মেটাল গানের সবচেয়ে বড় কিংবদন্তি..................................
১৯৪২ সালের ১০ই জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে বসবাসরত এক ইটালিয়ান পরিবারে জম্নগ্রহন করেন রনি জেমস পাডাভোনা । ছোটোবেলা থেকেই তার মিউজিকের প্রতি প্রচন্ড ঝোক ছিলো। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তিনি The Vegas King নামের ১টি ব্যান্ডে যোগ দেন বেস গিটারিস্ট হিসাবে যখন তিনি কেবল স্কুলে যাওয়া শুরু করেছেন। ওই ব্যান্ডের তখনকার লাইনআপে বেস গিটারে ছিলেন রনি পাডাভোনা,ভোকাল বিলি ডি’ওলফ,লড গিটারে নিক পানটাস,ড্রামে টম রজারস এবং স্যাক্সোফোনে জ্যাক মুসকি। কয়েকদিনের মদ্ধেই তিনি ওই ব্যান্ডের মূল ভোকাল হয়ে যান এবং ব্যান্ডটির নাম পরিবর্তন হয়ে হয়ে যায় Ronnie & The Rumblers এবং পরবর্তীতে Ronnie & The Red Caps. এই Ronnie & The Red Caps ব্যান্ড থেকেই ১৯৫৮সালে বেরোয় তার জীবনের প্রথম অ্যালবাম 7-inch Single। ১৯৬১ সালে বের হয় এই ব্যান্ডের ২য় অ্যালবাম।
রনি ইতিমদ্ধে তার নামের “পাডাভোনা” অংশটুকু বাদ দিয়ে “ডিও” নাম ধারণ করেন যা তিনি নিয়েছিলেন একজন কুখ্যাত মাফিয়া “জনি ডিও”র নাম থেকে। এরপর তার ব্যান্ডের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় Ronnie Dio & The Prophets। এই ব্যান্ডের আরো কিছু অ্যালবাম বের হয় ১৯৬২-১৯৬৬ সালের মদ্ধে এরপর ব্যান্ডটি ভেঙ্গে যায় এবং ১৯৬৭ সালে তিনি এবং গিটারিস্ট নিক পানটাস ১৯৬৯ সালে গড়ে তোলেন “Electronic Elves” নামের নতূন ব্যান্ড যেটি পরবর্তীতে সংক্ষেপে Elf নামে পরিচিতি পায়। ডিও অতি অল্প সময়ের মদ্ধেই পরিচিত হয়ে যান মিউজিক অ্যারেনাতে এবং বিখ্যাত ব্যান্ড Deep Purpleএর লিড গিটারিস্ট রিচি ব্ল্যাকমোরের নজরে পড়েন। এর ফলশ্রুতিতে ব্ল্যাকমোর Deep Purple ছেড়ে দেন এবং তারা দুইজন মিলে গড়ে তোলেন রক ব্যান্ড “রেইনবো” (Rainbow)। রেইনবো তাদের প্রথম অ্যালবাম বাজারে ছাড়ে ১৯৭৫ সালে। এরপর রেইনবো থেকে আরো ৩টি অ্যালবাম ছাড়া হয় কিন্তু ব্ল্যাকমোরের অতি বাণিজ্যিক চিন্তা-ভাবনার সাথে মিল না হওয়ায় ডিও ১৯৭৯ সালে রেইনবো ছেড়ে দেন।
১৯৭৯ সালে ডিও যোগ দেন কিংবদন্তি রক ব্যান্ড ব্ল্যাক স্যাবাথে (Black Sabbath) যখন ওজি অসর্বোন (Ozzy Osborne) “Black Sabbath” ছেড়ে দেন। “Black Sabbath”এর অবস্থান তখন হুমকির মুখে কিন্তু ব্যান্ডে জয়েন করার পর তার ১ম অ্যালবাম Heaven and Hell দিয়েই তিনি বাজিমাত করে দেন এবং সেই সাথে ব্ল্যাক স্যাবাথ আবার ভালো অবস্থানে চলে যায়। ১৯৮০ সালে ডিও Kerry Livgrenএর সলো অ্যালবাম Seeds of Changeএ ডিও "To Live for the King" এবং "Mask of the Great Deceiver" নামের ২টি গানে কন্ঠ দেন। কিন্তু একসময়ের রেইনবো এবং ব্ল্যাক স্যাবাথের ভোকাল ডিওকে Kerry Livgren এর গোড়া খ্রীষ্টান ফ্যানরা ভালোভাবে প্রহণ করেনি। তারা ডিও এবং ওজি অসর্বোনকে “শয়তান” বলে সম্বোধন করে। পরে এক ইন্টারভিউতে ডিও বলেন যে তিনি Livgren এর জন্য তার গানে পারফর্ম করেছিলেন,খ্রীষ্টানদের জন্য না।
১৯৮২ সালে ব্ল্যাক স্যাবাথের "Live Evil" অ্যালবামটি প্রকাশের পরে ডিও এবং ড্রামার ভিনি অ্যাপিস (Vinny Appice) মিলে গড়ে তোলেন নতূন ব্যান্ড যার নাম ছিলো Dio। ১৯৯৭ সালে ডিও প্যাট বুনের (Pat Boone)এর সাথে “In a Metal Mood: No More Mr. Nice Guy” নামের একটি অ্যালবাম রিলিজ করেন যেটি বিগ ব্যাণ্ড (Big Band) স্টাইলের হেভি মেটাল গানের অ্যালবাম হিসাবে খুবি বিখ্যাত।
২০০০ সালে সেঞ্চুরি মিডিয়া থেকে বের হয় “Holy Dio: Tribute to Ronnie James Dio” নামের ১টি অ্যালবাম যেটিতে ছিলো মূলত বিভিন্ন পাওয়ার মেটাল ব্যান্ডের কাভার করা ডিও’র গান। ২০০৫ সালে তিনি “Operation: Mindcrime II” নামের একটি অ্যালবামে ডঃ এক্স(Dr. X) এর সাথে ব্যাকাপ ভোকাল দেন যেটি ছিলো কুইন্সরিক (Queensrÿche) নামের একটি ব্যান্ডের “Operation: Mindcrime” নামের অ্যালবামের সিক্যুয়াল।
২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে ডিও পুনরায় ভিনি অ্যাপিসের সাথে ব্ল্যাক স্যাবাথের ২ সদস্য টমি আয়োমি ও গিজ়ার বাল্টারের সাথে একত্রিত হন Heaven and Hell নামের একটি ওয়ার্ল্ড ট্যুরের জন্য,প্রসঙ্গত “Heaven and Hell” ছিলো ব্ল্যাক স্যাবাথে ডিও'র প্রথম অ্যালবাম। ২০০৮ সালে তারা ৯৮ দিনের ওয়ার্ল্ড ট্যুর শেষ করেন।
ডিও ১৯৬০ সালে কোর্টল্যান্ড সিটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে ডিও ২বার বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রীর নাম লরেটা বেরার্ডি (Loretta Berardi)। তারা ড্যান পাডাভোনা নামের একটি শিশূকে দত্তক নেন। বেরার্ডিকে ডিভোর্সের পরে তিনি ওয়েন্ডি গ্যালাক্সিওলা (Wendy Galaxiola) নামের একজনকে বিয়ে করেন যিনি ছিলেন তার ম্যানেজার। ওয়েন্ডি গ্যালাক্সিওলা ১৯৮০এর দশকে ক্যালিফোর্নিয়াতে Rough Cutt এবং Hellion নামের ২টি ব্যান্ডের ম্যানেজার ছিলেন এবং “Children of the Night” নামের একটি সংস্থারও চেয়ারম্যান ছিলেন।
ডিও তার সংগীত ক্যারিয়ার ছিলো প্রায় ৬ দশকের(১৯৫৭-২০১০)। তিনি জীবনে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন তার মদ্ধে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯৮৪ সালে তার নিজের শহর কোর্টল্যান্ড সিটির একটি রাস্তার নাম “Dio Way” নামে নামকরণ করা,২০০৪ সালে কোর্টল্যান্ড সিটির “Hall of Fame”এ অন্তর্ভূক্ত হওয়া,২০০৬ সালে ক্লাসিক রক ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক “Roll of Honor”এ “Metal Guru Award” পাওয়া,২০০৭ সালে অক্টোবরে গিটার সেন্টারের “Rock Walk of Fame”এ স্থান পাওয়া ইত্যাদি।
২০১০ সালের এপ্রিলে রিভলভার গোল্ডেন গডস অ্যাওয়ার্ডে (Revolver Golden Gods Awards) তাকে “Best Metal Sইnger” এর স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মাত্র ১মাস পর ২০১০ সালের ১৬ই মার্চ ডিও টেক্সাসের হোস্টনে পাকস্থলীর ক্যান্সারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেটাল ব্যান্ডের ইতিহাসের কিংবদন্তি এই গায়ক। দৈহিক মৃত্যু হলেও তিনি ঠিকই বেচে থাকবেন পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে – ছিটিয়ে থাকা লাখো কোটি ভক্তের মনে।
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন