ভিন্ন প্লাটফর্ম/ব্লগ/অপরবাস্তব নিয়ে এযাৎকালের তর্কবিতর্ককে অনেকেই কেবল বাহাস হিসেবে মনে করতে পারেন। তবে অপরবাস্তব টিমের সকলেরই এই অভিমত যে এই অপর-বাস্তবতাই আসলে এর প্রাণ। শুধু নাম পাল্টে অপর বাস্তবের কথা বই আকারে বললেও এটা বাস্তবতারই প্রকাশ। পৃথিবীর এ যাবৎকালের যে কোন প্রকাশনার মতই এটাও ‘নিরপেক্ষ’ নয়, আদতে এটা বহুপক্ষ এবং তারপর বই এর আকারে সীমায়িত। এখানে পছন্দ আছে, বাদ দেয়া আছে, পক্ষপাতিত্ব আছে, নিরপেক্ষতা আছে যেমনটা থাকে আমাদের রোজকার জীবনে। বই আকারে প্রকাশিত হবার পরপরই বুদ্ধিমান পাঠক এটাকে বিশেষ ধরণের প্রতিনিধিত্বশীলও মনে করতে পারেন, আবার পাঠকের ভিন্নতায় নাও মনে করতে পারেন। যদি কোন বিশেষ ধরণকে সামনে আনা সংকলক গোষ্টীর উদ্দেশ্য বলে পাঠকের মনে হয়, তাহলে আমরা সর্বাগ্রে চাইব এর বহুধা মত প্রকাশক ধরণটিই পাঠকের নজরে আসুক। এবং নিশ্চিতভাবেই এটাও নিরপেক্ষ নয়। তবে এর সবকিছুর মাঝে যে বাস্তবতা সংকলক ও পাঠকের মধ্যকার সেতু তা হল একটি প্রকাশিত বই, এখনকার বাস্তবতায় যার নাম, ‘অপরবাস্তব’। পাঠক চাইলেই ‘অপরবাস্তব’ কে খারিজ বা বাতিল করে দিতে পারেন, সমালোচনাও করতে পারেন। কিন্তু ‘অপরবাস্তব’ চাইলেই তা পারে না, কেননা এর মূল লক্ষ্য পাঠক। একথা যত বানিজ্যিক, স্বার্থপর, উদ্দেষ্ট ঘনিষ্ট মনে হোক না কেন ‘অপরবাস্তব’ বইটির পাঠককে উপেক্ষা করার উপায় নেই, যেমন অন্য কোন প্রকাশনারও নেই।
আর তাই আমরা চিন্তা করছি ভিন্ন প্লাটফর্মে পাঠকের সাথে যোগাযোগের সবটুকু সুবিধা নিয়ে তাদের সবচেয়ে প্রিয়তম ১-৩টি লেখা এবং লিংকসহ একটা তালিকা তৈরীর। এই তালিকা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে যথাযথ বাছাইয়ে যেমন সহায়তা করবে; তেমনি প্রত্যাশা ব্যাঞ্জক সাড়া পেলে পছন্দ ও লেখার বিচিত্রতার একটি ধারণাও আমাদের সামনে উপস্থিত করবে। এখানে আবারো মনে করিয়ে দিতে চাই যে সংকলক গোষ্ঠীর চুড়ান্ত বাছাইয়ের যে আপাত স্বেচ্ছাচারীতা তা লেখা প্রকাশের স্বার্থেই বহাল থাকবে। যদিও একই সাথে পাঠকের উপর নির্ভরশীলতার বিষয়টিও দারুণভাবে বলবৎ থাকবে। আর এটাই সেই বই প্রকাশের বাস্তবতা যেখানে নতুন ‘অপরবাস্তবতায়’ দেখা দিচ্ছে লেখক, পাঠক, প্রকাশক ও সংকলকের নতুন যোগাযোগ বিন্যাস।
নিশ্চয়ই অনেকে মনে করতে পারেন যে ব্লগের কি-বোর্ড বিরতির সময়ে এ ধরণের পদক্ষেপ অর্থহীন অথবা কি-বোর্ড বিরতির উদ্দেশ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও আমরা মনে করছি যে কি-বোর্ড বিরতির এই ঘটনা ‘অপরবাস্তবতার’ তথা বাস্তবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর তাই কি-বোর্ড বিরতিকে বিঘ্ন না করেই সেই বাস্তবতা প্রকাশ করা সম্ভব। ফলত লেখা বাছাই করে জমাদানের জন্য অপরবাস্তব ব্লগের কমেন্টের ঘরই সবচেয়ে উপযুক্ত, এছাড়া মেইলেও ব্লগারগণ তাদের পছন্দ পাঠাতে পারেন।
নিজের পছন্দ জমা দেবার শেষ সময়, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬’টা-১৫/০১/০৮। একজন ব্লগার ১-৩ টি লেখা মনোনয়ন করতে পারেন। লেখা যে কোনকিছুই হতে পারে তবে সংক্ষিপ্ত, যুক্তিপূর্ণ ও বদ্ধবিশ্বাসকে ধারণ করেনা এমন লেখাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।