গতকাল সকালে হুট করে সিদ্ধান্ত নিলাম খুলনা আসব। উদ্দেশ্য আর কিছু নয় মায়ের সাথে কয়েকটা দিন কাটানো। আর উদ্দেশ্যটাকে ত্বরিত বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করেছে দূর্ভাষীর ট্যুর প্লান। আর পড়াশুনার চাপ ও তেমন নেই।
দূর্ভাষী ০৭-০৭-২০১০ থেকে শুরু করছে তার নতুন ট্যুরের নতুন ফেজ। ৭ তারিখ সকালে সে ঢাকার অদূরে ধামরাই যাবে তার প্রোজেক্টের একটি ডকুমেন্টারি করতে, যেখানে পরিকল্পনা, স্ক্রীপ্ট, নির্দেশনা এবং ধারা বর্ণনার কাজগুলি করবে সে, ফিরবে বেশ রাতে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকায় থেকে আবার রওনা হবে বগুড়ার উদ্দেশ্যে। বগুড়া শহর, গাবতলী ও ধুনট উপজেলাতে তার কাজ শেষে সে যাবে রাজশাহী সদরে। সেখান থেকে ফিরে আবার ও চলে যাবে চাঁদপুর। সব মিলিয়ে আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত সে থাকবে ঢাকার বাইরে। তাই একা একা বাসায় বসে থাকা কেন, চলো না ঘুরে আসি খুলনা থেকে।
যখন ভাবলাম তখন দূর্ভাষী অফিসে, ফোনে ইচ্ছার কথা জানাতেই সে বললো তিনটার সময় রওনা হতে। দেড়টা নাগাদ সাহেব বাসায় এলেন এবং বললেন লাঞ্চ করতে এসেছেন

বাসায় পৌছে ফ্রেশ হয়েই ঘুম, সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলে দূর্ভাষীকে কিছুক্ষন বকাঝকা করতে হলো, কারন আমি না থাকায় সকালে নাকি তার গুম ভাঙ্গেনি এবং সে সময়মত অফিসে যেতে পারেনি।
এরপর সারাদিন ভাবীকে সাথে নিয়ে খুলনা চষে বেড়ালাম, কিন্তু খুলনা শহরকে যেন অনেক বেশী অচেনা মনে হলো, জানি না স্থায়ী ভাবে খুলনা থাকছি না বলে এমন হচ্ছে কি না, না কি খুলনার প্রতি সেই হৃদয়ের টান টা অনেক কমে গেছে বলে
