে প্রার্থীরা সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতির মুলা দেখাচ্ছে। কিভাবে সাধারণ জনগণের হাতে পায়ে ধরে ভোট ভিক্ষা করছে। কিভাবে একটি দল দেশের ক্ষমতায় আহরণ করেছে। কিভাবে হল একটি সরকারী দল ও একটি বিরোধী দল। এবার ডান হাতে সরকারীদলের সৎকর্ম ও বাম হাতে অপকর্মের হিসাব করুন। সৎকর্ম হিসেব করতে করতে দম বুকের ভেতর নিন। আর অপকর্ম ভাবতে ভাবতে দম ছাড়ুন।


ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

পাঁচ বছরের সমাপ্তি। আবার নির্বাচন সামনে। এবার ভাবুন কিভাবে ভোটের জন্য একটি ধর্মীয় দল ফতোয়া বদলে দিয়ে একটি নারীপ্রধান দলের সাথে জোট বেঁধেছে। গতবারের সরকারী দল ও বিরোধীদল নিজেদের ভোট ভিক্ষার রাস্তা বদলে দিয়েছে। তারা কিভাবে জনগণকে নতুন প্রতিশ্রুতির ফাঁদে ফেলবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত। কিভাবে একজনে মাথায় হিজাব হাতে তসবিহ নিয়ে ভোট চেয়ে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণ ও পুরানা সরকারের কাছে তাদের আশার আলো দেখতে না পেয়ে নতুন একজনকে ক্ষমতায় বসিয়েছে...

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।


এবার ভাবুন ক্ষমতাসীন দলের ২-৩ বছরের মধ্যে তাদের ব্যর্থতা ফুটে উঠছে। কিভাবে বিরোধীদল হরতাল – ধর্মঘট দিয়ে আন্দোলন শুরু করছে। কিভাবে সরকারীদলের সোনার ছেলেরা কলেজ-ভার্সিটিতে রাজনীতি নামের গণতান্ত্রিক খেলে শুরু করছে। কিভাবে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করছে। সরকারের এম.পি মন্ত্রীরা কিভাবে চুরি করছে। এবার ডান হাতে সরকারীদলের সৎকর্ম ও বাম হাতে অপকর্মের হিসাব করুন। সৎকর্ম হিসেব করতে করতে দম বুকের ভেতর নিন। আর অপকর্ম ভাবতে ভাবতে দম ছাড়ুন।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।


আরো পাঁচ বছর শেষ। এবার দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল ১-১ আছেন। দুটি দলই দেশের মানুষকে প্রতিশ্রুতির মুলা দেখিয়ে গনতান্ত্রিক দেশের ১০টি বছর ভোগ করেছেন। এবার উপরে উল্লেখিত সেই ধর্মীয় দলের সাথে আরো কিছু ধর্মীয় দলের জন্ম হয়েছে। ধার্মিকরা গত সরকারের আমলে অনেক নির্যাতিত হয়েছে। তাই তারা ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে বগি সরিয়ে গতবারের বিরোধীদলের সাথে জোট বেঁধেছে। গত সরকারের ব্যর্থতার পরে এবার বিরোধীদল ক্ষমতায় যাবে সেটা জোটের লোকজন জেনে ফেলেছে।

[বিরক্ত হলে চলবেনা। যেহেতু আপনি কোটি কোটি গাধা দেখতে ধ্যানে বসেছেন।]

আবার ভোট হল। এবার দেশের মানুষ অনেক ভাগে বিভক্ত। একভাগে মুসলিম ধর্মের লোকজন বেশি, সেই ভাগে আলেম উলামা-রাজাকার সবাই আছে। সেই ভাগকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বলা হয়। অন্য ভাগে ধর্ম নিরপেক্ষ-হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন আছে। সেই ভাগকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বলা হয়। তাছাড়া সেই স্বৈরাচারী নেতার ও একটি দল আছে। আরো আছে ২ আনা ৩ আনা ৪ আনা ওজনের ও অনেক দল।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন আবার নির্বাচন হল। এবার বিএনপি ক্ষমতায়। নেত্রীর বড় ছেলে রাজনীতিতে আসলো। ছোট ছেলে ব্যবসায়। কিভাবে ছেলেরা দেশের সম্পদ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে। কিভাবে ছেলেদের বন্ধুরা দেশে টিভি চ্যানেল খুলছে। কিভাবে সরকারের এম.পি মন্ত্রীরা রিলিফের গম, টিন চুরি করে নিজেদের গোয়াল ঘরের মেঝেতে পুতে রাখছে। কিভাবে ছাত্রদলের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা শুরু করছে, কিভাবে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করছে। কিভাবে মেয়ের মা বলছে ‘বাবা আমার মেয়ে ছোট। তোমরা একজন একজন করে যাও’। কিভাবে নদীপথে লঞ্চ ঢুবিতে মানুষ মরে ছাগল উপহার পায়। এবার ডান হাতে সরকারীদলের সৎকর্ম ও বাম হাতে অপকর্মের হিসাব করুন। সৎকর্ম হিসেব করতে করতে দম বুকের ভেতর নিন। আর অপকর্ম ভাবতে ভাবতে দম ছাড়ুন।


ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

[মনে করিয়ে দিচ্ছি আবারো। আপনি রাগতে পারবেন না। কারণ আপনি এখন কল্পনার জগতে। আপনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য না!]

এবার ভাবুনঃ আবার পাঁচ বছর শেষ। এবার ক্ষমতাসীন দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একটু নাটকের আশ্রয় নিয়েছে। কিভাবে তাদের নিজেদের লোককে কেয়ারটেকারে রেখে আবার ক্ষমতার মসনদে বসবে সেই চিন্তাভাবনা করতে করতে দেশে ফখরুদ্দিন শাসনামল শুরু হল। কিভাবে দেশের নতুন পুরাতন চোরদের কে ধরে আচ্ছা ধোলায় দিলো।

এবার আবার নির্বাচন এলো। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী গতবারের বিরোধীদল আবার ক্ষমতায় এলো। এবার উনারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি , ১০ টাকা দরের চাল, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের আশ্বাস দিয়ে নতুন প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। আর গত সরকারীদল ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে আর রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে সফল হতে পারল না।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুনঃ ডিজিটাল সরকারের আগমন। এবার উনারা নতুন কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করলেন। অনেক নতুন ও আজিব আজিব মুখকে দেশের বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দিয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে নতুন ধরনের বিনোদন সৃষ্টি করলেন। তারমধ্যে ৪৮ ঘণ্টা, সাহারা লক, মালগাড়ি, অন্যতম। সেই সাথে যুদ্ধপরাধীর বিচারের মত একটি মহান কাজ ও হাতে নিলেন। বিচারের বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো কিলবিলিয়ে বেড়ে উঠা রাজাকারদের দলের কর্মী ও তাদের শরিকদলের নেতারা।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন সুরঞ্জিতের কালো বিড়াল বের হওয়ার পরেও সে কিভাবে দেশের মন্ত্রী থাকে, আবুলের মত চোর কিভাবে দেশপ্রেমিকের সনদ পায়! দুর্নীতির ছত্রছায়ায় তৈরি করা উড়াল সেতু হেলে পড়া কিভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়! পোশাকশ্রমিকদের কারখানাতে পুড়িয়ে মেরে কিভাবে সরকার শান্ত থাকে! কিভাবে একেকটি জীবনের মূল্য মাত্র ১লক্ষ টাকা হয়! ভাবুন ভাবুন আরো ভাবুন। নিজেকে ভাবনার গভীরে নিয়ে যান।

ভা..ব..তে ভা..ব..তে দম নিন। ভা...ব...তে ভা...ব...তে দম ছাড়ুন।

এবার ভাবুন কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী ইফতার মাহফিলে রাজাকার মুক্তির দোয়া করে! কিভাবে নিজ পুত্র বিখ্যাত তারেক চোর কে নিষ্পাপ দাবী করতে পারে!

এই লেখাটি পড়ার আগে পর্যন্ত যত ধরনের রাজনৈতিক খবর পড়েছেন তা একজন নির্দলীয় সাধারণ মানুষ হিসেবে ভাবতে থাকুন। আমরা একটু পরেই কোটি কোটি গাধা দেখবো...


১.....
২.....
৩.....

এবার নিজ নিজ অবস্থান পরিবর্তন করুন সবাই। সবাই নিজেকে একেকজন রাজনৈতিক নেতা ভাবতে শুরু করুন। মনে রাখবেন ধ্যানের জগতে সব সম্ভব। ভাবতে থাকুন। ভাবতে ভাবতে দম নিন...

এবার নিজেকে যে কোন একটি দলের প্রধান ভাবুন। আপনি দেশের রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশে অংশ নিতে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি শেষ। একটু পরেই আপনি মঞ্চে উঠবেন।

ভাবুন ভাবুন আর ভাবুন...

আপনি এখন মঞ্চে। অসংখ্য মানুষের ভীর। তাদের করতালিতে মুখরিত আকাশ-বাতাস। এবার আপনি দূরে তাকিয়ে দেখুন।

কোটি কোটি গাধা অবস্থান করছে সমাবেশের মাঠে, বাহিরের রাস্তায়, টিভির সামনে...

তারা মুক্তিকামী গাধা! আপনি বা আপনার বিরোধীরা তাদের পিঠে বসে সুখশান্তির গাঁজর দেখিয়ে যাচ্ছেন। তারা গাধা বলেই এখন তাদের সামনে মিথ্যার বুলি আওড়াবেন !!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×