আমাদের সরকার প্রধানরা চাইলে কি না পারে ??
সরকার চাইলে দেশ থেকে জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করার আগে তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সম্মানের সাথে বিদেশে প্রেরন করতে পারে। সেই সাথে বিদেশ যেতে আগ্রহী সকলের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে s.s.c পাস বাধ্যতামূলক করতে পারে। তাতে করে যেমন বিদেশ গিয়ে বাংলাদেশীরা অবহেলিত ও বঞ্ছিত হবেনা, সেই সাথে দেশের সম্মান ও বাড়বে।
আমাদের অসচেতনতার কারনে আজ আমরা যেমনি বঞ্ছিত হচ্ছি। তেমনি হচ্ছি অন্যদের হাসির পাত্র। সেদিন মানি এক্সচেঞ্জে টাকা পাঠাতে গিয়ে দেখি এক বাংলাদেশী নিজের স্বাক্ষর দিতে পারছেনা। কথা বলতে পারছেনা। সে কিছুদিন আগে টাকা পাঠিয়ে ছিল দেশে। কিন্তু নামের একটি অক্ষর ভুল হওয়ার কারনে বাংলাদেশ থেকে টাকা ডেলিভেরী দিচ্ছেনা। সে এসেছিলো অই নামটা ঠিক করতে। কিন্তু কাউন্টারের ভদ্রলোক তার কথা বুঝতে না পেরে নতুন করে আগের অঙ্কের টাকা ইস্যু করলো। তার কাছে টাকা চাইতেই সে তার শেষ সম্বল ১৫দিরহাম(এক্সচেঞ্জ ফী) বের করে দিলো। এর পরে আরও কত কাহিনী। ব্যাপারটা দেখে খুব খারাপ লেগেছিল।
শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী বিদেশে প্রেরন করলে আমাদের আর মাসে ১২০০০-১৪০০০ টাকা কামানো লাগবেনা। সেই সাথে গ্রামাঞ্চলে ব্যাংক / এক্সচেঞ্জ বৃদ্ধি করলে আমাদের দেশ পেতে পারতো প্রচুর পরিমানে রেমিটেন্স। আর শিক্ষিত বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান। উল্লেখিত যে গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকের সুবিধা ভালো না থাকায় বেশিরভাগ মানুষ দেশে টাকা পাঠাতে হণ্ডির আশ্রয় নিচ্ছে। সেই সাথে অসাধুরা ও জমিয়ে নিচ্ছে তাদের ব্যাবসা। অথচ এই টাকা একমাত্র দেশের সম্পদ।
কিন্তু কে করবে এসব কাজ ?? শ্রদ্ধাবোধ তো আমাদের মাঝ থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে। তাইতো জাতির বোন এক মহান নেতার নামে থাকা বিমানবন্দরের নাম বদলিয়ে নিজের নামে (HA)zarat (S)ahjalal (IN)ternational (A)irport করে নিয়েছে। এই খাতে যেই টাকা খরচ করা হয়েছে তা দিয়ে দেশের অনেক কাজ করা যেতো।
অন্যজন জাতির দূরসম্পর্কের আত্মীয় এক মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে নিজের জন্মদিনের কেক কেটে উল্লাস উদযাপন করছে। মুজিব আর জিয়া যেমন মানুষ ছিলোনা কেন , তারা আমাদের জন্য শ্রদ্ধার উপযুক্ত। অথচ আমরা তাদেরকে দিনের পর দিন অবমাননা করে চলেছি।
বাকিদের কথা আর কি বলবো ?? এরশাদ কাকা তো এখনো নিজের সিদ্ধান্তই নিতে পারছেনা। নিজামিরা জেলে রাজাকারের রুটি বানাচ্ছে।
এর নাম যদি গণতন্ত্র হয় তাহলে আমি কিন্তু গণতন্ত্রের ঘোর বিরোধী। গণতন্ত্র মানে কি শুধু ৫বছর পর পর মিথ্যা আশ্বাসের বানী শুনে কারো কাছে দেশকে ৫বছরের জন্য বর্গা দেওয়া ?? নিজেদের দাবী আদায়ের জন্য রাজপথে নেমে পুলিশের মার খেয়ে ঘরে ফেরা ?? নিজের দলের পুরুষ কর্মীদের হাতে নারী কর্মীরা নির্যাতিত হওয়া ??
কি আর বলবো ?? আমি যা বলতে চাই তা আমার চেয়ে আপনারা অনেক অনেক ভালো জানেন।
একটাই আমার শেষ কথা, আসুন বদলে যাই। নিজেদের মনে শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তুলি। যারা সত্যিকারের শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য .....